E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

উপাচার্য নেই বেতনও নেই

২০১৭ মে ৩১ ১১:২৭:০৬
উপাচার্য নেই বেতনও নেই

বেরোবি প্রতিনিধি : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) এখন কোনো উপাচার্য নেই। গত ৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নূর-উন-নবীর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর এই পদে এখন পর্যন্ত নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আর উপাচার্য না থাকায় মে মাসে কোনো বেতন-ভাতাও তুলতে পারেছে না বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রতি মাসের শেষ কার্যদিবসে বিশ্ববিদ্যালয়টির বেতন-ভাতা দেয়া হয়। উপাচার্য এর এক দিন আগে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতার বিলে স্বাক্ষর করেন উপাচার্য। গত ৫ মে মেয়াদ শেষ করেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নূর-উন-নবী।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শূন্য উপ-উপাচার্য পদটি। দীর্ঘদিন ধরে শূন্য কোষাধ্যক্ষ পদটিও। ফলে শীর্ষ তিনটি পদ শূন্য থাকায় কেউ মে মাসের বেতন-ভাতা বিলে স্বাক্ষর করতে পারছেনা না। এতে চলতি মাসের বেতন-ভাতা তুলতে পারেছে না কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

আবার শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ক্লাস পরীক্ষা চালু থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদ একসঙ্গে শূন্য থাকায় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসনিক কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। পদ তিনটি পূরণে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা চললেও স্থবির হয়ে আছে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। সাবেক উপাচার্য পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে থাকায় পদটি এখন শূন্য রয়েছে। ফলে আটকে রয়েছে একাধিক বিভাগের বিভিন্ন সেমিস্টার পরীক্ষার ফল। ফল প্রকাশ না হওয়ায় পিছিয়ে যাচ্ছে একের পর এক পরীক্ষা, বাড়ছে শিক্ষাকাল।

দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য না থাকায় বাড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়টির অভ্যন্তরীণ সমস্যাও। বিশ্ববিদ্যালয় অভিভাবক শূন্য হওয়ায় অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়েও বাড়ছে উৎকণ্ঠা। তবে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আগেই উপাচার্য নিয়োগের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরেই উপাচার্য সর্বস্ব। কেননা বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ দুইটি পদ উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ পদ শূন্য দীর্ঘদিন। একইসঙ্গে সাবেক উপাচার্য বিভিন্ন দফতরের পরিচালক, অনুষদের ডিন ও বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এতে স্থায়ী শূন্যতা তৈরি হয়েছে।

কথা বললে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন ও বিল শাখার সহকারী পরিচালক মোত্তালেব হোসেন বলেন, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বিল প্রস্তুত রয়েছে। উপাচার্য না থাকায় মে মাসের বেতন শেষ কার্যদিবসে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীর বলেন, গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য থাকায় কেউ বেতন-ভাতা ওঠাতে পারছেন না। উপাচার্য না থাকায় স্থবির হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম। আশা করি দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের মাধ্যমে স্থবিরতা নিরসন হবে।

(ওএস/এসপি/মে ৩১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test