E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঢাবিতে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

২০১৭ জুলাই ১৩ ১২:০১:০৮
ঢাবিতে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকার পরও এক বিভাগে ৬ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

একই বিভাগে আরও দু’জনকে অতিরিক্ত নিয়োগের সুপারিশ গ্রহণ করেছে সিন্ডিকেট। অন্য আরেকটি বিভাগে প্রভাষক পদে দু’জনের নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও নিয়োগ দেয়া হয়েছে চারজনকে।

এ ছাড়াও সিন্ডিকেট এক শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ছুটিতে ও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুটি অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিন্ডিকেটের কয়েকটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞাপনের বাইরে গিয়ে নিয়োগ দেয়ায় ২০১৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেটের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক শিক্ষক।

সিন্ডিকেট সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগে শর্ত শিথিল করে ৬ জনকে নিয়োগ দিয়েছে সিন্ডিকেট। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অনার্স ও মাস্টার্সে সিজিপিএ ৪.০০ এর স্থলে ৩.৭৫ এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ এর মধ্যে ৪.২৫ থাকা বাধ্যতামূলক হলেও নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনজন ছাড়া বাকিদের কেউই দুটি শর্ত পূরণ করতে পারেননি। শর্ত পূরণ করতে পেরেছেন হাজেরা আক্তার, ফাহমিদা মুস্তাফিজ এবং অনামিকা দত্ত।

বাকি ছয়নজনই যোগ্যতা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা হলেন- মোহাম্মদ মোবারক হোসেন, মৌরি মেহতাজ, আসমিনা আক্তার, পল্লবী বিশ্বাস, কাজী মো. জামশেদ এবং একরামুল হুদা।

অন্যদিকে বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগে দুটি শূন্য পদের বিপরীতে দরখাস্ত আহ্বান করা হলেও অতিরিক্ত আরও দু’জনকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগের সুপারিশ গ্রহণ করে সিন্ডিকেট। নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা আবার ফলাফলের দিক থেকেও পিছিয়ে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়াও সিন্ডিকেট সভায় অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুশাদ ফরিদীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। পিএইডি শেষ না হওয়ার কারণ তদন্তে পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক বিল্লাল হোসাইনের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়াও হাইয়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্টের (হেকেপ) একটি প্রকল্পের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু সারা শামসুর রউফের বিষয়েও পৃথক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, বিল্লাল হোসাইন ও ড. রউফ বিগত সিনেট নির্বাচনে নীল দলের উপাচার্যবিরোধী প্যানেলের প্রার্থী থাকায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে সিন্ডিকেটের এক সদস্য বলেন, ‘বিগত সিনেটের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে শিক্ষক বেলাল ও রউফ নীল দলের উপাচার্যবিরোধী প্যানেলের প্রার্থী হওয়ায় তাদের হেনস্তা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test