E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

২ অক্টোবর, ১৯৭১

হোমনায় মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধারা পাকসেনাদের বিরুদ্ধে এক দুঃসাহসিক অভিযান চালায়

২০২২ অক্টোবর ০২ ১২:২৯:৩৫
হোমনায় মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধারা পাকসেনাদের বিরুদ্ধে এক দুঃসাহসিক অভিযান চালায়

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : মুক্তিবাহিনী কুমিল্লা, যশোর ও সিলেট সীমান্তে ১৭ টি এলাকায় পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের আচমকা মর্টার ও কামান হামলায় রণাঙ্গণগুলোতে কয়েক’শ পাকসৈন্য হতাহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র দখল করে। মুক্তিবাহিনী কুমিল্লার কালিপুর, পরশুরাম, খাজুরিয়া, শাহপুর, কাউয়ামতলা, নয়নপুর, বজ্জলা, হরিমঙ্গল, ছাগলপুর, রাজপুর, শালদা নদী, মধুগ্রাম, সিলেটের রাধানগর, জয়ন্তিপুর, রাজঘাট ও যশোরের বেনাপোলের হিজলতলী গ্রামে শত্রুবাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়।

মুক্তিবাহিনী ময়মনসিংহের ফুলপুর-হালুয়াঘাট রাস্তায় মাইন পুঁতে এ্যামবুশ পাতে। পাকবাহিনীর একটি ট্র্যাংক অগ্রসর হয়ে মাইনের উপর এলে মাইন বিস্ফোরণ হয় এবং ট্র্যাংকটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়।

মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশ দল দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও-এ পাকসেনাদের জন্য মাইন পঁতে ওৎ পাতে। পাকহানাদারদের একটি খাদ্যবাহী ট্রাক ঠাকুরগাঁও-এর দিকে অগ্রসর হয়ে মাইনের উপর এলে মাইন বিস্ফোরণ হয় এবং ট্রাকটি ধ্বংস হয়।

কুমিল্লার হোমনায় মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধারা পাকসেনাদের বিরুদ্ধে এক দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ১১ জন পুলিশ ও ৫ জন রাজাকার নিহত হয়। পরে ১৫ জন রাজাকার তাদের অস্ত্রশস্ত্রসহ মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।

গভর্নও ডাঃ এ.এম. মালিক খুলনায় সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা এবং স্থানীয় সহযোগী দারালদের সভায় বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা আমাদের আত্মীয়স্বজন হলেও তারা বর্তমানে আমাদের শত্রু। কাজেই তাদের ক্ষমা করা যাবে না।’

সফররত মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য পিটার ও ফ্রেলিং হুইসেনকে পাকহানাদাররা তথাকথিত কুমিল্লার অভ্যর্থনা কেন্দ্র দেখাতে নিয়ে যায়। হানাদাররা এলাকার ক্ষয়ক্ষতি এবং গোলাচিহ্ন দেখিয়ে এগুলোকে মুক্তিযোদ্ধাদের কাজ বলে প্রতিনিধিদের কাছে উল্লেখ করে।

খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী নওয়াজেশ আলী খান চুয়াডাঙ্গা সফর করেন। চুয়াডাঙ্গায় তিনি দালালদের দেশ সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সিলেটের সাগরনালে মুক্তিবাহিনী পাকহানাদারদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালালে রাজাকারদের দ্বারা আক্রান্ত হয়। এই সংঘর্ষে ৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
(ওএস/এএস/অক্টোবর ০২, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test