E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন

২০২৩ ডিসেম্বর ০৪ ১৩:৩৪:৪৩
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনে পশ্চিম সেক্টর থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং মুক্তিবাহিনীর সবকটি কলাম পূর্বে এগিয়ে যায়। কোথাও তারা সোজাসুজি পাকঘাঁটিগুলোর দিকে এগোয় না। মূল বাহিনী সর্বদাই ঘাঁটিগুলোকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। সেই সঙ্গে পাকবাহিনীকে বিভ্রান্ত করার জন্য প্রত্যেক ঘাঁটিতে অবিরাম গোলাবর্ষণ চালাতে থাকে ।

ভারতীয় বিমান এবং নৌবাহিনীর জঙ্গী বিমানগুলো বারবার ঢাকা, চট্টগ্রাম চালনা প্রভৃতি এলাকায় সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপর আক্রমণ চালায়। ঢাকায় জোর বিমান যুদ্ধ চলে। ঢাকা ছিল পাক বিমানবাহিনীর প্রধান ঘাঁটি। এই ঘাঁটিতেই ছিল তাদের জঙ্গী বিমানগুলো। পাকবিমানবাহিনীতে ছিল দুই স্কোয়াড্রন (২৮টি) জঙ্গীবিমান। এক স্কোয়াড্রন চীনা মিগ-১৯, আর এক স্কোয়াড্রন মারকিনী স্যাবার জেট। পাক-ভারত যুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছু দিন আগে ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে মিগ-১৯ বিমানগুলো পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। বাংলাদেশে থাকে শুধু স্যাবারগুলো। প্রথম রাতের আক্রমণেই পাকিস্তানের বিমান- বহরের প্রায় অর্ধেক বিমান ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান দুপুরে জাতির উদ্দেশে এক বেতার ভাষণে ভারতের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা করে বলেন, আমরা অনেক সহ্য করেছি। এখন শত্রুর প্রতি চরম ধ্বংসাত্মক প্রত্যাঘাত হানার সময় এসেছে। আমাদের সেনাবাহিনী শত্রুকে কেবল আমাদের ভূখন্ড থেকেই বিতাড়িত করবে না, শত্রুর ভূখন্ডে গিয়ে তাদের নির্মূল করবে। তিনি সেনাবাহিনীর প্রতি প্রতিপক্ষকে চরম আঘাত হানা এবং সীমান্ত অতিক্রম করার নির্দেশ দেন।

রাওয়ালপিন্ডিতে একজন সরকারি মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তানের উভয় অংশে যুদ্ধ চলছে। পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় চাপ মোকাবেলা করা হচ্ছে। মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তানের প্রতি দৃঢ় সমর্থন দেবে বলে চীন ওয়াদা করেছে।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ০৪, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test