১২ এপ্রিল, ১৯৭১
সবুর খান মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগিতাকারীদের খতম করার আহবান জানায়

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : রাতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ সরকারের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপ্রধানও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে অভিষিক্ত হন। উপ-রাষ্ট্রপ্রধান সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ মুক্তিযুদ্ধের পরিচালনা ও সমম্বয়সাধন করবেন। খন্দকার মুশতাক আহমেদ পররাষ্ট্র মন্ত্রির দায়িত্ব পালন করবেন। মন্ত্রিসভার অপর সদস্যরা হলেন ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান।
পাকবাহিনী ট্যাংক এবং অন্যান্য ভারি অস্ত্রের সাহায্যে মুক্তিযোদ্ধাদের হাবরা ঘাঁটি আক্রমণ করে। পাকবাহিনীর ব্যাপক আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
মুক্তিযোদ্ধাদের চারটি কোম্পানি ও একটি সাপোর্ট পাটুন সম্মিলিতভাবে লারমণিরহাট বিমানবন্দর এলাকাতে অবস্থানরত পাকবাহিনীর ওপর বড় রকমের আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের ফিল্ড কমান্ডের দায়িত্বে ছিলেন সুবেদার আরব আলী। কয়েক ঘন্টার সংঘর্ষে বেশ কিছু পাকসেনা নিহত হলেও শেষ পর্যন্ত পাকসেনাদের ব্যাপক আক্রমণর মুখে মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নের পুরো বাহিনী কালুরঘাট থেকে রাঙ্গামাটি চলে আসে এবং সেখানে প্রতিরক্ষা ব্যুহ গড়ে তোলে। মহালছড়িতে ব্যাটালিয়নের হেড কোয়ার্টার স্থাপিত হয়।
ভোরবেলা পাকবাহিনী আর্টিলারি সাপোর্টে যশোরের ঝিকরগাছায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্র্র্রতিরক্ষা ব্যুহে ব্যাপক হামলা চালায়। প্রচন্ড যুদ্ধে ইপিআর বাহিনীর দুজন ও বিএসএফ বাহিনীর একজন নিহত হয়। ইপিআর বাহিনী পুনরায় বেনাপোলের কাগজপুকুর নামক স্থানে প্রতিরক্ষা ব্যুহ রচনা করে।
পাক সৈন্যদের একটি দল হাজীগঞ্জের ওপর দিয়ে চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়ক ধরে এগিয়ে আসে এবং সেখানে ক্যাম্প স্থাপন করে।
সংসদ সদস্য ডা.জিকরুল হক, রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী তুলশীরাম আগরওয়ালা, ডা.শামসুল হক, ডা. বদিউজ্জমান, ডা. ইয়াকুব আলী, যমুনা প্রসাদ, কেডিয়া, রামেশ্বর লাল আগরওয়ালাসহ গ্রেফতারকৃত সৈয়দপুরের প্রায ১৫০ জন স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে ১৯ দিন নির্মম অত্যাচার চালিয়ে অবশেষে রংপুর সেনানিবাসের পশ্চিম পার্শ্বের উপ-শহরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
পার্বতীপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর পাকসেনারা পুনরায় গোলাবর্ষণ করে। পাকসেনাদের মর্টার থেকে গোলাবর্ষণের মুখে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে। এ যুদ্ধে একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
নাটোরে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের উপর পাকসেনারা ব্যাপক শেলিং-এর মাধ্যমে আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে বানেশ্বর (রাজশাহী) গিয়ে ডিফেন্স নেয়।
পাকবাহিনী তিস্তা দখলের লক্ষ্যে তিস্তা পুলে অবস্তানরত মুক্তিবাহিনীর প্র্রতিরক্ষা ব্যুহে ভারি অস্ত্রের সাহায্যে তিনদিক থেকে আক্রমণ চালায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক ‘আমেরিকান ফ্রেন্ডস অব পাকিস্তান’ সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার কাছে প্রেরিত এক আবেদনে অবিলম্বে পূর্ব বাংলার সমস্যা সমাধানের জন্য আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান। তারা বলেন, কোনো সরকারেরই অস্ত্র ও বল প্রয়োগের মাধ্যমে জনসাধারণের ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাদের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার নেই।
ঢাকার সামরিক কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ ছাড়া সরকারি বিভাগ, স্ব-শাসিত, আধা-স্বশাসিত সংস্থাতাসমূহের সকল কর্মচারীকে সর্বশেষে ২১ এপ্রিলের মধ্যে কাজে যোগদানের নির্দেশ দেয়। নির্দেশে আরো বলা হয়, এরপর অনুপস্থিত কর্মচারীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।
বেতার ভাষণে সবুর খান একটুও দয়া না দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগিতাকারদের খতম করার আহবান জানায়। এমনকি সন্দেহজনক যেকোনো লোকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলে।
মুসলিম লীগ সভাপতি শামসুল হুদার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গণহত্যার নায়ক টিক্কা খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।
ঢাকায় নিযুক্ত একজন বিদেশী কূটনীতিকের বরাত দিয়ে ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, কোন সন্দেহ নেই যে পূর্ব পাকিস্তানে বিপুল ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছে। এটি আক্ষরিক অর্থেই রক্তস্নান। চেঙ্গিস খানের সঙ্গে এর কোনো পার্থক্য ছিল না। সেনাদল এখন বিদ্রোহীদের দমন কাজে ব্যস্ত। ট্যাঙ্ক চড়ে বেড়াচ্ছে ঢাকার কুকে। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে বহু বাড়িঘর।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/এএস/এপ্রিল ১২, ২০২৩)
১২ এপ্রিল, ১৯৭১
সবুর খান মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগিতাকারীদের খতম করার আহবান জানায়
উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : রাতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ সরকারের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপ্রধানও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে অভিষিক্ত হন। উপ-রাষ্ট্রপ্রধান সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ মুক্তিযুদ্ধের পরিচালনা ও সমম্বয়সাধন করবেন। খন্দকার মুশতাক আহমেদ পররাষ্ট্র মন্ত্রির দায়িত্ব পালন করবেন। মন্ত্রিসভার অপর সদস্যরা হলেন ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান।
পাকবাহিনী ট্যাংক এবং অন্যান্য ভারি অস্ত্রের সাহায্যে মুক্তিযোদ্ধাদের হাবরা ঘাঁটি আক্রমণ করে। পাকবাহিনীর ব্যাপক আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
মুক্তিযোদ্ধাদের চারটি কোম্পানি ও একটি সাপোর্ট পাটুন সম্মিলিতভাবে লারমণিরহাট বিমানবন্দর এলাকাতে অবস্থানরত পাকবাহিনীর ওপর বড় রকমের আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের ফিল্ড কমান্ডের দায়িত্বে ছিলেন সুবেদার আরব আলী। কয়েক ঘন্টার সংঘর্ষে বেশ কিছু পাকসেনা নিহত হলেও শেষ পর্যন্ত পাকসেনাদের ব্যাপক আক্রমণর মুখে মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নের পুরো বাহিনী কালুরঘাট থেকে রাঙ্গামাটি চলে আসে এবং সেখানে প্রতিরক্ষা ব্যুহ গড়ে তোলে। মহালছড়িতে ব্যাটালিয়নের হেড কোয়ার্টার স্থাপিত হয়।
ভোরবেলা পাকবাহিনী আর্টিলারি সাপোর্টে যশোরের ঝিকরগাছায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্র্র্রতিরক্ষা ব্যুহে ব্যাপক হামলা চালায়। প্রচন্ড যুদ্ধে ইপিআর বাহিনীর দুজন ও বিএসএফ বাহিনীর একজন নিহত হয়। ইপিআর বাহিনী পুনরায় বেনাপোলের কাগজপুকুর নামক স্থানে প্রতিরক্ষা ব্যুহ রচনা করে।
পাক সৈন্যদের একটি দল হাজীগঞ্জের ওপর দিয়ে চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়ক ধরে এগিয়ে আসে এবং সেখানে ক্যাম্প স্থাপন করে।
সংসদ সদস্য ডা.জিকরুল হক, রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী তুলশীরাম আগরওয়ালা, ডা.শামসুল হক, ডা. বদিউজ্জমান, ডা. ইয়াকুব আলী, যমুনা প্রসাদ, কেডিয়া, রামেশ্বর লাল আগরওয়ালাসহ গ্রেফতারকৃত সৈয়দপুরের প্রায ১৫০ জন স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে ১৯ দিন নির্মম অত্যাচার চালিয়ে অবশেষে রংপুর সেনানিবাসের পশ্চিম পার্শ্বের উপ-শহরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
পার্বতীপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর পাকসেনারা পুনরায় গোলাবর্ষণ করে। পাকসেনাদের মর্টার থেকে গোলাবর্ষণের মুখে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে। এ যুদ্ধে একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
নাটোরে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের উপর পাকসেনারা ব্যাপক শেলিং-এর মাধ্যমে আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে বানেশ্বর (রাজশাহী) গিয়ে ডিফেন্স নেয়।
পাকবাহিনী তিস্তা দখলের লক্ষ্যে তিস্তা পুলে অবস্তানরত মুক্তিবাহিনীর প্র্রতিরক্ষা ব্যুহে ভারি অস্ত্রের সাহায্যে তিনদিক থেকে আক্রমণ চালায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক ‘আমেরিকান ফ্রেন্ডস অব পাকিস্তান’ সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার কাছে প্রেরিত এক আবেদনে অবিলম্বে পূর্ব বাংলার সমস্যা সমাধানের জন্য আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান। তারা বলেন, কোনো সরকারেরই অস্ত্র ও বল প্রয়োগের মাধ্যমে জনসাধারণের ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাদের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার নেই।
ঢাকার সামরিক কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ ছাড়া সরকারি বিভাগ, স্ব-শাসিত, আধা-স্বশাসিত সংস্থাতাসমূহের সকল কর্মচারীকে সর্বশেষে ২১ এপ্রিলের মধ্যে কাজে যোগদানের নির্দেশ দেয়। নির্দেশে আরো বলা হয়, এরপর অনুপস্থিত কর্মচারীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।
বেতার ভাষণে সবুর খান একটুও দয়া না দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগিতাকারদের খতম করার আহবান জানায়। এমনকি সন্দেহজনক যেকোনো লোকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলে।
মুসলিম লীগ সভাপতি শামসুল হুদার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গণহত্যার নায়ক টিক্কা খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।
ঢাকায় নিযুক্ত একজন বিদেশী কূটনীতিকের বরাত দিয়ে ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, কোন সন্দেহ নেই যে পূর্ব পাকিস্তানে বিপুল ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছে। এটি আক্ষরিক অর্থেই রক্তস্নান। চেঙ্গিস খানের সঙ্গে এর কোনো পার্থক্য ছিল না। সেনাদল এখন বিদ্রোহীদের দমন কাজে ব্যস্ত। ট্যাঙ্ক চড়ে বেড়াচ্ছে ঢাকার কুকে। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে বহু বাড়িঘর।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/এএস/এপ্রিল ১২, ২০২২)১২ এপ্রিল, ১৯৭১
সবুর খান মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগিতাকারীদের খতম করার আহবান জানায়
উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : রাতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ সরকারের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপ্রধানও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে অভিষিক্ত হন। উপ-রাষ্ট্রপ্রধান সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ মুক্তিযুদ্ধের পরিচালনা ও সমম্বয়সাধন করবেন। খন্দকার মুশতাক আহমেদ পররাষ্ট্র মন্ত্রির দায়িত্ব পালন করবেন। মন্ত্রিসভার অপর সদস্যরা হলেন ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান।
পাকবাহিনী ট্যাংক এবং অন্যান্য ভারি অস্ত্রের সাহায্যে মুক্তিযোদ্ধাদের হাবরা ঘাঁটি আক্রমণ করে। পাকবাহিনীর ব্যাপক আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
মুক্তিযোদ্ধাদের চারটি কোম্পানি ও একটি সাপোর্ট পাটুন সম্মিলিতভাবে লারমণিরহাট বিমানবন্দর এলাকাতে অবস্থানরত পাকবাহিনীর ওপর বড় রকমের আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের ফিল্ড কমান্ডের দায়িত্বে ছিলেন সুবেদার আরব আলী। কয়েক ঘন্টার সংঘর্ষে বেশ কিছু পাকসেনা নিহত হলেও শেষ পর্যন্ত পাকসেনাদের ব্যাপক আক্রমণর মুখে মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নের পুরো বাহিনী কালুরঘাট থেকে রাঙ্গামাটি চলে আসে এবং সেখানে প্রতিরক্ষা ব্যুহ গড়ে তোলে। মহালছড়িতে ব্যাটালিয়নের হেড কোয়ার্টার স্থাপিত হয়।
ভোরবেলা পাকবাহিনী আর্টিলারি সাপোর্টে যশোরের ঝিকরগাছায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্র্র্রতিরক্ষা ব্যুহে ব্যাপক হামলা চালায়। প্রচন্ড যুদ্ধে ইপিআর বাহিনীর দুজন ও বিএসএফ বাহিনীর একজন নিহত হয়। ইপিআর বাহিনী পুনরায় বেনাপোলের কাগজপুকুর নামক স্থানে প্রতিরক্ষা ব্যুহ রচনা করে।
পাক সৈন্যদের একটি দল হাজীগঞ্জের ওপর দিয়ে চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়ক ধরে এগিয়ে আসে এবং সেখানে ক্যাম্প স্থাপন করে।
সংসদ সদস্য ডা.জিকরুল হক, রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী তুলশীরাম আগরওয়ালা, ডা.শামসুল হক, ডা. বদিউজ্জমান, ডা. ইয়াকুব আলী, যমুনা প্রসাদ, কেডিয়া, রামেশ্বর লাল আগরওয়ালাসহ গ্রেফতারকৃত সৈয়দপুরের প্রায ১৫০ জন স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে ১৯ দিন নির্মম অত্যাচার চালিয়ে অবশেষে রংপুর সেনানিবাসের পশ্চিম পার্শ্বের উপ-শহরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
পার্বতীপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর পাকসেনারা পুনরায় গোলাবর্ষণ করে। পাকসেনাদের মর্টার থেকে গোলাবর্ষণের মুখে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে। এ যুদ্ধে একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
নাটোরে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের উপর পাকসেনারা ব্যাপক শেলিং-এর মাধ্যমে আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে বানেশ্বর (রাজশাহী) গিয়ে ডিফেন্স নেয়।
পাকবাহিনী তিস্তা দখলের লক্ষ্যে তিস্তা পুলে অবস্তানরত মুক্তিবাহিনীর প্র্রতিরক্ষা ব্যুহে ভারি অস্ত্রের সাহায্যে তিনদিক থেকে আক্রমণ চালায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক ‘আমেরিকান ফ্রেন্ডস অব পাকিস্তান’ সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার কাছে প্রেরিত এক আবেদনে অবিলম্বে পূর্ব বাংলার সমস্যা সমাধানের জন্য আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান। তারা বলেন, কোনো সরকারেরই অস্ত্র ও বল প্রয়োগের মাধ্যমে জনসাধারণের ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাদের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার নেই।
ঢাকার সামরিক কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ ছাড়া সরকারি বিভাগ, স্ব-শাসিত, আধা-স্বশাসিত সংস্থাতাসমূহের সকল কর্মচারীকে সর্বশেষে ২১ এপ্রিলের মধ্যে কাজে যোগদানের নির্দেশ দেয়। নির্দেশে আরো বলা হয়, এরপর অনুপস্থিত কর্মচারীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।
বেতার ভাষণে সবুর খান একটুও দয়া না দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগিতাকারদের খতম করার আহবান জানায়। এমনকি সন্দেহজনক যেকোনো লোকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলে।
মুসলিম লীগ সভাপতি শামসুল হুদার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গণহত্যার নায়ক টিক্কা খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।
ঢাকায় নিযুক্ত একজন বিদেশী কূটনীতিকের বরাত দিয়ে ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, কোন সন্দেহ নেই যে পূর্ব পাকিস্তানে বিপুল ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছে। এটি আক্ষরিক অর্থেই রক্তস্নান। চেঙ্গিস খানের সঙ্গে এর কোনো পার্থক্য ছিল না। সেনাদল এখন বিদ্রোহীদের দমন কাজে ব্যস্ত। ট্যাঙ্ক চড়ে বেড়াচ্ছে ঢাকার কুকে। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে বহু বাড়িঘর।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/এএস/এপ্রিল ১২, ২০২৪)
পাঠকের মতামত:
- গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এবার অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু
- পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চলছে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি
- এলজিইডির প্রধান কার্যালয়সহ ৩৬ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
- ৯ দাবিতে কোরিয়ান ভিসাপ্রত্যাশীদের মানববন্ধন
- ‘স্বৈরাচারের অন্যায় আদেশ পালন করতে গিয়ে জনরোষের মুখে পড়ে পুলিশ’
- কানাডার নির্বাচনে এগিয়ে মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি
- ‘দলগুলোর সমর্থন ছাড়া প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়’
- ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে আইনি নোটিশ
- তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
- ‘বনশ্রীর মেরাদিয়ায় কোরবানির পশুর হাট বসবে না’
- ‘মানবিক করিডোরের সিদ্ধান্ত সব দলের সঙ্গে বসে নেওয়া উচিত ছিল’
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সদস্যদের বৈঠক
- এবার সারাদেশের সব পলিটেকনিকে টানা শাটডাউন ঘোষণা
- বজ্রপাতে ৮ জেলায় ১৫ জনের মৃত্যু
- ফরিদপুরে বণার্ঢ্য আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়েছে
- সাতক্ষীরায় কলেজ শিক্ষকের জমি জবরদখলের চেষ্টা
- নড়াইলে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় শিশু নিহত, আহত ৩ জন
- ‘সামরিক সরকার দেয়াল থেকে রাজনৈতিক স্লোগানসমূহ মুছে ফেলার নির্দেশ দেয়’
- নড়াইলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১
- ধর্ষণের ভিডিও প্রচারের ভয়ে কিশোরী নিলার আত্মহত্যা, আরো এক আসামি গ্রেফতার
- বাপ-বেটার প্রতারণায় ওয়ারিশকৃত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হলেন চাচা
- গ্যালাক্সি এ০৬ স্মার্টফোন উন্মোচন করল স্যামসাং
- শ্রীমঙ্গলে এসএম এডুকেশনের উদ্বোধন
- টাঙ্গাইলের পথেঘাটে দীপ্তি ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া
- রোহিঙ্গাদের জন্য পৃথক রাষ্ট্রের প্রস্তাব থেকে সরে এলো জামায়াত
- ‘বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় জীবননাশের শঙ্কায় ছিলাম’
- ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’
- বজ্রপাত ও তালগাছ: গ্রামীণ বাংলার প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা
- ভূস্বর্গ কাশ্মীর ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে
- কেউ কথা রাখে নি
- গাজায় ১৫ স্বাস্থ্যকর্মীকে গুলি করে হত্যা
- চীনে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
- সিএইচসিপিদের বেতন বন্ধ, তাদের পরিবারে নেই ঈদ আনন্দ
- ইরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বহু হতাহতের শঙ্কা
- ৯ দিন পর ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
- ভারত থেকে এলো আরও ১০ হাজার ৮৫০ টন চাল
- মাছের সাথে শত্রুতা!
- ‘ভোটের রোডম্যাপ ঘোষণা না হলে ষড়যন্ত্র আরও বেশি দানা বাঁধবে’
- ধামরাইয়ে ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া ও গ্যাসের আগুনে পুড়ে গেছে কৃষকের ২০০ বিঘা জমির বোরো ধান
- ফিরে দেখা, ঘুরে দেখা
- ‘নির্বাচন-বিচার যত দেরি হবে আওয়ামী লীগ ততই সুযোগ পাবে’
- মহম্মদপুরে প্যানেল চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন
- ‘কিউবা থেকে আমরা লং টার্ম সার্ভিস পেতে পারি’
- গরমে প্রশান্তি দেবে কাঁচা আমের আম পান্না
- কাপাসিয়ায় প্রয়াত সাংবাদিক মুজিবুর রহমানের পরিবারের পাশে জামায়াত নেতা সালাউদ্দিন আইউবী