E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

১৯ জুন, ১৯৭১

‘পাকিস্তান শুধু টিকেই থাকবে না, শক্তিশালীও হবে’

২০২৪ জুন ১৯ ১৪:৪০:৩৯
‘পাকিস্তান শুধু টিকেই থাকবে না, শক্তিশালীও হবে’

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধারা মন্দভাগের কাছে পাকবাহিনীর এক প্লাটুন সৈন্যকে এ্যামবুশ করে। এতে পাকবাহিনীর ৯ জন নিহত হয় এবং বাকী সেনারা মন্দভাগ গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়।

মুক্তিবাহিনী চৌদ্দগ্রাম ঘাঁটির ওপর পাকবাহিনীর দুই ব্যাটালিয়ন সৈন্য লাকসাম ও ফেনীর দিক থেকে প্রবল আক্রমণ চালায়। সারাদিনব্যাপী যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা চৌদ্দগ্রাম ঘাঁটি পরিত্যাগ করে। এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর ২০০ জন হতাহত হয়। অপরদিকে দুইজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও চারজন আহত হয়।

চট্টগ্রামে চাঁদগাজী মুক্তিযোদ্ধা ঘাঁটির ওপর পাকবাহিনী হামলা চালায়। দুটি পদাতিক বাহিনীর ব্যাটালিয়ন পিছন দিক থেকে মুহুরী নদী দিয়ে স্পীডবোটযোগে একটি কোম্পানি ও পাকিস্তানিদের রিয়ার হেড কোয়ার্টার থেকে আরেক দল আর্টিলারি, মর্টার ও অন্যান্য স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রেও সাহায্যে ত্রিমুখী আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষে মুক্তিবাহিনী ক্ষতি স্বীকার করলেও পাকসেনাদের ১৫০ জন নিহত ও অনেক আহত হয়। এতে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের চাঁদগাজী অবস্থান ত্যাগ করে পিছু হটে এবং পাকহানাদাররা চাঁদগাজী দখল করে নেয়।

মুক্তিবাহিনী বড়পুঞ্জি সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন রবের নেতৃত্বে এক কোম্পানি মুক্তিযোদ্ধা মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানায় পাকবাহিনীর সীমান্ত ঘাঁটি লাঠিটিলা আক্রমণ করে। তুমুল যুদ্ধের পর লাঠিটিলা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে। এ যুদ্ধে চারজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়। অপরদিকে পাকসেনাবাহিনীর ২২ বেলুচ রেজিমেন্টের একজন হাবিলদার ও একজন সেপাই মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়ে। এতে মুক্তিযোদ্ধারা অনেক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখর করে।

ঢাকার সামরিক গভর্নর লে. জেনারেল টিক্কা খান করাচীতে বলেন, পাকিস্তান জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল খাঁটি পাকিস্তানি উদ্বাস্তুকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, দুষ্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) ধ্বংসাত্মক কাজের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল লাইনের চারটি প্রধান সেতুর ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সেতুগুলো মেরামত ও পুনঃনির্মাণের কাজ শেষ হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ আবার চালু হবে।

পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক গোলাম আজম রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে সাক্ষাৎ করে ‘পূর্ব পাকিস্তান’ প্রসঙ্গে পরামর্শ দেন।

অধ্যাপক গোলাম আজম রাওয়ালপিন্ডিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, পাকিস্তান শুধু টিকেই থাকবে না, শক্তিশালীও হবে। তিনি বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ ছাড়া দেশকে বিচ্ছিন্নতার হাত থেকে রক্ষা করার বিকল্প কিছু ছিল না।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগজীবন আসানসোলে াকে জনসভায় বলেন, বাঙালি শরণার্থীরা অবরুদ্ধ পূর্ব পাকিস্তানের নয়, শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরতে আগ্রহী।

ভারতে আশ্রয়গ্রহণকারী বাংলাদেশের শরণার্থী সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৯ লাখ ২৩ হাজার ৪ শ ৩৯ জন।

তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/এএস/জুন ১৯, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৫ জুন ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test