E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

৪ জুলাই, ১৯৭১

রংপুরের গড্ডিমারীতে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়

২০১৫ জুলাই ০৪ ০৯:১২:৩৯
রংপুরের গড্ডিমারীতে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : পাকবাহিনীর দুই কোম্পানী সৈন্য ফেনী থেকে বেলুনিয়া যাওয়ার পথে শালদা বাজারে সাময়িক অবস্থান নেয়। এ সময় ক্যাপ্টেন জাফল ইমামের এক প্লাটুন যোদ্ধা ৩ ইঞ্চি মর্টারসহ পাকসেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৩০ জন সৈন্য নিহত ও ২০ জন সৈন্য আহত হয়।

পাকবাহিনীর একদল সৈন্য মুক্তিবাহিনীর কুমিল্লার কোটেশ্বর ঘাঁটির সম্মুখবর্তী হলে মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক আক্রমণ চালায়। ২/৩ ঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনারা ৫০০/৬০০ গজ পিছু হটে সারিপুরের দিক থেকে আবার অগ্রসর হবার চেষ্টা চালায়। এতেও মুক্তিযোদ্ধাদের গুলির সামনে টিকতে না পেরে সম্পূর্ণ পর্যুদস্ত হয়ে পিছু হটে। এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর কমপক্ষে ৩০ জন সৈন্য হতাহত হয়। অপরদিকে একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

দিনাজপুরে মেজর নাজমুল হকের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর একটি দল পাকবাহিনীর কাঞন সেতু ঘাঁটি আক্রমণ করে। আড়াই ঘন্টা ব্যাপী তুমুল সংঘর্ষের পর মুক্তিযোদ্ধারা কোনো ক্ষতি স্বীকার না করে পিছু হটে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।।

পূর্ব-দিনজিপুরের পঁচাগড়ের ৮ মাইল উত্তরে পাকবাহিনীর অমরাখানা সীমান্ত ঘাঁটির ওপর মুক্তিবাহিনী তুমুল আক্রমণ চালায়। তীব্র যুদ্ধ শেষে অমরাখানা সীমান্ত ঘাঁটি মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে।

রংপুরের গড্ডিমারীতে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়।

মুক্তিবাহিনী ঠাকুর গাঁওয়ের ১৪ মাইল উত্তর-পশ্চিমে পাকবাহিনীর লাহিড় চৌকির ওপর কামান ও মর্টারের সাহায্যে তীব্র আক্রমণ চালায়।

পাকিস্তান বৃটেনের কাছে বৃটিশ পার্লামেন্ট, বিবিসি ও সংবাদপত্রে বাংলাদেশের পক্ষে ও পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রচারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।

প্রতিবাদ লিপিতে লন্ডনে বাংলাদেশ সংগ্রাম কমিটির মাধ্যমে দায়িত্বপূর্ণ বৃটিশ নাগরিক ও বিদেশীরা (বাঙালিরা) যে কর্মতৎপরতা চালাচ্ছেন তার প্রতি বৃটিশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। লিপিতে বলা হয় ঃ গ্রেট বৃটেনে বাংলাদেশের জন্য অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনার উদ্দেশ্যে তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে।

প্রতিবাদলিপিতে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার এ্যালেকডগলাস হিউমের ২৩ জুনের বিবৃতিকে পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ বলে উল্লেখ করা হয়।

ঢাকায় সামরিক কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে ঃ সাতক্ষীরা থেকে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল গফফার ভারত থেকে ফিরে এসে নিজেকে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের কাছে সোপর্দ করেছেন। ফেনী থেকে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য ওবায়দুল্লাহ মজুমদার বর্তমানে সপরিবারে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেড হাসান জাহেদী পাকিস্তানের সংহতি ও ঐক্য রক্ষার কাজে পাকিস্তানের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
(ওএস/অ/জুলাই ০৪, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test