E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ড.কামাল হোসেন স্যার প্রসঙ্গে

২০১৭ এপ্রিল ০৩ ১৯:০৩:৪৪
ড.কামাল হোসেন স্যার প্রসঙ্গে

প্রবীর বিকাশ সরকার


বিশ্বমাপের আইনজ্ঞ এবং রাজনীতিবিদ ড.কামাল হোসেনের সঙ্গে হাত মেলানোর পরম সৌভাগ্য হয়েছিল একবার জাপানে। সময়টা ১৯৯২-৯৩ সালের কোনো এক সময়। তিনি জাপান সফরে এসেছিলেন। তখনো তিনি আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতা।

১৯৯১ সালের কথা। জাপানে তখন প্রচুর বাংলাদেশি। অধিকাংশই তরুণ। এবং অধিকাংশই ছাত্রনামধারী ভিসাহীন। বাংলাদেশে তখন বিএনপির শাসন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির এবং নাজুক। বহু তরুণ যারা ছিলেন স্বাধীনতা পক্ষের দল আওয়ামী লীগের সমর্থক এবং ছাত্রলীগের কর্মী জাপানে পালিয়ে এসেছিল। তখনকার জাপানের কোনো তথ্যমাধ্যমে পড়েছিলাম অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশি। পুলিশ প্রতিনিয়ত ধরপাকড় করছে, দেশে ফেরৎ পাঠাচ্ছে। কিন্তু আসা বন্ধ ছিল না। সংখ্যায় কম হলেও ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়েও অনেক বাংলাদেশি তরুণ দালালদের হাত হয়ে জাপানে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু তাদেরকে দিকনির্দেশনা দেবার মতো, সহযোগিতা করার মতো কোনো পন্থা ছিল না। যারা অনেক আগে থেকেই জাপানে বসবাস করছিলেন পাকিস্তান আমল থেকে সেইসব এলিটরা দেশ স্বাধীন হলে পরে জাপানে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি-জাপান’ নামে একটি সংগঠন গঠন করেছিলেন ১৯৭২ সালেই। আর কোনো সংগঠন-সমিতি ছিল না। তারা তো ভাসমান প্রবাসীদের উটকো ঝামেলা মনে করতেনই, দূতাবাসও তাদের কোনো দাবি দাওয়ার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করতো না। তাছাড়া তখন দূতাবাসে ছিল বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের অবস্থান।

আমরা অনেকেই জানি না যে, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর খুনীরা ব্যাংকক হয়ে টোকিওতে এসে নিরাপদ আশ্রয় পেয়েছিল। অথচ তখন জাপানে অনেক বঙ্গবন্ধুভক্ত ছিলেন যাঁরা জাঁদরেল রাজনীতিবিদ, সাংসদ, ব্যবসায়ী এবং বুদ্ধিজীবী কিন্তু কেউ এই খুনীদের জাপানে আশ্রয় নেয়ার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করেননি! সে এক আশ্চর্যের বিষয় হলেও অনেক পরে বুঝতে পারলাম যে, আমেরিকার কূটনৈতিক চাপে জাপান সরকার বাধ্য হয়েছিল এদেরকে আশ্রয় দিতে কারণ আমেরিকার কাছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পরাস্ত জাপান চুক্তিবলে পরাশক্তি আমেরিকার মিত্র।

খুনীরা অবশ্য কেউ কেউ অন্যদেশে পাড়ি জমালেও একজন কর্নেল রাশেদ চৌধুরী জাপানে বেশ কয়েক বছর বহাল তবিয়তে অবস্থান করেছিলেন। এই খুনীরা জাপানে এসে টোকিওর অন্যতম প্রাণকেন্দ্র শিবুইয়া শহরে একটি রেস্টুরেন্ট স্থাপন করেছিল ‘রয়েল বেঙ্গল রেস্টুরেন্ট’ নামে। পরে অবশ্য সেটি একজন জাপানি চা’পাতার কারবারী নাকাগাওয়া কেইসুকে কিনে নিয়েছিলেন এবং তাঁর বাঙালি স্ত্রী শিউলি নাকাগাওয়া মিলে কয়েক বছর পরিচালনা করেছিলেন। আমরা তখন এই রেস্টুরেন্টে প্রায়শ যেতাম এবং আলাপআলোচনা করতাম। আর কোনো বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট তখন টোকিওতে স্থাপিত হয়নি।

আমি জাপানে আসি ১৯৮৪ সালে জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতির ছাত্র হিসেবে। আশির দশকের শেষদিকে ঢাকা থেকে আগত শরীফ চৌধুরী নামে এক তরুণের নেতৃত্বে আমরা কতিপয় তরুণ এলিটদের সঙ্গে লড়ালড়ি করে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সোসাইটি-জাপান অধিকার করি। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এই সংগঠনের আমি যথাক্রমে সাংস্কৃতিক এবং প্রকাশনা সম্পাদক ছিলাম। এরপর এই সালেই আমি চিন্তা করি জাপানে স্বাধীনতাপক্ষের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী প্রচুর তরুণ তাদের নিয়ে একটি সংগঠন গঠন করা যায় কিনা! প্রথমে বিষয়টি আমি অনুজপ্রতীম বন্ধু আমিনুল ইসলাম আমিনকে জানালাম এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ-জাপান শাখা গঠনের উদ্যোগ নিলাম। আমিনের মাধ্যমে কাজী মাহফুজুল হক লাল, সৈয়দ দুলাল, টিএইচ তসলিম, ফরহাদ হোসেন, মহিউদ্দিন মানিক, জীবনকৃষ্ণ বণিক, কৃষ্ণচন্দ্র বাড়ুই, রতন চক্রবর্তী প্রমুখ জানতে পারলো। আমরা কয়েকটি সভা করলাম তসলিম এবং লালের বাসায়। তারপর একাধিক রেস্টুরেন্টে। এরমধ্যে কীভাবে খবর পেয়ে এগিয়ে এলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন ছাত্রলীগনেতা জাপানপ্রবাসী উচ্চশিক্ষার্থী ডাঃ সরদার নাঈম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিএইচডি-শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন, অনুরূপ উচ্চশিক্ষার্থী ড.কবীর আহমেদ প্রমুখ। ডাঃ নাঈমকে উপদেষ্টা, কাজী লালকে আহবায়ক করে একটি কমিটি দাঁড় করিয়ে লালকে ঢাকায় পাঠানো হলো কেন্দ্রিয় কমিটির অনুমোদনের জন্য বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে। সব ব্যবস্থাই করে দিলেন নাঈমভাই। এভাবেই ১৯৯১ সালে ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ-জাপান শাখা’ গঠিত হয়। সে বছর মার্চে আমি জাপানের প্রথম মুদ্রিত বাংলা কাগজ ‘মানচিত্র’ প্রকাশ করি আমার জাপানি স্ত্রী নোরিকো মিয়াজাওয়ার সহযোগিতায়।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ-জাপান শাখা গঠনের জন্মলগ্ন থেকেই অনেকেই খুশি ছিলেন না এই ধরনের বুদ্ধিতাত্ত্বিক সংগঠন নিয়ে ফলে অচিরেই আওয়ামী লীগ জাপান-শাখা গঠন করা হয় কেন্দ্রিয় কমিটির অনুমোদনক্রমে যার প্রথম সভাপতি হয় বন্ধুবর তরুণ ব্যবসায়ী কাজী মাহফুজুল হক লাল এবং সাধারণ সম্পাদক ছালেহ্ মোহাম্মদ আরিফ। কিন্তু কর্তৃত্ব নিয়ে দলাদলি শুরু হলে পরে তসলিমও আলাদা একটি শাখা গঠন করে অনুমতি ছাড়াই। তারপর কত যে দলাদলি, লাঠালাঠি, ঝগড়া-ফ্যাসাদ এবং পুলিশি ঝামেলা হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই! নানাভাগে ভাগাভাগি হয়ে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ জাপান শাখা-উপশাখা সবগুলোর অবসান হয়েছে সম্প্রতি। রয়ে গেছে এখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একনিষ্ঠ সৈনিক শেখ এমদাদের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদ জাপান-শাখাটি।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠনের পরপরই ১৯৯১ সালের ১৫ই আগস্ট উপলক্ষে টোকিওতে প্রথম বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে একটি সাধারণ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় ঘটা করে। কয়েক হাজার প্রবাসী তাতে অংশগ্রহণ করেছিল ব্যস্ততম ইকেবুকুরো শহরে। তখন আমি সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক একইভাবে প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি। সম্মেলনের উপস্থাপনাও করি আমি। সেবার আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন কেন্দ্রিয় পরিষদের সদস্য বিচারপতি কেএম সোবহান। সেইই প্রথম আমরা বঙ্গবন্ধুর সত্যিকারের উচ্চমাপের একজন ভক্তের সঙ্গে আলাপ করার সুযোগ লাভ করেছিলাম। সে এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি আমার প্রবাসজীবনে।

আর দ্বিতীয় অবিস্মরণীয় ঘটনা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্নেহভাজন তাঁর সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড.কামাল হোসেনের সঙ্গে উক্ত সাক্ষাৎ। এরপর অবশ্য আরও এসেছেন যেমন অধ্যাপক ড.কবীর চৌধুরী, কবি ও প্রাবন্ধিক আহমদ রফিক, লীগনেতা আবদুর রাজ্জাক, ভাষাসৈনিক এডভোকেট গাজীউল হক, শেখ ফজলুল রহমান টোকন প্রমুখ।

সেই সময় আমরা জানতাম যে, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরের সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে ড.কামাল হোসেনও তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন। বেশ কয়েক বছর পর সেইসময়কার একটি রঙিন আলোকচিত্রও খুঁজে পেয়েছিলাম জাপানপ্রবাসী বেতার সাংবাদিক ইসকান্দার আহমেদ চৌধুরীর কাছে এবং আমার ‘মানচিত্র’ ম্যাগাজিনে প্রকাশ করেছিলাম।

ড.কামাল হোসেন বঙ্গবন্ধু-হত্যাকাণ্ডের পর জাপানে প্রায়শ আসতেন বলে আমরা খবর পেতাম কারণ জাপানের একাধিক বড় প্রতিষ্ঠানের তিনি লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করতেন। একবার এভাবেই কোনো কাজে জাপানে এসেছিলেন ১৯৯২-৯৩ সালের কোনো এক সময়। বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা ডাঃ সরদার নাঈমের সঙ্গে কামাল হোসেনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান ফলে তারই কল্যাণে আমরা তাঁর জন্য একটি ঘরোয়া সংবর্ধনার আয়োজন করলাম সম্ভবত শিনকোইওয়া শহরের কোনো একটি মিলনায়তনে দুপুরবেলা। তাঁকে হোটেল থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল যতদূর মনে পড়ে। তাঁকে দেখার জন্য এবং আলাপ করার জন্য প্রচুর প্রবাসী উপস্থিত হয়েছিল। অনেকের উষ্ণক্ষোভ ছিল বঙ্গবন্ধু-হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর নীরব ভূমিকা নিয়ে। তিনি লন্ডনে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলেও কথিত আছে। তাদের উত্তেজনা ও উষ্মাকে প্রশমন করে আমরা মতবিনিময়ে মিলিত হই। অবশ্য সেই বিতর্কিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত প্রসঙ্গে না গিয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করা, আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ এবং প্রবাসীদের বৈধ করে নেবার জন্য দাবিদাওয়াসহ নানা প্রসঙ্গে আলাপআলোচনা করেছিলাম। খুব ব্যস্ত বিধায় তিনি আমাদের এক ঘণ্টা কি ঘণ্টাদেড়েক সময় দিয়েছিলেন। তাঁর উপস্থিতি এবং সান্নিধ্য আমাদেরকে যেমন সাহস যুগিয়েছিল তেমনি করেছিল এগিয়ে চলার জন্য দারুণ অনুপ্রাণিত। আমি তাঁর সঙ্গে করমর্দন করার সৌভাগ্য লাভ করি এবং ‘মানচিত্র’ পত্রিকার কপি উপহার দিই। তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন এবং নিজের হাতে আমার টেলিফোন গাইডে তাঁর বাসার ঠিকানা ও টেলিফোন নম্বর লিখে দিয়ে বলেছিলেন, ‘ঢাকায় গেলে দেখা করো, কথা বলা যাবে। প্রবাসে তোমরা খুব ভালো কাজ করছো।’

আমি বললাম, ‘স্যার আমার কাগজের জন্য একটি সাক্ষাৎকার দেবেন যদি সম্ভব হয়।’ তিনি রাজি হয়েছিলেন। ঢাকায় ফিরে গেলে পরে ‘মানচিত্রে’র তৎকালীন ঢাকা প্রতিনিধি বন্ধুবর কবি সাইফুল্লাহ্ মাহমুদ দুলালের মাধ্যমে গৃহীত তাঁর একটি ছোট্ট সাক্ষাৎকার কাগজে প্রকাশ করি। সেই সাক্ষাৎকারে করমর্দনরত ছবিটি মুদ্রিত হয়। যা আমার প্রবাসজীবনে আরও একটি উজ্জ্বল স্মৃতি।

অবশ্য এরপর ঢাকায় একাধিকবার গিয়েছি কিন্তু তাঁর বাসায় আর যাওয়া হয়নি। যদিওবা তাঁর স্ত্রীর পরিচালিত ‘আইন ও শালিসী কেন্দ্রে’ একবার গিয়েছিলাম অনুজপ্রতীম বন্ধু ‘মানচিত্র’ কাগজের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মঞ্জুরুল আজিম পলাশের সঙ্গে। অনেক বছর পরে তাঁকে নিয়ে একটি ক্ষুদ্র অভিমত লিখেছিলাম ‘মানচিত্রে’ই আমি: খুব দুঃখ পেয়েছিলাম তাঁর আওয়ামী লীগত্যাগের ঘটনায়! আমার কাছে সেই ঘটনা একটি বড় রকমের মানসিক ধাক্কা এবং শোকের মতো অনুভূত হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ছেড়ে তিনি পরে গণফোরাম গঠন করেছিলেন, দেশব্যাপী সোচ্চারও হয়েছিলেন রাজনৈতিকভাবে কিন্তু এগিয়ে যেতে পারেননি। মীরপুরের নির্বাচনে খালেকের কাছে তাঁর অপ্রত্যাশিত চরম পরাজয় তাঁর জীবনেই শুধু নয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক ঘটনা বলে প্রতিভাত যা কাম্য ছিল না। জাতীয় সংসদে তাঁর মতো বিদেশে অভিজ্ঞতাঅর্জিত অভীজ্ঞ রাজনীতিবিদের অনুপস্থিতি জাতির জন্য অমোচনীয় দুর্ভাগ্যই বলতে হবে!

আন্তর্জাতিক আইনজ্ঞ, রাজনীতিবিদ এবং বিদ্বান এই মানুষটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক জগতে থেকেও যেন নেই---এটা হতাশাব্যঞ্জক। আজকাল তিনি রাজপথেও নেই। তাঁর ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে কিন্তু তাঁর বিচক্ষণ কর্ম ও পরামর্শেরও প্রয়োজন রয়েছে এটাও অবহেলিত হচ্ছে। শুধু জনপ্রিয়তা যে বিচক্ষণ রাজনীতির লক্ষণ নয়, যোগ্যতর বুদ্ধিমত্তারও প্রয়োজন রয়েছে জাতির সংকটকালে আর তাই উচিত সরকারেরও তাঁকে নিযুক্ত করা উন্নয়নমূলক কাজে--এই অনুধাবনটি বাঙালি সমাজে প্রতিষ্ঠা না পাওয়াটা বাংলাদেশের অন্তঃসারশূন্যতা ও অনগ্রসরতাকেই নির্দেশ করছে।

কথায় বলে ‘বাঙালি হারিয়ে কাঁদে’, বঙ্গবন্ধুর পর যেটা আমরা অনুভব করছি আজকে সুতীব্রভাবে, তেমনি বঙ্গবন্ধুভক্ত একদা তাঁর তরুণ সুহৃদ ড.কামাল হোসেনের পর এই কথাটিও আমাদের বিবেককে বিদ্ধ করার জন্য যেন প্রতীক্ষারত।

ড.কামাল হোসেনে স্যারের নির্বিঘ্ন জীবন এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি।

লেখক : জাপান প্রবাসী সাহিত্য গবেষক।

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test