শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
আজ রবিবার ১২ জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস ২০২২। সারা বিশ্বে শিশুশ্রম বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে এই দিবসটি পালন করা হয়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ১৯৯২ সালে প্রথম শিশুশ্রমের জন্য প্রতিরোধ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মোতাবেক ২০০২ সালের ১২ জুন থেকে আইএলও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবছর দিবসটি ‘শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন ও প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেন। আর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন ও সুরক্ষার বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে জাতীয় শিশু নীতি-২০১১, শিশু আইন-২০১৩, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ প্রণয়ন করেছে।আর শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন ২০১৮-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। কেউ যদি শিশু শ্রমিক নিয়োগ করে, তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হবে। ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত কিশোররা হালকা কাজ করতে পারবে। আগে ১২ বছরের শিশুরা হালকা কাজের এ সুযোগ পেত।শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।অনুসন্ধান করে জানা যায়,বাংলাদেশে বর্তমানে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার শিশু শ্রমিক রয়েছে যাদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে ১২ লাখ ৮০ হাজার শিশু।জরিপে বলা হয়েছে দেশের মধ্যে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা সব থেকে বেশি ঢাকা বিভাগে যা প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ এবং এর পরেই চট্টগ্রামে রয়েছে ৫.৮ শতাংশ শিশু শ্রমিক। দেশের মধ্যে শিশুশ্রম সব চেয়ে কম বরিশালে ১.৭ শতাংশ।
আজকের বিষয় নিয়ে কলাম লিখেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট গবেষক ও জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা.এম এম মাজেদ তার কলামে লিখেন...শিশুরাই দেশ ও জাতির কর্ণধার। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের দেশ, জাতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এজন্য শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও মেধার বিকাশের জন্য নানা ধরণের পরিচর্যা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে শিশুরা অশিক্ষা ও দারিদ্র্যের কারণে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। অভাবের কারণে জীবনের শুরুতেই তারা বিভিন্ন শ্রমের পেশায় জড়িত হতে হচ্ছে।আর বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি শিশু শ্রমিক ব্যবহার হয়– টেক্সটাইল, পোশাক শিল্প, চামড়া শিল্প, ইট ভাটা ও জুতার কারখানায়। হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ গুলোতে। বর্তমানে অনেক শিশুকে ঢাকার রাস্তায় রিক্সা চালাতেও দেখা যায়। এছাড়াও মাঝারি যানবাহন - লেগুনা, টেম্পুতে চলন্ত অবস্থায় ঝুঁকির মধ্যে যাত্রী ওঠানো, ভাড়া আদায় করার মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে থাকে। তবে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন দোকান-পাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর ক্যান্টিন গুলাতে শিশু শ্রমিকের মিলন মেলা দেখা যায়।
শিশু শ্রমিক
প্রচলিত আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত বয়সের চেয়ে কম বয়সে কাজে নিয়োজিত সকল শ্রমিকই শিশু শ্রমিক। বিশেষজ্ঞদের ঐক্যমত্য অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল ক্ষেত্রে শিশুর জন্য শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক দিক থেকে ক্ষতিকর এবং শিশুর প্রয়োজন ও অধিকারের সঙ্গে সামজ্ঞস্যহীন বঞ্চনামূলক শ্রমই শিশু শ্রম ।
পোশাক শিল্প কারাখনা একটি শ্রম নিবিড় শিল্প। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় লিড টাইম ব্যবস্থাপনার জন্য কারখানায় প্রচণ্ড কাজের চাপ থাকে। ফলে এ শিল্পে শিশু শ্রমিক নিয়োগ শিশুর মানসিক বিকাশ সহায়ক হবে না বলে কর্তৃপক্ষ মনে করেন যা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল শিশুর জন্য প্রযোজ্য।
এ জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে মানব সম্পদ বিভাগের অফিসারগণ চাকুরীর জন্য আগত প্রার্থীদের জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে।
বাছাই এর পরও প্রার্থির বয়স নির্ধারনের বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য রেজিস্টার্ড চিকিৎসক এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রার্থীর বয়স নির্ধারণ করা হয়।
কোন কোন ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ প্রার্থীর বয়স প্রমাণের জন্য পরীক্ষা পাশের সনদ পত্র গ্রহণ করেন। যদি কখনো অত্র প্রতিষ্ঠানে শিশু ও কিশোর শ্রমিক আছে বলে প্রমানীত হয় তাহলে নিম্নে উলে-খিত/শ্রম আইন অনুযায়ী সকল নিয়মনীতি অনুসরনে কর্তৃপক্ষ অঙ্গীকার বদ্ধঃ-
কোন কিশোর শ্রমিককে দিয়ে দৈনিক পাচঁ ঘন্টা সপ্তাহে ত্রিশ ঘন্টার অধিক কাজ করানো যাবে না। কোন কিশোর শ্রমিককে দিয়ে দৈনিক অতিরিক্ত দুই ঘন্টা সহ মোট ৭ ঘন্টা সপ্তাহে বিয়ালিশ ঘন্টার বেশী কাজ করানো যাবে না।
কোন কিশোর শ্রমিককে দিয়ে সন্ধ্যা ৭:০০ ঘটিকা থেকে সকাল ৭:০০ঘটিকার মধ্যে কোন কাজ করানো যাবে না।
কিশোর শ্রমিকের কাজের সময় দুইটি পালায় সীমাবদ্ধ রাখিতে হইবে, এবং কোন পালার সময় সীমা সাড়ে সাত ঘন্টার বেশী হবে।
কোন কিশোর শ্রমিক একই দিনে একাধিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করিতে পারিবে না। কোন কিশোর শ্রমিককে দিয়ে ভূগর্ভে অথবা পানির নীচে কাজ করানো যাবেনা। বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি কিশোর কর্ম ঘন্টা সর্ম্পকে তাহার কাজের নিদির্ষ্ঠ সময় উল্লেখ্য পূর্বক একটি নোটিশ প্রদর্শন করিতে হইবে।
বিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন তাহাদের স্বাস্থ্য উন্নতি এবং শিক্ষা গ্রহনে বাধা এমন কোন কাজ দেয়া যাবে না।
যদি কোন কিশোর শ্রমিক বিদ্যালয়গামী হয় তাহা হইলে তাহার কাজের সময় এমনভাবে নির্ধারন করিতে হইবে যাহাতে তাহার বিদ্যালয় গমনে বিঘিন্নত না হয়।
কিশোর শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এই অধ্যায়ের সকল বিধান যতদুর সম্ভব, উক্ত শিশু শ্রমিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।
শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। জাতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে শিশুদের উন্নয়নের সার্বিক কার্যক্রম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন। বাংলাদেশ জাতীয় শিশু নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কর্তৃপক্ষ সকল সময়েই শিশু শ্রমিক নিয়োগ নিরুৎসাহিত করে।
শিশু অধিকার সনদে মূলনীতি
*বৈষম্যহীনতা।
*শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষা।
*শিশুর অধিকার সমুন্নত রাখতে পিতা মাতার দায়িত্ব।
*শিশুদের মতামতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন।
কাজে নিয়োগের জন্য সর্বনিম্ন বয়স
শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী শিশুদের নিয়োগ নিষিদ্ধ এবং কোন কারখানায় তাদের কে নিয়োগ করার ক্ষেত্রে যোগ্যতা সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়। শিশু বলতে তার বয়স চৌদ্দ বছর সম্পন্ন হয়েছে এবং কিশোর বলতে ষোল বছর সম্পন্ন হয়েছে কিন্তু সে ১৮ বছরের নিচে এমন ব্য্যক্তি কে বোঝায়। ব্যতিক্রম ক্ষেত্রে, কোন শিশু বার বছর সম্পন্ন করেছে এমন শিশু কে হালকা কাজে নিয়োজিত করা যাবে যেখানে শিশুটির শারীরিক স্বাস্থ্য এবং উন্নয়নে বা মানসিক বিকাশে কোন প্রকার ব্যাঘাত ঘটাবে না। এই ধরনের শিশুদের কাজের সময় এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যাতে করে তাদের স্কুলের উপস্থিতির কোন সমস্যা না হয়। শ্রম আইনের অধীনে শিশুদের শ্রম চুক্তি তাদের পিতামাতা বা অভিভাবক দ্বারা করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আছে। কিশোর শ্রমিকদের ক্ষেত্রে তাদের উপযুক্ততার সার্টিফিকেট নিবন্ধিত চিকিৎসক দ্বারা প্রদান করা বাধ্যতামূলক। এই ধরনের যোগ্যতা সার্টিফিকেট ইস্যু করার তারিখ হতে বার মাসের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কার্যকর থাকে। (শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৩৪-৩৮ ও ৪৪, সংশোধিত ২০১৩)
বিপজ্জনক কাজের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স
বিপজ্জনক কাজের জন্য নির্ধারিত সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর। ১৬ বছরের উপরে এবং ১৮ বছরের নিচে শ্রমিকদেরকে কোন প্রতিষ্ঠানে যন্ত্রপাতি চালু অবস্থায় পরিষ্কারের জন্য, তেল প্রদানের জন্য বা তাকে সুবিন্যস্ত করার জন্য বা সেই যন্ত্রের চলমান অংশগুলোর মাঝে বা স্থির এবং চালু অংশের মাঝে কাজ করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। কোন কিশোর এমন কোন যন্ত্রের কাজ করবে না যদি না সে উক্ত যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত বিপদ সম্পর্কে এবং এই ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভাবে অবগত থাকে অথবা সেই যন্ত্রতে কাজ করার ব্যাপারে সে যথেষ্ট প্রশিক্ষন গ্রহন করেছে বা সেই যন্ত্র সংক্রান্ত অভিজ্ঞ এবং পুরোপুরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির তত্তাবধানে কাজ করে। একজন কিশোর শ্রমিক কোন কারখানা বা খনিক্ষেত্রে দিনে ৫ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ৩৩ অধিক কাজ করতে পারবে না এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দিনে ৭ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ৪৫ ঘণ্টার অধিক কাজ করতে পারবে না। কোন কিশোর শ্রমিককে কোন প্রতিষ্ঠানে সন্ধ্যা ৭টা হতে সকাল ৭টার মধ্যে কাজ করতে দেওয়া যাবে না। কোন কিশোর শ্রমিককে ভূগর্ভে বা পানির নিচে বা অন্য বিপজ্জনক কাজে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। ২০১২ সালে সরকার শিশুদের জন্য নিষিদ্ধ কাজের একটি তালিকা তৈরি করে, তবে এটি এখন অনুমোদিত হয়নি। এই তালিকাতে জাহাজ ভাঙ্গা, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরন, নির্মাণকাজ এবং মোটরকারখানাতে কাজ সহ ৩৬টি পেশার কথা বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যে, একটি নতুন আইন অনুমোদন করা হয়েছে (শিশু আইন ২০১৩) যা শুধু শিশুদের কাজের জন্য আইনগত বয়স স্থির করে না বরং যদি কর্মসংস্থানে শিশু শোষিত (একটি শিশুর জীবন এবং উপার্জনকে জব্দ করার মাধ্যমে) হয় তাহলে কঠোর শাস্তিও নির্ধারণ করে যা হল দুই বছর কারাদণ্ড থেকে শুরু করে ৫০,০০০টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়ই হয়ে থাকে। যদি কোন ব্যক্তি বিশেষ লাভ ভোগের জন্য কোন শিশুর কর্মসংস্থান করে বা অনৈতিক বিনোদনের জন্য কোন শিশুকে ব্যবহার করে তবে তাকে সেই দোষের পোষক হিসেবে ধরা হবে। (শিশু আইন ২০১৩ এর ধারা ৮০, শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৩৯-৪২, সংশোধিত ২০১৩)
শিশু শ্রমের প্রভাব
শিশু শ্রমকে শিশুদের জীবনের একটি অমানবিক অধ্যায় বলা যায়। শিশু শ্রমের কারণে শিশুদের স্বাভাবিক মেধার কোনো বিকাশ ঘটে না। ফলে শিশুরা অন্ধকারে থেকে যায়। নিম্নে শিশু শ্রমের নেতিবাচক প্রভাবগুলো আলোচনা করা হলো-
√ শিশু শ্রম শিশুদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব বিস্তার করে। এ কারণে তারা শারিরীকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। শিশুদের স্বাস্থ্য দুর্বল হলে তারা পুষ্টিহীনতায় ভোগে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
√ শিশু শ্রমিকদের অনেক সময় ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় কাজ করতে হয়। এতে তাদের জীবনে নানা ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
√ শিশু শ্রম দেশের স্বাক্ষরতার হারকে কমিয়ে দেয়। সম্প্রতি পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা যায় যে, ঢাকা শহরের ৭০ শতাংশ শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ে যায় না এবং ৫০ শতাংশ কখনো যায়নি। শিশুরা কাজ করার ফলে স্কুলে যাওয়ার অভ্যাস হারিয়ে ফেলে। এভাবে শিশু শ্রমের সাথে শিশু শিক্ষার একটি বিপরীতমুখী অবস্থা সৃষ্টি হয়।
√ শিশু শ্রম জাতীয় অর্থনৈতিতে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। মালিক শ্রেণির লোকেরা শিশুদের কম মজুরীতে ব্যবহার করে। এর ফলে আয়ের সম বণ্টন হয় না।
√ শিশু শ্রমিকরা বেশিরভাগ সময়ই অপরাধ প্রবণ মনোভাব নিয়ে গড়ে উঠে। অনেক সময় তারা নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রতিশোধমূলক মনোভাবের দিকে ধাবিত হয়। আর এভাবেই শিশু শ্রম সমাজে নানা ধরণের নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে।
পরিশেষে বলতে চাই বাংলাদেশের শ্রমবাজারে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে পুরো দেশ ও জাতি অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। যেহেতু শিশুরা আগামী দিনে দেশ ও জাতির হাল ধরবে তাই শিশুদের শ্রম থেকে মুক্তি দিয়ে শিক্ষায় আলোকিত করতে হবে।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।
পাঠকের মতামত:
- কেন্দুয়ায় অভ্যন্তরিন বোরো সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন
- কেন্দুয়ায় বোরোর বাম্পার ফলন, দামে অখুশি, ফলনে খুশি কৃষক
- ‘সার্বজনীন পেনশন স্কীমের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে হবে’
- কাপাসিয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- নহাটা শ্মশান কালীবাড়িতে বৈশাখ মাসব্যাপী প্রভাতী কীর্তন সম্পন্ন
- জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- হাজীগঞ্জে আগুনে পুড়লো ৮ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
- ফরিদগঞ্জে ঋণের ভার সইতে না পেরে সিনিয়র সিটিজেনের আত্মহত্যা
- 'প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যাওয়ার মত পরিবেশ ইসি করেছে'
- এসএসসি পরীক্ষায় শ্যামনগর উপজেলা পর্যায়ে প্রথম হলেন মহুয়া রানী গায়েন সৃষ্টি
- 'ফসলের নিবিড়তা ও উৎপাদন বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে’
- তারাকান্দায় নির্যাতিত ও অসহায় পরিবারের পাশে ওসি ওয়াজেদ
- টাঙ্গাইলে ফারাক্কা লংমার্চের ৪৮তম দিবসে আলোচনা সভা
- কালিয়াকৈরে মোটরসাইকেলের কর্মীকে মারধরের অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- হোসেনপুরে তীব্র গরমে ক্লাসেই অসুস্থ ৩০ শিক্ষার্থী
- কাপাসিয়ায় মাদকের বিরুদ্ধে সেমিনার
- শ্যামনগরে রোগীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ
- ফরিদপুরে ডিবির হাতে ৬ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- সুন্দরবনে বার বার আগুনের নেপথ্য কাহিনি
- গোপালগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার আন্দোলনে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
- ‘ডোনাল্ড লুর বক্তব্যের পর ফখরুলের কথার দাম নেই’
- সালথার জয়ঝাপ স্কুলে ওয়াদুদ মাতুব্বরের পক্ষে নির্বাচনী পথসভা
- প্রতিকার না পেয়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা আনারস প্রতীকের প্রার্থীর
- বিশ্বের একমাত্র ভাসমান এনপিপিতে পিয়ার রিভিউ মিশন সম্পন্ন
- সাবেক যুব মহিলা লীগ নেত্রী স্বপ্না খন্দকারের সংবাদ সম্মেলন
- মাদারীপুরে রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগে স্থানীয় ও ঠিকাদারের সাথে হাতাহাতির ভিডিও ভাইরাল
- ‘প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে’
- গোয়ালন্দে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান
- শায়েস্তাগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে মুখোমুখি দুই সাংবাদিক
- পর্যটন খাতে তুরস্ককে বিনিয়োগের আহ্বান
- বোয়ালমারীতে হাসামদিয়া গণহত্যা দিবস পালন
- মহম্মদপুরে চায়না ৩ সিডলেস লেবু চাষে সফল রিয়াজুল ইসলাম
- ১০ প্রকল্পেই বরাদ্দ ৫২ হাজার কোটি টাকা
- ঈদ উপলক্ষে ওয়ালটনের নতুন মডেলের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পণ্য উন্মোচন
- ফরিদপুরে মৎস্য উৎপাদনে বার্ষিক পর্যালোচনা বিষয়ক কর্মশালা
- কোরবানির পশুর কোন সংকট হবে না : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- গোপালগঞ্জে ৫ দিনের নারী শিল্প উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু
- বিদেশি ঋণনির্ভর প্রকল্পের অগ্রগতি জানানোর নির্দেশ
- নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে গোপালগঞ্জের হোটেল রেস্তরাঁর খাবারের নমূনা সংগ্রহ শুরু
- আগামীতে জেলাভিত্তিক প্রকল্প নেওয়া হবে : পরিকল্পনামন্ত্রী
- বরিশালে ৩ লাখ রেনু পোনা জব্দ, ৯ জেলে আটক
- খালি হাতে বিদেশ ফেরত যুবকদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচি
- জামালপুরে অভ্যন্তরীণ ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন
- অতীত ভুলে সামনে তাকাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
- দেশে অকালমৃত্যুর অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ, প্রয়োজন সতর্কতা
- আচরণবিধি লঙ্ঘন: চেয়ারম্যান প্রার্থী রানা সরদারকে শোকজ
- আত্মকর্মসংস্থান তৈরিতে দুই বোনের স্ট্রিট ফুডের ব্যবসা
- আজ থেকে বাজারে মিলবে চুয়াডাঙ্গার আম
- নড়াইলে ডাকাতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার
- নড়াইলে নির্বাচনী সহিংসতায় ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতিকে পিটিয়ে জখম
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !