অন্যকে রক্ত দানে উৎসাহিত করি
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
১৪ জুন, আজ মঙ্গলবার বিশ্ব রক্তদাতা দিবস ২০২২। যারা স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদান করে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন তাদেরসহ সাধারণ জনগণকে রক্তদানে উৎসাহিত করাই এ দিবসের উদ্দেশ্য। ১৯৯৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক রক্তদান দিবস পালন এবং ২০০০ সালে ‘নিরাপদ রক্ত’-এই থিম নিয়ে পালিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০০৪ সালে প্রথম পালিত হয়েছিল বিশ্ব রক্তদান দিবস।
২০০৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনের পর থেকে প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ দিবস পালনের জন্য তাগিদ দিয়ে আসছে।ইতিমধ্যে ১৮২ টি দেশ সম্পৃক্ত হয়েছে এ আন্দোলনে। বাংলাদেশেও অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়। আবহমানকাল ধরে মানবদেহের জন্য রক্তদান এবং রক্ত গ্রহণের ব্যবহার চলছে। রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকেও অত্যন্ত পুণ্য বা সওয়াবের কাজ। আজকের বিষয় নিয়ে কলাম লিখেছেন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট গবেষক ডা.এম এম মাজেদ তার কলামে লিখেন..বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় রক্তদাতার সংখ্যা এখনো নগণ্য। দেশে বছরে ৮ থেকে ৯ লাখ ব্যাগ রক্তের চাহিদা থাকলেও রক্ত সংগ্রহ হয় ছয় থেকে সাড়ে ছয় লাখ ব্যাগ। এ ছাড়া সংগ্রহকৃত রক্তের মাত্র ৩০ শতাংশ আসে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের থেকে। নিজের পরিবারের সদস্য বা পরিচিতজন না হলে এখনো বেশির ভাগ মানুষ রক্তের জন্য নির্ভর করেন পেশাদার রক্তদাতার ওপর। রক্তের অভাবের কারণে প্রতিবছর বহু রোগীর প্রাণ সংকটের মুখে পড়ে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বের ৯ কোটি ২০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে থাকে। তবে উন্নত বিশ্বে স্বেচ্ছায় রক্তদানের হার প্রতি এক হাজারে ৪০ জন হলেও উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রতি এক হাজারে চারজনেরও কম।
কারা রক্তদান করতে পারবেন?
১) ১৮ বছর থেকে ৬০ বছরের যেকোনো সুস্থদেহের মানুষ রক্ত দান করতে পারবেন।
২) শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ নিরোগ ব্যক্তি রক্ত দিতে পারবেন
৩) আপনার ওজন অবশ্যই ৫০ কিলোগ্রাম কিংবা তার বেশি হতে হবে।
৪) মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪ মাস অন্তর-অন্তর, পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩ মাস অন্তর অন্তর রক্ত-দান করা যায়।
৫) রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ, রক্তচাপ ও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে হবে।
৬) শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ এ্যাজমা, হাপানি যাদের আছে তারা রক্ত দিতে পারবেন না।
৭) রক্তবাহিত জটিল রোগ যেমন-ম্যালেরিয়া, সিফিলিস , গনোরিয়া, হেপাটাইটিস , এইডস, চর্মরোগ , হৃদরোগ , ডায়াবেটিস , টাইফয়েড এবং বাতজ্বর না থাকলে।
৮) আপনাকে চর্মরোগ মুক্ত হতে হবে।
৯) মহিলাদের মধ্যে যারা গর্ভবতী নন এবং যাদের মাসিক চলছে না।
১০) আপনাকে অবশ্যই হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, এইডস, ক্যান্সার, যক্ষা, সিজোফ্রেনিয়া এবং ম্যালেরিয়া রোগমুক্ত হতে হবে। তবে কিছু রোগ আগে যেগুলোতে আক্রান্ত রোগীরা নির্দিষ্ট সময় পর রক্ত দিতে পারেন। যেমন, টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগী-১২ মাস, ম্যালেরিয়ার রোগী-তিন মাস পর রক্ত দিতে পারবেন।
১১) কোন বিশেষ ধরনের ঔষধ ব্যবহার না করলে। যেমন- এ্যান্টিবায়োটিক।
রক্তদানের উপকারিতা
স্বেচ্ছায় নিজের রক্ত অন্য কারো প্রয়োজনে দান করাই রক্তদান। রক্ত দেওয়ার জন্য পূর্ণবয়স্ক তথা ১৮ বছর বয়স হতে হয়। প্রতি তিন মাস পর পর প্রত্যেক সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারী নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে রক্তদান করতে পারবেন। এতে স্বাস্থ্যে কোনো ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে না। বরং রক্তদানের মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমাতা বৃদ্ধি পায়। নিম্নে রক্ত দানের ৮ টি উপকারিতা আলোচনা করা হলো।
১) নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
২) বছরে তিনবার রক্ত দিলে শরীরে নতুন লোহিত কণিকা তৈরির হার বেড়ে যায়। এতে অস্থিমজ্জা সক্রিয় থাকে। দ্রুত রক্ত স্বল্পতা পূরণ হয়।
৩) রক্তে কোলেস্টরেলের মাত্রা কমে যায়, এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
৪) রক্ত দিলে যে ক্যালোরি খরচ হয়, তা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৫) শরীরে হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, এইচআইভি বা এইডসের মতো বড় কোনো রোগ আছে কি-না, সেটি বিনা খরচে জানা যায়।
৬) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৭) শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকে।
৮) এতে একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব।
রক্তদান ও রক্ত দানের পর
রক্তদানের আগে প্রতিটি রক্তদাতাকে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জিজ্ঞাসা করা হয়। সেগুলোর সঠিক উত্তর দিতে হবে। রক্তদাতার শারীরিক তাপমাত্রা, রক্তচাপ, নাড়ীর গতি পরীক্ষা করা হয় এবং রক্তদাতার রক্ত জীবানুমুক্ত কি না তা জানার জন্য সামান্য রক্ত নেয়া হয়। এছাড়া এই রক্তের মাধ্যমে রোগী রক্তদাতার রক্তের মধ্যে কোন জমাটবদ্ধতা সুষ্টি হয় কি না তাও পরীক্ষা করা হয় (ক্রসম্যাচিং)। রক্ত পরীক্ষার পর কারও রক্তে এইডস, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস -সি, সিফিলিস বা অন্য কোন জীবানুর উপস্থিতি ধরা পরলে তাকে (রক্তদাতা) প্রয়োজেনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেয়া হয়।
সূঁচের অনুভূতি পাওয়ার মাধ্যমে রক্তদান প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে সময় লাগে সবোর্চ্চ ১০ মিনিট। রক্তদানের পূর্বে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে- যথেষ্ট বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা।রক্তদাতা প্রয়োজন মনে করলে বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারে।রক্তদানের সময় মাথা- শরীর সমান্তরাল থাকতে হবে। দূর হতে রক্ত দিতে এলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে হবে। রক্ত দান করার পরে অবশ্যই নুন্যতম ৫ মিনিট শুয়ে থাকতে হবে। [রক্তের প্রবাহ সমগ্র শরীরে স্বাভাবিক হবার জন্য এটা অতীব জরুরী]। সাধারণত রক্তদান করার পর অতিরিক্ত দামী খাবার গ্রহনের প্রয়োজন নেই। তবে রক্তদানের পর সপ্তাহ খানেক স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি অন্যান্য সময়ের দ্বি-গুণ পানি পান করতে হবে। কেননা একজন রক্তদাতা যেটুকু রক্ত দান করেন [সাধারণত ১ পাউন্ড] তার প্রায় ৬০ ভাগ ঐ সময়ের মধ্যে পূরণ হয়। শুধু লোহিত রক্ত কণিকা পূরণ হতে ১২০ দিন বা ৪ মাস সময় নেয়। রক্তদানের পর অবশ্যই তারিখ মনে রাখতে হবে বেশিরভাগ রক্ত দাতাই রক্তদানের পর কোন সমস্যা অনুভব করেন না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্তদাতা তলপেটে ব্যাথা, দূবর্লতা, মাথা ঘোরা, সূঁচ প্রবেশের স্থানে ক্ষত লালচে দাগ এবং ব্যাথা অনুভব করতে পারেন। সামান্য কিছু ক্ষেত্রে রক্তদাতা জ্ঞান হারাতে পারে বা মাংসপেশীতে খিচুনি ধরতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব সমস্যা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঠিক হয়ে যায়, কোন ঔষধের প্রয়োজন হয়না।
রক্ত দানের ইতিহাস
১৪৯২ সালে অষ্টম পোপ যখন স্ট্রোক করেন তখনকার চিকিৎসকরা ধারণা করেছিলেন, পোপের মনে হয় শরীরের কোথাও রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এই ভেবে পোপকে বাঁচানোর জন্য ১০ বছর বয়সের তিনজন ছেলের শরীর থেকে রক্ত বের করে পোপকে পান করানো হয়েছিল। যেহেতু তখন রক্তনালি বলে কিছু আছে, সেটাই জানা ছিল না। তাই সবাই ভাবত রক্ত খেলেই সেটা শরীরে ঢুকে পড়বে। মাত্র একটা স্বর্ণমুদ্রার বিনিময়ে সেই তিন বাচ্চার রক্ত নেওয়া হয়েছিল। দুঃখজনক হলো, রক্ত নেওয়ার ফলে তিনটা বাচ্চাই মারা যায়। কিন্তু পোপ বেঁচে যায়। সবাই ধারণা করেছিল, সেই রক্তের জন্যই পোপ বেঁচে গেছেন। পরের বছর পোপ সেকেন্ড স্ট্রোক করে মারা যান কোনো ঘোষণা ছাড়াই। তারপর থেকে কেউ আর রক্ত দিতে সাহস করেনি। চলুন ফিরে দেখা যাক কীভাবে রক্তদান মানববিশ্বে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এলো-
১৬১৬ : ইংরেজ চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম হার্ভের গবেষণার মাধ্যমে মানুষ প্রথম জানতে পারে যে, মানবদেহের অভ্যন্তরে রক্ত প্রবাহিত হয়।
১৬৬৬ : ডা. রিচার্ড লোয়ার সফলভাবে প্রথমবারের মতো একটি কুকুরের দেহ থেকে আরেকটি কুকুরের দেহে রক্ত সঞ্চালনের পরীক্ষা চালান।
১৬৭৮ : রক্ত পরিসঞ্চালনের ব্যাপারে পোপের নিষেধাজ্ঞা।
১৮১৮ :ডা. জেমস ব্লান্ডেল নামে একজন ইংরেজ ধাত্রীবিদ্যাবিশারদ রক্ত পরিসঞ্চালনের জন্য একটি যন্ত্র আবিস্কার করেন, যা দিয়ে সফলভাবে একজন সুস্থ মানুষের দেহ থেকে আরেকজন মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের দেহে রক্ত পরিসঞ্চালন করে তাকে বাঁচিয়ে তোলা হয়। তিনিই প্রথম বলেন, একজন মানুষের শরীরে কেবল আরেকজন মানুষের রক্তই দেওয়া যাবে।
১৯০১ : ভিয়েনার ডা. কার্ল ল্যান্ডস্টেনার দেখান, মানুষের রক্তের প্রধানত চারটি গ্রুপ রয়েছে- A, B, AB এবং O. প্রথমবারের মতো মানুষ বুঝল যে, গত ২৭২ বছর ধরে তাদের ভুলটা ঠিক কোথায় হচ্ছিল। তিনি ১৯৪০ সালে আবার Rh group আবিস্কার করেন, যা আমরা পজিটিভ-নেগেটিভ রক্ত বুঝতে পারি।
১৯১৬ : প্রথমবারের মতো সফলভাবে সংরক্ষিত রক্তকে আরেকজনের দেহে প্রবেশ করানো হয়। এ ধারণা থেকেই ফ্রান্সে বিশ্বের প্রথম ব্লাড ব্যাংকের সূচনা করেন একজন আমেরিকান সেনা কর্মকর্তা ও মেডিকেল গবেষক অসওয়াল্ড হোপ রবার্টসন।
১৯২১ : লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে ব্রিটিশ রেড ক্রসের সদস্যরা সবাই একযোগে রক্ত দেন। সূচিত হয় বিশ্বের প্রথম স্বেচ্ছা রক্তদানের দৃষ্টান্ত।
কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার (১৮৬৮-১৯৪৩)
অস্ট্রিয়ান বংশোদূত বিজ্ঞানী যিনি মূল রক্তের গোষ্ঠীগুলো আবিষ্কার করেছিলেন (এ, বি, ও)। ১৪ ই জুন, ১৯০১ সালে তিনি এই গ্রাউন্ড ব্রেকিং আবিষ্কার করেছিলেন এবং প্রথম বার প্রমাণ করলেন যে একই গ্রুপ থেকে রক্ত সঞ্চয়ে কোনো ক্ষতি নেই। এরপরেই তার দুই সহযোগী আলফ্রেড ভন ডেকাষ্টেলো আর আদ্রিয়ানো স্ট্রুলি AB গ্রুপটি শনাক্ত করেন।
রুবেন ওটেনবার্গ (১৮৮২-১৯৫৯)
রক্ত সঞ্চয়ের দীর্ঘ ইতিহাসের মোড় নেয়ার ঘটনা ঘটে ১৯০৭ সালে। নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের আরেক বিশিষ্ট চিকিত্সক ও বিজ্ঞানী রুবেন ওটেনবার্গই প্রথম রক্তের সংক্রমণ করেছিলেন কার্ল ল্যান্ডস্টেইনের ফলাফল।
ফিলিপ লেভাইন (১৯০০-১৯৮৭)
১৯৪১ সালে রকফেলার মেডিকেল ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ফিলিপ লেভাইন আর এইচ অ্যান্টিজেন আবিষ্কার করেছিলেন। যদি থাকে তবে আমরা যে কোনো রক্তের গ্রুপকে ইতি বাচক বলি এবং যদি তা না থাকে তবে আমরা একে নেতি বাচক বলি।
পরিশেষে বিশ্ব রক্তদাতা দিবসে আমরা এই ৩ জনকে স্মরণ করি, যাদের অবদান অগণিত মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদানকারী আড়ালে থাকা সেসব মানুষের উদ্দেশে, এসব অজানা বীরের উদ্দেশে, উৎসর্গীকৃত ১৪ জুনের বিশ্ব রক্তদান দিবস। ১৪ জুন দিবসটি পালনের আরো একটি তাৎপর্য রয়েছে। এদিন জন্ম হয়েছিল বিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টিনারের। এই নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছিলেন রক্তের গ্রুপ ‘এ, বি, ও’। তাই আসুন জীবন সংহারী রোগ থেকে আর্ত মানুষকে বাঁচাতে নিজে রক্ত দেই। অন্যকে রক্ত দানে উৎসাহিত করি। রক্ত দিন! বাঁচান একটি প্রাণ! এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে শুধু একটি নয় ক্ষেত্র বিশেষে চারটি প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। কেননা এক ব্যাগ রক্তকে এর উপাদান হিসেবে চারটি ভাগে ভাগ করে চারজনের দেহে সঞ্চালন করা সম্ভব। উপাদান গুলো হলো: 'রেড ব্লাড সেল, প্লেটলেট, প্লাজমা এবং ক্রিওপ্রিসিপিট' এক একজনের জন্য এক একটি উপাদান প্রয়োজন হয়। মূলত যাঁরা মানুষের জীবন বাঁচাতে স্বেচ্ছায় ও বিনা মূল্যে রক্তদান করেন তাঁদের দানের মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি দিতে, সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে রক্তদানে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে দিবসটি পালন করা হয়।আর আপনার এক ব্যাগ রক্ত বাঁচাতে পারে চারটি প্রাণ। রক্ত দিন! বাঁচান একটি প্রাণ!আর মুমূর্ষু লোকের জীবন রক্ষা ও জনসেবামূলক কাজে যেহেতু ধর্মীয় বিধিনিষেধ নেই, সেহেতু নাগরিক সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য ‘বিশ্ব রক্তদান দিবস’ ২০২২ উদ্যাপনের মতো কর্মসূচি ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে নিঃসন্দেহে।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।
পাঠকের মতামত:
- ১৮তম নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন
- সাতক্ষীরায় জামিন পেয়েই মামলার বাদি ও পরিবারের সদস্যকে প্রাণনাশের হুমকি!
- সরিষাবাড়ীতে ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকে ইউপি সদস্যকে মারধরের অভিযোগ
- সালথার বল্লভদীতে ওয়াদুদ মাতুব্বরের পক্ষে নির্বাচনী উঠান বৈঠক
- নির্বাচনের ছয়দিন আগে সালথায় প্রতীক বরাদ্দ পেলেন দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী
- এবার ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন ভোলার শামীম
- মাগুরায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক নারী আসামি আটক
- ভাঙ্গায় নকল আইসক্রিম তৈরির কারখানায় যৌথ অভিযান, জরিমানা
- সাতক্ষীরায় ডাকাতির ৫ দিন পার না হতেই আবারো ডাকাতি
- প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে ধস, ১৪১টি শূন্যপদ নিয়ে চলছে কার্যক্রম
- টাঙ্গাইলে অনেক গুরত্বপূর্ণ অফিসে উড়ে না জাতীয় পতাকা
- ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা বিষয়ক প্রকল্পের উদ্বোধন
- মৌলভীবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
- গোপালগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় এলাকা থমথমে
- কুষ্টিয়ায় হাসপাতালে পুত্রবধূর লাশ রেখে পালাল শাশুড়ি
- দিন-রাত এক করে দিয়ে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে
- ‘উপজেলা নির্বাচনে কোনও অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না’
- পাবনায় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একাধিক বহুতল ভবন নির্মাণ, রূখবে কে?
- ‘মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন একটি মুক্তিযুদ্ধের দরকার’
- ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃত্যু
- অর্থাভাবে সিনথিয়ার কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত
- কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়লে ক্ষতিপূরণ পাবে পোশাক শ্রমিকরা
- এসএসসি পরীক্ষার আগেই ২১৩ ছাত্রীর বিয়ে!
- একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিলেন খুশি বেগম
- ‘সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে পার্টনারশিপ হলে সমস্যা দূর হবে’
- রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার বনাঞ্চল হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা
- আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের ব্রি পরিদর্শন
- নড়াইলে চিত্রা নদীতে গোসল করতে গিয়ে স্কুলছাত্র নিখোঁজ
- ১ লাখ ৭০ হাজার টন সার কিনবে সরকার
- নড়াইলে ভবন থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- ‘প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলতে পারবেন তাসকিন’
- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারির সাক্ষাৎ
- অর্থমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত
- আগৈলঝাড়ায় দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- কনডেম সেল নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত
- সালথায় আচরণ বিধিমালার উপর মতবিনিময় সভা
- আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী
- ঈশ্বরদীতে সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
- ফুলপুরে বোরো ধান ক্রয়ে ওজনে কারসাজি
- চাটমোহরে স্কুলে গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিযোগ, প্রতিবাদে মানববন্ধন
- শ্রম আইন সংস্কারে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা এবং বাধা: একটি পর্যালোচনা
- চাটমোহরে ৩ দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন
- আরও ৪৫ নেতাকে বিএনপির শোকজ
- ‘বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে মৌলবাদী গোষ্ঠীকে রুখে দিতে হবে’
- ‘আন্তর্জাতিক ইসরায়েলি লবির সাথে যুক্ত হয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি’
- ভাইয়ের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে চাই : ফন্টু চাকলাদার
- ফরিদপুরে প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ শুরু
- কাপাসিয়ায় তিন দিনে ৯ খড়ের ঘরে আগুন, ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি
- গোপালগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
- হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত ওয়াদুদ মাতুব্বর
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !