পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার সততা, আত্মবিশ্বাস ও সাহসিকতার বিজয়গাঁথা অনন্য অর্জন
মোহাম্মদ ইলিয়াস
পদ্মা সেতু। বাংলাদেশ নামক এক ছোট্ট ব-দ্বীপ রাষ্ট্রের দূরদর্শী এক রাষ্ট্রনায়কের অসীম সাহসিকতা ও পর্বতসম অনুপমেয় আত্মবিশ্বাসের অবিশ্বাস্য এক রূপকথা। এই রাষ্ট্রনায়ক আর কেউ নন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের উত্তরসূরি লৌহ মানবী আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যিনি দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রের ইন্দ্রজাল ভেদ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশের সক্ষমতা ও দুর্নিবার সাহসের অদম্য অভিযাত্রা কে আরেকবার চিনিয়েছেন বিশ্ববাসীকে।
তাই পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতুই নয়, এটি আমাদের অনন্য গৌরব, আবেগ,মর্যাদা আর অহংকারের প্রতীক। দেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণের অনবদ্য স্বপ্নের উপাখ্যান। মাথা না নোয়ানো বাংলাদেশের দিকে অবাক বিস্ময়ে বিশ্ববাসীর তাকিয়ে থাকার প্রোজ্জ্বল উপলক্ষ। এ সেতুর প্রতিটি পরতে পরতে বিম্বিত জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনার প্রত্যয়,সতাতা,আত্মবিশ্বাস আর দৃঢ়তার প্রতিচ্ছবি। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিষ্কার বক্তব্য, ‘দেশের মানুষ নিজের বুকের তাজা ঢেলে দিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছে , তাই পদ্মা সেতুর ব্যাপারে কোন আপস নয়; কোন অপশক্তির কাছে মাথা নত করবো না‘
প্রশ্ন হচ্ছে, কেনই বা এতটা হৃদয়গ্রাহী আকাঙ্ক্ষা আর সবটুকু প্রত্যয় নিয়ে এ সেতু নির্মাণ করলেন এ দেশের আপামর জনসাধারণের স্বপ্নসারথী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা? এর উত্তর খোঁজা মোটেই কঠিন নয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা যে এ দেশের মানুষের সুখ-দুঃখ আর ভালোবাসায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা ধ্রুপদী এক সঙ্গী। তিনি জানেন কীভাবে এ দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে, কীভাবে এ দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। তিনি জানেন কীভাবে একটি অঞ্চলকে গুরুত্বপূর্ণ জনপদে রূপান্তর করতে হবে। কীভাবে একটি জাতিকে আত্মমর্যাদায় শীর্ষে পৌঁছে দেওয়া যাবে।
পদ্মা সেতুর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব ব্যাপক। একটি দেশের আঞ্চলিক উন্নয়নে অঞ্চলগুলোর জন্য একটি উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা অনস্বীকার্য। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের চেহারা বদলে দেওয়া ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ (মূল সেতু) (দুই প্রান্তের উড়ালপথ ৩ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে সেতুর দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার)।
এ সেতু পদ্মা নদীর মাওয়া পয়েন্টে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের সাথে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী এবং ফরিদপুর জেলার উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখার সুযোগ সৃষ্টি করবে। দেশের দক্ষিণে বসবাসরত জনজীবনের জীবনমান উন্নয়নসহ স্বল্প সময়ে বাংলাদেশের মূল ভূ-খণ্ডে তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত ও বাজার সম্প্রসারিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
এ অঞ্চলের উৎপাদিত কাঁচামাল দ্রুততার সাথে সরবরাহের সুযোগ তৈরি ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এ সেতু। সেতুটির কারণে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলা চট্টগ্রাম বন্দরের মতো যথাযথভাবে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পদ্মা সেতু ও সংযোগ সড়ক এশিয়ান হাইওয়ে রুট এএইচ-১ (AH-1) এর অংশ হওয়ায় তা যথাযথ ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে। এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চল ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে এবং ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে এবং যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে সুবিধা হবে। চলাচল সহজ করার পাশাপাশি অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে পদ্মা সেতু। এ সেতু দেশের ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
এছাড়া দেশের সার্বিক জিডিপি’র পাশাপাশি পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটি কাজ সমাপ্ত হলে অতিরিক্ত ১.২৩ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধিতে সহায়তা করা। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। সেতুটি যোগাযোগের জন্য উন্মুক্ত হলেই দেশের সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলা সরাসরি সারাদেশের সঙ্গে যুক্ত হবে। এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব হবে। ঢাকা থেকে খুলনা, মোংলা, বরিশাল, কুয়াকাটা অর্থনৈতিক করিডোর খুলে যাবে। এ সেতু ঘিরে বিশদ অঞ্চলজুড়ে গড়ে উঠবে নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্ক। ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে এবং দেশের শিল্পায়নের গতি ত্বরান্বিত হবে। সেতু ঘিরে পদ্মার দু’পাড়ে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক প্রসার এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
আগামী ২৫ জুন সকাল ১০টায় বহু আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতুর নির্মাণের এ বিরাট অর্জনকে মানুষ যাতে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে না দেখে সেজন্য বিভিন্ন মহলের জোরালো দাবি থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের নামে এর নামকরণ করেননি। উদ্বোধনের খবরে পদ্মার দু’পাড়ের মানুষের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। এ আনন্দ বিজয়ের, এই আনন্দ অসাধারণ এক প্রাপ্তির। উদ্বোধনের অপেক্ষার প্রহর যেন সইছে না। এটি প্রমাণ করে এ সেতু কতটা কাঙ্ক্ষিত পদ্মার উভয় পাড়ের মানুষের জন্য। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খবর শুনে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাওয়ার কুমারভোগ পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাসিন্দা আরিফুর রহমান খুশিতে আত্মহারা হয়ে জানান, বাপদাদার ভিটেমাটি পদ্মা সেতুতে দিয়ে আমরা এখন গর্ববোধ করছি।
প্রতিনিয়ত শিমুলিয়া ও বাংলাবাজার ঘাটে এসে জনগণ চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে আমাদের ভোগান্তি কমার পাশাপাশি সময় কমে আসবে,অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।
অথচ স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের পথ মোটেই মসৃণ ছিল না। একদিকে প্রমত্তা পদ্মার বুকে সেতু নির্মাণের জটিল প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে দেশের একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র,কুহেলিকা আচ্ছন্ন বিশ্বব্যাংকের তথ্য-উপাত্তবিহীন ও অনুমাননির্ভর ভ্রান্ত অভিযোগ এবং তার ফলে অর্থায়নের অনিশ্চয়তা পদ্মা সেতু নির্মাণের পদক্ষেপে জগদ্দল পাথরের মতো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। খরস্রোতা পদ্মার বুকে প্রায় ৪০ তলার সমান পাইলিং, দেশের একজন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ষড়যন্ত্র, অর্থায়নে সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাংকের কল্পনানির্ভর দুর্নীতির অভিযোগ ও ক্রমাগত অনাকাঙ্ক্ষিত চাপ এ সেতু নির্মাণকে গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল।
এর কিছুটা অনুমান করা যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ও পদ্মা সেতু প্রকল্পের ইনটেগ্রিটি অ্যাডভাইজার মসিউর রহমানের লেখা থেকে। তিনি তার লেখায় উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকার সাথে একটি উন্নত নিরবচ্ছিন্ন সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পদ্মা সেতু নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়। জাপান সরকার সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক প্রাথমিক পর্যায়ে অক্ষমতা জানিয়েছিল; আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তার সহযোগী হিসেবে জাপান সরকারের সাথে যোগ দেয়। ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক প্রকল্পের নির্দিষ্ট প্যাকেজে পৃথকভাবে অর্থসংস্থানের পদক্ষেপ নেয়।
চুক্তি বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির সন্দেহে প্রকল্প সহযোগিতা স্থগিত রাখে এবং অন্যান্য সহযোগীদের অনুরূপ ব্যবস্থা নিতে রাজি করে। পদ্মা সেতুর সাথে সম্পৃক্ত মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্বব্যাংক অতিমাত্রায় আগ্রহী হয়। তারা আভাস দেন যে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের শাস্তি দিলে সহযোগিতা কার্যকর হবে। দুর্নীতির প্রতি জিরো টলারেন্স বাংলাদেশ সরকারের নীতি। বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতি রোধ প্রচেষ্টায় সরকার সর্বপ্রকার সহযোগিতা করে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন বিশ্বব্যাংকের অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করে কোনো সত্যতা পায়নি। কানাডার সুপিরিয়র আদালতও শুনানির পর গ্রহণযোগ্য সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে মোকদ্দমা খারিজ করে দেয়।
১৯৯৯ সালে প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা শুরু হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের প্রথম মেয়াদের শেষ দিকে ৪ জুলাই ২০০১ তারিখে মাওয়া প্রান্তে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অসাড় ও কল্পিত দুর্নীতির অভিযোগ আর চূড়ান্ত অসহযোগিতার সমুচিত জবাব দেন এদেশের মানুষের অবিচল আস্থার প্রতীক, আশা-আকাঙ্ক্ষার শেষ আশ্রয়স্থল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশ্বব্যাংকের ভ্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের জবাবে বাংলাদেশ বলে দেয়, এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের কোনো অর্থ ছাড় হয়নি। অন্য কেউ অর্থ দেয়নি। দুর্নীতি হবে কীভাবে? তখন বিশ্বব্যাংক বলেছিল দুর্নীতির গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে। তারা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ না করেই ২০১২ সালের ২৯ জুন বাংলাদেশের সাথে চুক্তি বাতিল করে দেয়। পদ্মা সেতু প্রকল্পে ফেরার জন্য বিশ্বব্যাংককে ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাংকের ঋণ প্রত্যাখ্যান করে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। ২০১২ সালের জুলাইয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব তহবিল দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করবে। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি মূল সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগাধ আস্থা আকাশস্পর্শী স্বপ্ন ও বিশ্বাস রেখেছিলেন এদেশের মানুষের প্রতি। তার চ্যালেঞ্জ আর ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তার বিজয় হয়। বিশ্বব্যাংকের মিথ্যা অভিযোগ ও অহমিকার পরাজয় ঘটে। পরে বিশ্বব্যাংক স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে, পদ্মা সেতু নির্মাণে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে তারা ভুল করেছিল। ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. কৌশিক বসু ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণের যে ইতিহাস তাতে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে যথেষ্ট তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থে কাজ করেছে। ১০ বছর আগেও পৃথিবীর কেউ ভাবতে পারেনি বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থে এত বড় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে। বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরতা ছাড়াই তারা এটা করতে পারছে’।যা বাংলাদেশের মানুষের সাহস ও দৃঢতাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে, যার মুল কারিগর ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা এ সরকারের উন্নয়নের মাইলফলক।
২০১৭ সালে কানাডার আদালত পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতি মামলায় বিশ্বব্যাংকের দেওয়া তথ্যকে অনুমানভিত্তিক, গালগল্প ও এবং গুজবের বেশি কিছু নয় বলে রায় দেয়। বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হয়।
পদ্মা সেতু নিতান্তই একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু নয়। বিশ্বের সেরা প্রকৌশলবিদ্যা আর প্রযুক্তিতে নির্মিত দ্বিস্তরের এ দৃষ্টিনন্দন সেতুটি একটি দেশের জনগণের হৃদয়মথিত নবারুণ আবেগের নাম। স্বপ্ন পূরণে একটি বিশ্বাস ও আস্থার সার্থক রূপায়নের নাম। এ সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু পারাপারের জন্য টোলের হার নির্ধারণ করেছে সরকার। এ সেতুতে যখন আলো জ্বলে উঠবে, সাথে সাথে জ্বলে উঠবে এদেশের কোটি মানুষের হৃদয় থেকে উৎসারিত আলো। চোখে-মুখে ফুটে উঠবে অপার্থিব আনন্দের বন্যা। এটি সহজেই অনুমেয়। গোটা জাতি প্রস্তুত হচ্ছে এ ইতিহাসের সাক্ষী হতে, এক অনন্য গৌরবের অংশীদার হতে। পদ্মা সেতু নামক এ উপাখ্যানের রচয়িতা জাতির পিতার রক্ত ও আদর্শের সুযোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মতো একজন সফল রাষ্ট্রনায়কের সততা, দেশপ্রেম, দৃঢ় মনোবল, আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদার সাক্ষী হয়ে প্রমত্তা পদ্মার বুকে যুগ থেকে যুগান্তরে দাঁড়িয়ে থাকবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক ইতিহাস ও বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
পাঠকের মতামত:
- সাজেকে ডাম্পট্রাক খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত, আহত ১৩
- কেন্দুয়ায় ৩ দিনব্যাপী জালাল মেলার বর্ণাঢ্য আয়োজন
- তাপপ্রবাহে ‘অতি উচ্চঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা
- ভালোবাসার শহর পাংশার আয়োজনে পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ
- বরগুনায় হিট স্ট্রোকে শ্রমিকের মৃত্যু
- ‘রেলের ভর্তুকি প্রত্যাহার করা হবে’
- মোংলায় ওএমএস এর চাল বিতরণে অনিয়ম, ২০ বস্তা চাল জব্দ
- কালুখালীতে গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- নগরকান্দায় সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ সভা, ব্যাপক তৎপরতায় থানা পুলিশ
- বৃষ্টি প্রার্থনায় টাঙ্গাইলের বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের ‘সহ-প্রচার সম্পাদক’ নির্বাচিত অনয় মুখার্জী
- বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
- বাগেরহাটে তাপমাত্রা ৪১.৬ ডিগ্রি, জনজীবনে স্থবিরতা
- বোয়ালমারীতে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুশা মিয়ার মতবিনিময়
- পুতুল পোড়াতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ শিক্ষার্থী
- বোয়ালমারীতে হিরু মুন্সীর কার্বণ মিল ও সীসা কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
- ঈশ্বরদীতে হিটস্ট্রোকে স্বর্ণ শিল্পীর মৃত্যু
- ‘আবাদি অঞ্চল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ছাড়া সর্বত্র সমান লোডশেডিং হচ্ছে’
- চট্টগ্রামে ৩ দিনব্যাপী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত সম্মেলন উদ্বোধন করবেন সুরস্রষ্টা শেখ সাদী খান
- জামালপুরে শিশুদের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা শীর্ষক সভা
- বাগেরহাটে মহানবী ও চার খলিফা সর্ম্পকে মুসলিম যুবকের ফেসবুকে কটুক্তি, ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ সমবেশ
- পুলিশের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় বেঁচে গেল ট্রেনের হাজারো যাত্রী
- ঝিনাইদহে বৃষ্টির আশায় ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
- বেলকুচিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় সংসদ সদস্যের ভাই ও সহকারি
- টাঙ্গাইলে তীব্র তাপপ্রবাহে হাসপাতালে রোগীদের ভিড়
- কাশিয়ানীতে আমের লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ
- নাগরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর হোসেন আলোর দাফন সম্পন্ন
- গোপালগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র রাজুর ইন্তেকাল
- নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলালিংক ও হুয়াওয়ের চুক্তি
- বাগেরহাটের দুই উপজেলায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
- ‘এক গাছে পাঁচবার ধান’ দেশের খাদ্য চাহিদা মেটাতে বড় সফলতা
- গাজীপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম বাস্তবায়নে সমন্বয় কমিটির সভা
- উদ্ভাবক ভাইরাল সঞ্জু নয়, আদিবাসীদের মজাদার খাবার বাঁশ বীজ
- এবারের ঈদযাত্রায় সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেড়েছে
- বাগেরহাটে তীব্র তাপদাহে প্রতিদিন ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে শতশত শিশু
- ফরিদপুরে বেইলি ব্রিজ অপসারণ করে স্থায়ী ও প্রশস্ত ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন
- মৌলভীবাজারে তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত পথচারীদের মাঝে মেয়রের স্যালাইন পানি সরবরাহ
- তাপপ্রবাহে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রোগী বাড়ছে
- ভোট সুষ্ঠু করতে প্রশাসনের উচ্চপদস্থদের সঙ্গে বসবে ইসি
- নড়াইলে মাদক মামলায় দুই ব্যক্তির যাবজ্জীবন
- আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগ
- নড়াইলে সুলতান মেলায় জমজমাট ষাঁড়ের লড়াই
- ফুলপুরে হিট স্ট্রোকে হস্তশিল্পীর মৃত্যু
- সোনার দাম আরও কমলো
- ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা মামলা, ১০ দিনেও অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি পুলিশ
- শুকিয়ে যাচ্ছে ঝিনাইদহের নদ-নদী
- মাগুরা সদর ও শ্রীপুরে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ
- ঈশ্বরদীতে বৃষ্টির জন্য সুন্নত আমল ইস্তিস্কা নামাজ আদায়
- কুষ্টিয়ায় বৃষ্টির জন্য 'ইস্তিসকার' নামাজে কাঁদলেন মুসল্লীরা
- পাংশাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি প্রার্থনায় নামাজ আদায়
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !