বাংলাদেশ উন্নয়নে এগিয়ে, পিছিয়ে সভ্যতায়!
মীর আব্দুল আলীম
বাংলাদেশ এখন আর হেনরি কিসিঞ্জারের ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ নয়। বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে, এগিয়ে যাচ্ছে, অনেক সক্ষমতা বেড়েছে বাংলাদেশর। আন্তর্জাতিক চোখ রাঙ্গানি আর বিশ্ব ব্যাংকের তাঁবেদারি বাইরেও কাজ করিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। পদ্মা সেতু তার জ্বলন্ত নিদর্শন। আমাদের নাগরিকদের এখন দায়িত্ব বেড়ে গেছে অনেক। আমাদের সব ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। যার যার কাজ করতে হবে তাকেই। দুর্নীতিকে বলতে হবে না। হতে হবে পরিবেশ সচেতন।
দৃশ্যমান উন্নয়নে, অথর্নীতিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। আমাদের পত্রিকাগুলোও আজকাল লিখছে ‘বাংলাদেশের অথর্নীতির ঝুড়ি এখন টইটম্বুর’। এটা কিন্তু সত্য। এও সত্য আমরা এখনো সভ্য নই। সভ্য হতে পারিনি। আমাদের রূপ বদলেছে, মানুষের ভেতরটা এখনো বদলাইনি। এখনো আমরা আইন মানি না, কথায় কথায় ঘুষ-দুর্নীতি করি, খাদ্যে ভেজাল দিই। এখনো মোটেও সচেতন হইনি আমরা। আমাদের সড়কে কথায় কথায় মানুষ মরে। বিষমিশ্রিত খাবার খেয়ে মানুষ জটিল কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়। বিষাক্ত খাবার খেয়ে স্ট্রোক, হৃদরোগ আর ক্যান্সারে অকাল মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছি আমরা। এদিক থেকে আমরা এগিয়ে যাইনি বরং পিছিয়েছি।
আগে যারা দেশটাতে তিন বেলা খাবার পেত না এখন তারা মোটামুটি সচ্ছল। সবারই সঙ্গতি বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে বাংলাদেশ উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এগোচ্ছি; উন্নত হচ্ছি, কিন্তু সভ্য হচ্ছি না। সভ্যতায় বলতে হয় আমরা বড্ড পিছিয়ে।
অভিজ্ঞতা অজের্নর জন্য অনেক দেশেই ছুটে গেছি। যেসব দেশকে খুব দরিদ্র ভাবতাম তারা আমাদের চেয়ে সভ্যতায় অনেক বেশি এগিয়ে আছে। ভুটানে যাইনি এই ভেবে পাহাড় আর গরিব দেশে কি দেখব, আর শিখবই বা কি? গত জানুয়ারি আল-রাফি হাসপাতাল লি-এর পরিচালক এবং ডাক্তারদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানে ভুটান যাই। আমরা প্রায় ৮ লাখ মানুষের দেশ থেকে অনেক কিছু শিখলাম। মানুষ সভ্য হতে পুলিশ প্রশাসনের দরকার হয় না। ৪৬,৫০০ বগির্কলোমিটার দেশের মানুষ আইন মেনে চলে। নিজ চোখে যা দেখলাম তাই লিখছি। ১৯৫০-এর দশক পযর্ন্ত ভুটান একটি বিচ্ছিন্ন দেশ ছিল। ১৯৬০-এর দশকে ভারতের কাছ থেকে অথৈর্নতিক সাহায্য নিয়ে দেশটি একটি সভ্য রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হতে শুরু করে। তবে এখনো এটি বিশ্বের সবচেয়ে অনুন্নত দেশগুলোর একটি। অনুন্নত একটি দেশ নিয়েই কথা বলছি আমি। হাসপাতালের ডাক্তার এবং পরিচালকদের নিয়ে মাত্র পঁাচ দিন ছিলাম। এ অল্প সময়েই নিজেকে সুস্থ অনুভব করছিলাম। খাবারের ভীতি ছিল না।
ভেজাল দিতে ওরা বোধ হয় শেখেনি। নিম্নমানের হোটেলগুলোও আমাদের পাঁচ তারকা হোটেলের মতো পরিচ্ছন্ন। ফল-ফলাদি খেলেই বোঝা যায় ভালো কিছু খাচ্ছি। দরিদ্র দেশটির মানুষ পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন করে। পোশাক-আশাক দামি না হলেও আধুনিকতার ছাপ। সবচেয়ে বড় কথা ওরা আইন ভাঙে না কখনো। ওই দেশে চুরি-ডাকাতি নেই। যদি থাকতো মাইলকে মাইল পাহাড়ি নিজর্ন পথে আমরাই ডাকাতের কবলে পড়তাম। রাস্তায় ৫ দিনে পুলিশ দেখেছি এক জন মাত্র। রাস্তার আইন ওরা শতভাগ মানে। তাই দুগর্ম পথেও দুঘর্টনা নেই বললেই চলে। আমাদের বহনকারী ট্যুরিস্ট বাসটি নিদির্ষ্ট জায়গাতেই থামছিল। আমরা কোনো দশর্ণীয় জায়গা পেলে নামতে চাইলেও বলছিল এখানে থামার নিয়ম নেই। ত্রিসীমানায় কেউ নেই তবুও নিজ থেকেই ড্রাইভার নিয়ম মেনে চলছে। কখনো মোবাইল ফোন ধরার প্রয়োজন হলে গাড়ি থামিয়ে কথা শেষ করে তবেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি। পথচারীর চেয়েও ড্রাইভাররা অনেক বেশি সচেতন। পথচারী পথ পার হবে বুঝতে পেরে বহু আগে থেকেই গাড়ি থামিয়ে বসে থাকে ড্রাইভার। এমন নিয়ম কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপানে দেখেছি। বোধ করি তার চেয়েও গরিব দেশটিতে ড্রাইভাররা অনেক বেশি সচেতন মনে হয়েছে আমার। এখানে সিসি ক্যামেরা পুলিশ নজরদারী নেই, আইন না মানলেও দেখার কেউ নেই, তবুও ওরা আইন মানছে। ওরা সভ্য তাই সড়কে নিরাপত্তা বেশি। পঁাচ দিন সড়কে নিভের্য় চলেছি। ভীতি ছিল না। আমাদের ফুটপথ দিয়ে চলতেও ভয় পাই, কখন গাড়ি গায়ে উঠে যায়।
যখন দেশের বাইরে যাই, ফেরার রাতে দুঃস্বপ্নরা আমাকে পেয়ে বসে। ২৫ মে ২০১৮; ঘড়িতে তখন ৩টা বাজে; রাত ৩টা। আমার মনে হচ্ছে, কেউ আমাকে তাড়া করছে; ভীষণ ভয় দেখাচ্ছে। আমি প্রাণপণ চেষ্টা করছি চিৎকার করতে; দৌড়ে পালাতে। কিন্তু কোনো এক অজানা শক্তি আমাকে তিল পরিমাণ নড়তে দিচ্ছে না। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম নিয়ে চিৎকার করে উঠে বসলাম। যে দেশেই যাই, প্রতিবারই দেশে ফেরার রাতে এ জাতীয় একই চিত্র; একই আতঙ্ক! এ আতঙ্কর অবশ্য কারণ আছে। দেশের বাইরে সভ্য মানুষ, সভ্য রাষ্ট্র দেখে সারাক্ষণ আমি ভাবনায় পড়ে যাই। ভাবি ওরা এমন কেন? আর আমরাই বা কেন এমন?
সবের্শষ লায়ন্স ক্লাবের বাংলাদেশ দলের সঙ্গে মিয়ানমারের ইয়াংগুনে যাই গত তিন বছর আগে। অনেক ধনী রাষ্ট্রে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। কিন্তু মিয়ানমারের মতো দরিদ্র একটি রাষ্ট্রে এসে ওদের সভ্যতা আর আমাদের সভ্যতার তফাৎ দেখে বেশ লজ্জাবোধ হলো আমার। হতবাক তো হয়েছিই। মিয়ানমার সম্পর্কে আমাদের ধারণা খুব একটা ভালো নয়। ধমের্র বিষয়ে তো নয়ই। বামার্ বা মিয়ানমার মানেই দরিদ্র একটি রাষ্ট্র। মুসলমানদের নিযার্তনের ব্যাপারেও তাদের আছে অনেক বদনাম। সে দেশের সেনারা অনেক নিষ্ঠুরতা চালিয়ে বহু মুসলমানদের ওরা হত্যা করেছে। যা সারা বিশ্ব ঘৃণিত। এ রাষ্ট্রের ব্যাপারে আমাদের বাজে অভিজ্ঞতা আছে। আর যাই হোক, ওরা আইনের প্রতি অনেক বেশি শ্রদ্ধাশীল। স্বাস্থ্য সচেতন এবং দেশপ্রেমিক মনে হয়েছে আমার। এখানে এসে বুঝলাম আইন মানতে, আর সভ্য হতে অথের্র প্রয়োজন পড়ে না। ভালো কিছুর গুণকীতর্ন করতেই হয়। মিয়ানমারের ভালো কিছু থাকলে সেটা নিয়ে আলোচনা করতেই পারি। মন্দটা না হয় ওদের কাছেই থাক। ওদের ভালো কিছু যা আছে, যা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি তা নিয়েই এ লেখায় আলোকপাত করবো আজ।
মিয়ানমারের রাস্তায় ডিভাইডার নেই বললেই চলে। সাদা দাগ দিয়ে চলার পথ নিদির্ষ্ট করা। রাস্তায় ট্রাফিকও নেই খুব একটা। অবাক করা কথা ৫ দিনের যাত্রায় একটি বারও কাউকে নিজ দাগ অতিক্রম করতে দেখলাম না। আমরা যেখানে পারলে ইটপাথরের ডিভাইডার উল্টেপাল্টে চলতে অভ্যস্ত সেখানে ওরা দাগও অতিক্রম করে না। একদিকে এক কিলোমিটার ট্রাফিক জ্যাম চলে গেছে। অন্যদিকে ধেয়ে চলছে গাড়ি। ডিভাইডার নেই তবুও কেউ কারও জায়গায় যাচ্ছে না। আমাদের দেশে ডিভাইডার দিয়ে যেখানে রক্ষা নেই সেখানে সাদা দাগই তাদের জন্য যথেষ্ট। ওভারটেকিং কিংবা হনর্ বাজানো দরকার না পড়লে কেউ করে না সাধারণত। দিনে এমন; দেখি রাতে ওরা কি করে? ইয়াংগুনের ৫ তারকা হোটেলের রুম থেকে গভীর রাতে রাস্তার দৃশ্য দেখতে জানালার পাশে গিয়ে বসলাম। গভীর রাতেও কাউকে দাগ অতিক্রম করতে দেখিনি। লেন পরিবতর্ন করতে গেলেও রাতেও ১/২ কিলোমিটার ঘুরে তবে অন্য লেনে যায় গাড়িগুলো। সৌদি আরব, চীন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশেই এ অবস্থা লক্ষ্য করেছি। ভাবি আমরা কেন ওদের কাছ থেকে শিক্ষা নিচ্ছি না? আমাদের রাষ্ট্র যারা পরিচালন করেন তারা তো এসব দেশে আসেন। রাষ্ট্রের খরচায় তারা বিদেশে আসেন। প্রশ্ন হলো তারা কি এসব দেখেন না? শেখেনই না বা কেন?
মন্দ ভাগ্য আমাদের। আমাদের লোকজন শেখানও না; শেখেনও না। শিখলে আর শেখালে আমাদের রাষ্ট্রের পরিবহনব্যবস্থাও এমন হতো না কখনই। আইন করলেই হয় না। আইন প্রয়োগ করে শেখাতে হয়। ইয়াঙ্গুনের অধিবাসীদের সঙ্গে কথা বলে যতদূর জেনেছি, পরিবহনব্যবস্থা এমন করতে রাষ্ট্রযন্ত্র খুব নিষ্ঠুর ছিল। যারা আইন মানতো না তাদের কঠোর শাস্তি দিয়ে সভ্য করা হয়েছে। সভ্য হতে বাধ্য করে তবেই সভ্য করা হয়েছে। আর একবার কেউ সভ্য হয়ে গেলে, অসভ্য হতে বিবেকে বাদ সাধে। বলতে গেলে ওদের সভ্য হওয়ানো হয়েছে। আমাদের যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে আমার কাছে অন্যসব মন্ত্রীদের চেয়ে একটু ভিন্ন মনে হয়। দেখি তিনি মাঝেমধ্যে রাস্তায় নামেন। হুঙ্কার দেন। যদিও তার হুঙ্কার কাজে আসছে না। আসলে আমাদের সড়ক এখনো এত অনিরাপদ থাকতো না। আমি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকষর্ণ করে বলতে চাই ‘আমরা সভ্য নই, আপনি আমাদের সভ্য হতে বাধ্য করুন। কঠোর হোন। আমি বিশ্বাস করি আপনি চাইলে তা পারবেন। প্রধানমন্ত্রী তো ছোট পদ নয় যে, ইচ্ছা পূরণ হবে না। ইচ্ছা করতে হবে; নিষ্ঠুর হতে হবে; তবেই আমাদের সভ্য বানাতে পারবেন আপনি।
বিদ্যুতের অভাবনীয় সাফল্য এবং শিল্প, কৃষি, বাণিজ্য, একটি বাড়ি একটি খামার, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অথৈর্নতিক প্রবৃদ্ধির হার তিন বছর ধরে রয়েছে ৭ শতাংশের ওপরে। অথর্নীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন কমর্কাণ্ড যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে; বিদেশি বিনিয়োগ অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের অথর্নীতির প্রবৃদ্ধি অনেক প্রভাবশালী দেশকে ছাড়িয়ে যাবে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত অথর্বছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। বতর্মান ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ২০২০ সালের মধ্যে প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে পৌঁছানোর লক্ষ্য চলতি অথর্বছরের মধ্যেই বাস্তবায়ন হতে পারে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অথর্মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবের্শষ ২০১৭-১৮ অথর্বছরের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও এর প্রবৃদ্ধির হারে দেখা যায়, গত অথর্বছরে জিডিপি তথা অথর্নীতির আয়তন দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা, আর আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির এই হার সপ্তম পঞ্চবাষির্ক পরিকল্পনায় প্রক্ষেপিত ৭ দশমিক ৪০ শতাংশের চেয়েও বেশি। এটি একটি গুরুত্বপূণর্ অজর্ন, যা নিয়ে দেশের নীতি-নিধার্রকসহ বিভিন্ন মহল স্বাভাবিকভাবেই বেশ উচ্ছ্বসিত। কিন্তু উচ্ছাসিত নই সভ্যতায়। খাবারে ভেজাল বাড়ছে, সড়ক দুঘর্টনা বাড়ছে, দুনীির্ত বাড়ছে। আগে পুলিশকে ২০০-৫০০ টাকা দিলে চলতো। পরে হাজার, লাখ ছাড়িয়ে কোটির অঙ্কে ঘুষ লেনদেন হয়। ভ‚মি অফিসে, সাবরেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ম করে, কাজ অনুসারে প্রকার ভেদে নানা অঙ্গের ঘুষের লেনদেন চলে। হাসপাতালে দুনীির্ত চলে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুনীির্ত। কোথায় নেই দুনীির্ত? এক প্রধানমন্ত্রী একা কি দুনীির্ত রোধ করতে পারবেন? দেশটা আমাদের সবার আসুন আমরা সবাই মিলে দুনীির্তমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি।
এ কথা সত্য যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে বাংলাদেশ উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সাল পযর্ন্ত বাংলাদেশের সামনে আছে আরও ২২টি বছর। এই সময়ে আরও ২২টি সিঁড়ি ভেঙে বাংলাদেশ উন্নত দেশে উত্তীণর্ হবে এটাই লক্ষ্য। এই সময়ের মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশ একটি মযার্দাশীল, উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে উত্তীণর্ হবে বলে অভিমত অথৈর্নতিক বিশ্লেষকদের। বাংলাদেশের অথর্নীতির অন্যতম প্রধান সূচক রেমিট্যান্সেও সুখবর দিয়ে শেষ হয়েছিল ২০১৮ সাল। গত বছরে ১ হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ (১৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন তারা। এই অংক ২০১৭ সালের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেকডর্ ১৫৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা এক মাসের হিসাবে রেকডর্। রেমিট্যান্সের এই অঙ্ক গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং আগের মাস ডিসেম্বরের চেয়ে ৩২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
এদিকে গত ১০ বছরে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্নতা অজর্ন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে অভ‚তপূবর্ উন্নয়ন, গড় আয়ু বৃদ্ধি, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস পাওয়ায় বেড়েছে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ। ইতোমধ্যে বিনিয়োগ বাড়াতে প্রথম কৌশল হিসেবে বড় আকারের ফাস্টর্ ট্র্যাক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতু নিমার্ণ, ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্প, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, পায়রা সমুদ্রবন্দর নিমার্ণ ও সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর নিমার্ণ। স্বাধীনতার সময়ে আমাদের অত্যন্ত ঝুঁকিপূণর্ ও একটি ভঙ্গুর অথর্নীতি ছিল। সে অবস্থা থেকে এক ধরনের টেকসই ভিত্তি তৈরি করা গেছে বতর্মান অথর্নীতিতে। যার ফলে আমাদের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দিক তৈরি হয়েছে। যেমন প্রবৃদ্ধির মাত্রাগুলো একটি গতি ধরে এগিয়েছে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরে আমাদের চাওয়ার জায়গাটায় একটি পরিবতর্ন এসেছে। এখন কেবল সভ্য হতে হবে আমাদের।
সবের্শষ এটাই বলা যায়, আমাদের সব ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল হতে হবে। যার যার কাজ করতে হবে তাকেই। দুনীির্তকে বলতে হবে না। হতে হবে পরিবেশ সচেতন। খাদ্যে সচেতন হতে হবে। যোগাযোগ, বিশেষ করে ট্রাফিক আইন মানার বিষয়টিতেও আমাদের অনেক শিক্ষা নেয়া প্রয়োজন। আইনশৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিতেও আমাদের সজাগ হতে হবে। ওই যে বললাম, আমাদের সবাইকে সভ্য হতে হবে। তবেই সোনার বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক হবো আমরা।
লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট, সমাজ গবেষক।
পাঠকের মতামত:
- ডুমাইনের ঘটনার দোষীদের বিচারের দাবিতে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের শান্তি মিছিল
- ‘লাল কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে বেইমানদের শিক্ষা দেবে জনগণ’
- ৩ দিনব্যাপী জালাল মেলার উদ্বোধন, দর্শক ও ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়
- নড়াইলে মাদক মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
- অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা
- ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস
- ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল আলম রকেট আর নেই
- বাগেরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ, স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু
- নড়াইলে নবগঙ্গা নদী থেকে প্রতিবন্ধী যুবকের মরদেহ উদ্ধার
- গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাব স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড
- টাঙ্গাইলে পচা মাংস বিক্রি করায় জরিমানা
- ‘এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নয়’
- টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে ইস্তিকার নামাজ আদায়
- ‘মানবাধিকার নিয়ে বাংলাদেশের অর্জন স্বীকার করেনি যুক্তরাষ্ট্র’
- টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন
- বাগেরহাটে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
- মহম্মদপুরে সড়কে দুর্ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু
- বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে অঝোরে কাঁদলেন মুসুল্লীরা
- সার্বজনীন পেনশন স্কিমের রেজিস্ট্রেশন বুথ উদ্বোধন গৌরনদীতে
- মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজান সহ ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে
- সাজেকে নিহত ঈশ্বরগঞ্জের ৫ শ্রমিকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম
- গৌরীপুরে ৩ দফা দাবীতে কৃষক সমিতির স্মারকলিপি প্রদান
- গাইবান্ধায় বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের নামাজ আদায়
- দিনাজপুরে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে পরিকল্পনা কর্মশালা
- কুষ্টিয়ায় নারী চিকিৎসককে হয়রানি, যুবকের কারাদণ্ড
- ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
- বঙ্গোপসাগরে কার্গো জাহাজডুবি, ভাসছেন ১২ নাবিক
- পার্বত্য জেলার এনজিওর বাজেট জানাতে হবে জেলা পরিষদকে
- মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়ের কারণে জনগণ জিম্মি: রিজভী
- টিসিবির জন্য কেনা হবে সাড়ে ৬১ কোটি টাকার মসুর ডাল
- মাগুরায় বৃষ্টির জন্য নামাজ ও দোয়া প্রার্থনা
- নড়াইলে বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ
- শয্যা সংকটে ফ্লোরসহ এক বেডে থাকছে দুই থেকে তিন শিশু
- বেনজীর ও তার পরিবারের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে বিএফআইইউতে দুদকের চিঠি
- প্রমাণে ব্যর্থ রাষ্ট্রপক্ষ, অস্ত্র মামলায় খালাস ‘গোল্ডেন মনির’
- জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে হবে: শিল্পমন্ত্রী
- যশোর পৌরসভায় তাপদাহে চাহিদার তুলনায় কমেছে পানি সরবরাহ
- বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পন্ন
- নড়াইলে খুনের ঘটনার ৫ মাস পরেও থামছে না বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট, আতঙ্কে গ্রামছাড়া মানুষ
- পাংশায় মাদক ব্যবসায়ীসহ পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার
- সোনার দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা
- চলতি বছর থাইল্যান্ডে হিটস্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু
- নিরাপদ সড়কের প্রয়োজনীয়তা
- তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তির আশায় সরিষাবাড়ীতে বিশেষ নামাজ আদায়
- ফরিদপুরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
- টঙ্গীবাড়িতে ভাই-ভাতিজার হাতে ভাই খুন
- পুতুল পোড়াতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ শিশু রিয়ার মৃত্যু
- বড়াইগ্রামে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ভ্যান চালকের মৃত্যু
- বহিস্কার করেও ভোটমুখী নেতাদের বাগে আনতে পারছে না বিএনপি
- ফুলপুরে ট্রাক চাপায় নিহত ১
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !