রমজানকে সামনে রেখে মজুদদারদের আর্বিভাব ঘটে, চাই দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
মুসলামনদের সর্বাধিক প্রিয় মাস পবিত্র মাহে রমজান একেবারেই সন্নিকটে। বরাবরই পবিত্র রমজান আসার আগেই আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে জনজীবন অসহনীয় করে থাকেন। আর নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সরকার ও আমরা- সবাই উদ্বিগ্ন। যেভাবে প্রতিদিন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর পরও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে প্রতি বছর অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী ও মজুদদারদের আর্বিভাব ঘটে। এসব ব্যবসায়ী চিনি, ছোলা, ডাল, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, চাল, সয়াবিন খেজুর, পাঞ্জাবী, শাড়ি ইত্যাদি পণ্য বিক্রী করে থাকে। আর আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে। নিত্যপণ্যের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দুধ, ডিম, মাংসের দাম বেড়েছে রোজার আগেই।এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, মূল্য সন্ত্রাসী, মুনাফাখোর, মজুদদারি, সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি; নকল, ভেজাল ও মানহীন পণ্যের দৌরাত্ম্যের কারণে আজ নাগরিক জীবন অতিষ্ঠ, মানুষের স্বাভাবিক জীবন-জীবিকার অধিকার এখান মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। একশ্রেণির নীতি-আদর্শহীন, অতি মুনাফালোভী, অসাধু ব্যবসায়ীদের দিনে দিনে কোটিপতি হওয়ার বাসনায়, তাদের ইচ্ছামতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ সংকট সৃষ্টি করে ও দাম বাড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা প্রায় অচল করে দিচ্ছে। যার ফলে সাধারণ মানুষের জন্য জীবন-জীবিকা নির্বাহ করা দুরূহ হয়ে পড়ছে।
ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে দাম বাড়ালেও ওই পণ্যের আন্তর্জাতিক মূল্য কমলেও তারা আর কমান না। সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে গুটিকয়েক অসৎ ব্যবসায়ীর স্বার্থ সংরক্ষণে যাবতীয় রীতিনীতি প্রণয়ন করার কারণে সাধারণ জনগণের স্বার্থ বারবার উপেক্ষিত হচ্ছে। ফলে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম ইচ্ছামতো বাড়ান, কমান, সরবরাহসহ বাজার নিয়ন্ত্রণ করে জনগণকে জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা নিজেদের পকেটস্থ করেন। যার কারণে রিকশা, সিএনজি, বাড়ি ভাড়া, বাস ভাড়া থেকে শুরু করে নগরীর সেলুন, ফটোস্ট্যাট, বিস্কুট, পাউরুটি, কাঁচাবাজার, ফলমুলের ব্যবসায়ী, ফার্মেসিসহ সবাই নিজেরাই তাদের ইচ্ছামতো পণ্য ও সেবার মূল্য নির্ধারণ করছেন, সেখানে সরকারি কোনো সমন্বয় সাধন তো দূরের কথা সরকারের সংশ্লিষ্ট লোকজন এর খবরই রাখছেন না। উপরন্তু পবিত্র রমজান মাস এলে তাদের এ কর্মকান্ডকে বৈধতা দেওয়া, সরকারের ভর্তুকি লাভের আশায় ও কর ফাঁকির কুমতলবে এসব ব্যবসায়ীা সুদৃশ্য মোড়কে ন্যায্যমূল্যের দোকান খুলে সাধারণ জনগণের সঙ্গে ছলচাতুরি করছে। কিন্তু পাইকারি ও খুচরা বাজারের মাঝে সমন্বয় করলে, মজুদদারি ও একচেটিয়া আমদানির দৌরাত্ম্য কমাতে পারলে দ্রব্যমূল্য অনেকাংশে কমানো যেত। পবিত্র রমজান, ঈদ ও পূজা সামনে রেখে একশ্রেণির মুজদদারি, সিন্ডিকেট চক্র প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনের নাকের ডগায় তাদের বৃদ্ধাঙুলি প্রদর্শন করে চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, গম, মশলা ও সয়াবিন সংকট তৈরি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ চক্রটি চাল সংকট করে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এসব মজুদদারি, অসাধু ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটকারীদের সঙ্গে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু লোকের অবৈধ আঁতাতের কারণে জনগণের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী সহজলভ্য ও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা সরকারের দায়িত্ব এবং ভোক্তা শ্রেণীর অধিকার। কিন্তু আমাদের দেশের বাজার ব্যবস্থাপনা মজুদদার লুটেরাদের হাতে কুক্ষিগত। বিশেষত রমযান ও ধর্মীয় উৎসবগুলোতে বাজার ব্যবস্থাপনায় শোচনীয় অবস্থা বিরাজ করে। তখন কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্য মজুদ করে রাখে। এতে অস্বাভাবিকভাবে পণ্যের মূল্য হু হু করে বাড়তে থাকে। ভোক্তা শ্রেণী প্রয়োজনের তাগিতে চড়ামূল্যে পণ্যসামগ্রী ক্রয় করতে বাধ্য হয়। ফলে এ সুযোগে অতি মুনাফাখোর একদল অসাধু ব্যবসায়ী সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে। আর সাধারণ মানুষ চড়া মূল্যে পণ্য ক্রয় করে নিঃস্ব থেকে আরো নিঃস্বতর হয়। এ সমস্যা নিয়ে প্রিন্ট মিডিয়ায় অনেক লেখালেখি হয় এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বহু সচিত্র প্রতিবেদন ও প্রচার হয়। বিভিন্ন সময়ে সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে এ সমস্যা নিরসনে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং সুপারিশমালা গ্রহণ করা হয়। তখন সরকারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মজুদদারি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণের নানা কথা বলে থাকেন এবং ব্যবসায়ীরা বহু প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। কিন্তু বাস্তবে এ সমস্যার প্রতিকার সামান্যই পরিলক্ষিত হয়।
কথিত আছে, এসব ব্যবসায়ী বলে থাকে, রমজানের একমাস ব্যবসা করব, সারা বছর আরামে কাটাব। পবিত্র রমজান মাস মুসলিম বিশ্বের জন্য একটি বিশেষ নিয়ামত। এটি সংযম ও নাজাতের মাস, পাপমুক্তির মাস হলেও এসব মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্মের কারণে জনজীবন হয়ে উঠে অসহনীয় ও যন্ত্রণাদায়ক।আর রমজান মাস নাজাতের মাস হলেও আমাদের দেশে তা আতঙ্কের মাসে পরিণত হয়।আজকের বিষয় নিয়ে কলাম লিখেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট গবেষক ডা.এম এম মাজেদ তার কলামে লিখেন.... পবিত্র ইসলামে অতিরিক্ত মূল্য আদায় কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। হাদিস শরীফে বলা হয়েছে, ‘ব্যবসায়ীরা যদি সীমাতিরিক্ত মূল্য আদায় করে এ সুযোগে যে, ক্রেতা পণ্যের মূল্য জানে না; তাহলে অতিরিক্ত পরিমাণের মূল্য সুদ হিসাবে গণ্য হবে।’ আবার মজুদদারী সর্ম্পকে হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘মজুদদার খুব নিককৃষ্টতম ব্যক্তি। যদি জিনিসপত্রের দাম হ্রাস পায়, তবে তারা চিন্তিত হয়ে পড়ে, আর দাম বেড়ে গেলে আনন্দিত হয়।’ (মেশকাত)। আর খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে রাখা অথবা তা বাজার থেকে তুলে নিয়ে দাম বাড়ানো ইসলামে অবৈধ। হানাফি মাজহাব মতে মাকরূহে তাহরিমি (হারাম সমতুল্য) হলেও অন্যান্য মাজহাব মতে এটি হারাম।
এ ধরনের কাজে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং অনেক মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। তাদের কষ্ট বাড়িয়ে দেয়।তাই ইসলাম এ প্রকার কাজকে হারাম ঘোষণা করেছে। এ প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মুসলমানদের খাদ্যশস্য মজুদ রাখে, আল্লাহপাক তার ওপর দরিদ্রতা চাপিয়ে দেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস নং : ৫৫)
ব্যবসায়িক পণ্য বিক্রি না করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বর্ধিত মুনাফা আদায়ের প্রচেষ্টা একটি সামাজিক অপরাধ। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে খাদ্যশস্য গুদামজাত করে সে অভিশপ্ত।‘ (ইবনে মাজাহ) তিনি আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি ৪০ দিনের খাবার মজুদ রাখে, সে আল্লাহর জিম্মা থেকে বেরিয়ে যায়। ‘ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ২০৩৯৬) অন্য হাদিসে এসেছে : ‘যে ব্যক্তি খাদ্যশস্য গুদামজাত করে সে অপরাধী। ’ (আল মু’জামুল কাবির : ১০৮৬)
তবে গুদামজাত পণ্য যদি মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় বস্তু না হয় কিংবা মানুষ এর মুখাপেক্ষী না হয় অথবা এসব পণ্য চাহিদার অতিরিক্ত হয় বা গুদামজাতকারী বর্ধিত মুনাফা অর্জনের অভিলাষী না হয়, তাহলে এসব অবস্থায় পণ্য মজুদ রাখা অবৈধ নয়।
রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের অমীয় বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে মাহে রমজান। কিন্তু মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা রমজানের আগেই পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। রমজান মাসে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের নানা রকম অঙ্গীকার-প্রতিশ্রুতি থাকে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীদের প্রতি দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু কতটা কার্যকর হয় এটা দেখার বিষয়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লেই আমরা প্রায়শ সরকারকে দোষারোপ করে থাকি। এটি ঠিক যে, সরকারের যথাযথ মনিটরিং-এর দুর্বলতার সুযোগে আর দ্রব্যমূল্য মনিটরিং-এর দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারের কর্তাব্যক্তিদের খামখেয়ালিপনার কারণে কিছু মুনাফাখোর, মজুদদারি, সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্থিতিশীল হয়।
আবার যখনই কোনো পণ্যের দাম বাড়ে তখনই সাধারণ জনগণও সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়েন, দাম বাড়ার গুজবে নিজেরাই ঐ পণ্যের মজুদে তৎপর হয়ে ওঠেন।
কিন্তু বরাবর দেখা গেছে, কোনো বিশেষ উপলক্ষে বাজারের নাটাই থাকে অশুভ চক্রের হাতে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি ব্যবসায়ীরা থোড়াই কেয়ার করে, তারা পণ্যমূল্য ইচ্ছামত বাড়িয়ে দেয়। তাই বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবর্তে অসুস্থ পরিবেশ তৈরি হয়। সে কারণে পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সহনীয় পর্যায় রাখার জন্য সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সব মহল ব্যবসায়ীদের বার বার অনুরোধ করার পরও তাদের সেই প্রতিশ্রুতি কাজে আসে না। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজিতে পুরো দেশ অন্য দেশের বাজারে পরিণত হয়েছে।
আর আমাদের দেশেও মানুষে-মানুষে আয়-ব্যয়ের বিস্তর ফাঁরাক। খাদ্যপণ্য ভোগের ক্ষেত্রেও চরম বৈষম্য লক্ষ্যনীয়। বাজারে সবকিছু থরে থরে সাজানো দ্রব্যের কমতি নেই। লাগামহীন মূল্যস্ফীতিতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নেই। এজন্য ভোক্তা আইন-আন্দোলন ইত্যাদি থাকলেও বাজার মনিটরিং করার দায়িত্বে নিয়োজিত কাউকে অকুস্থলে খুঁজে পাওয়া যায় কি?
ফেইসবুকে এক বন্ধু আক্ষেপ করে লিখেছেন- “সামনে রোজা আসছে। দেখবেন রোজার আগমনে অন্যান্য মুসলিম দুনিয়া শান্ত হয়ে আসছে। মানুষের মাঝে একটা ভাবগম্ভীর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে শুরু হবে কেনা কাটার মচ্ছব। যার দুই কেজি পেঁয়াজ দরকার সে কিনবে বিশ কেজি। যার এক কেজি চিনি দরকার সে কিনবে- দশ কেজি। এমন করে খাবার মজুদ করা শুরু হবে- যেন সারা বছর না খেয়ে ছিলো। রোজার পরও আর কোনোদিন খাবার খাবোনা। দুনিয়ার সব খাবার এই ত্রিশ দিনেই খেয়ে শেষ করতে হবে। এই সুযোগে পবিত্র রমজানের ব্যানার টাঙ্গিয়ে দ্রব্য মূল্য বাড়িয়ে ব্যবসায়ীরাও অপবিত্র কাজ করা শুরু করে দিবে।
আমাদের মোড়ে মোড়ে এতো এতো মসজিদ, মাঠে মাঠে এতো ওয়াজ, গলিতে গলিতে এতো মাজার হওয়ার পরও পরিবর্তন হচ্ছে না কেন? ধর্মের দোষ দিচ্ছিনা, মসজিদেরও না, মাজারেরও না। শুধু আত্মসমালোচনা করছি।” মহান আল্লাহ তা'আলা রমজানের প্রকৃত শিক্ষা লাভ করে আমাদের আরো বেশি সৎ ও বিনয়ী হওয়ার তৌফিক দান করুন। নকল ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করা রমজানের সময় একটি ভয়ংকর সংকট। মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যের তারিখ পরিবর্তন করে বিক্রি করার প্রবণতা ব্যাপক বেড়ে গেছে। গত তিন বছর প্রাণঘাতি করোনার ভয়ে মানুষ যখন বাড়ি থেকে বের হবার সাহস হারিয়ে ঘরে বসে কেনাকাটা করতে চান তখন একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অনলাইনে কেনাকাটার ফাঁদ পেতে বসেছেন।
অনলাইনে কেনাকাটার জন্য ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ও টিভি-পত্রিকাও ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন দিয়ে নিরীহ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। গুদামের পঁচা খাদ্যশস্য, দোকানের ছেঁড়াফাটা কাপড়, ভেজাল তেল-ঘি, নকল জুস, হোটেল-রেস্তরাঁর বাসি-পঁচা খাবার ইত্যাদি এখন অনলাইনে কেনাকাটার পণ্যদ্রব্য। তাই নিরুপায় মানুষ নিত্য প্রতারিত হতে হচ্ছে অনলাইন কেনাকাটায়।আর গত দুই বছর করোনায় মারাত্মক আঘাতে ঘরবন্দী ছিলো মানুষ এখন কার ওপর ভরসা করে কি খেয়ে জীবন নির্বাহ করবে? নিন্ম আয়ের মানুষের কথা ভেবে টিসিবি-কে পাড়ায় পাড়ায় নিত্যপণ্য সরবরাহ বাড়াতে হবে। উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ে যেন নিত্যপণ্যের অভাবে হাহাকার সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে সরবরাহ চেইন নিয়মিত ঠিক রাখতে তৎপর হতে হবে।
পরিশেষে বলতে চাই, আমাদের প্রয়োজনীয় সচেতনতা ও যথেষ্ট অভিজ্ঞতা না থাকায় দেশের অধিকাংশ ক্রেতা-ভোক্তা তাদের অধিকার, দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন নন। ফলে সহজেই অসাধু ব্যবসায়ীরা এভাবে পণ্যর দাম বাড়িয়ে অনেক লাভ করে নিয়ে যায়। তা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। অধিকন্তু অধিকাংশ ভোক্তা আসল-নকল চিহ্নিত করে সঠিক পণ্য পছন্দ করতে পারেন না। এতে তারা অনেক সময় বিপাকে পড়ে যান। তাই ব্যাপক সচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং অনেক প্রচার করতে হবে- যাতে সাধারণ নাগরিক জানতে পারে তাদের কীভাবে সঠিক পণ্য কিনতে হবে এবং কোন অন্যায় দেখলে সেখানে প্রতিবাদ করতে হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত যে কোনো নীতিনির্ধারণীমূলক ক্ষেত্রে ভোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে- যাতে তাদের অধিকারের কথা তুলে ধরতে পারেন।আর কেউ যেন অন্যায়ভাবে অপরের রিজিক কেড়ে না নেয় সেজন্য মানুষের মধ্যে সচেতনা বাড়াতে হবে। রমজানের রোজা রেখে মানুষের আত্মশুদ্ধি হোক ও আত্মোপলব্ধি জাগ্রত হয়ে সকল পাপ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবার আত্মা জেগে উঠুক। রোজার মহিমায় যাবতীয় অতি মুনাফালোভী, মজুতদার শঠ ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকারীদের ভন্ডামী নৎসাত হয়ে যাক। শয়তানের প্রভাবে বিচ্যুত সকল মানুষ রোজার তাপে পুড়ে আত্মোপলব্ধি থেকে আত্মশুদ্ধি লাভ করে ঈমান মজবুত করুক এবং ফিরে ফিরে পাবার প্রেরণা পাক দুই জীবনের কল্যাণ। তাই মৌসুমি ব্যবসায়ীদের বিষয়ে সতর্ক হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।
লেখক : কলাম লেখক ও গবেষক, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।
পাঠকের মতামত:
- নাট্যজন মামুনুর রশীদের পক্ষ নিয়ে শিল্পী সংঘের প্রতিবাদ
- সারাদেশে নারীদের নামাজের ব্যবস্থা চেয়ে ৬৪ ডিসিকে লিগ্যাল নোটিশ
- শুক্রবার থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সব স্টেশনে থামবে মেট্রোরেল
- ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৪৯
- মেয়রের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লাইভ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতন, আইসিটি মামলা
- সালথায় শিলাবৃষ্টিতে পেঁয়াজের ক্ষতি, দুশ্চিন্তায় কৃষক
- ১ এপ্রিল থেকে দুই রাত জ্বলবে নীল বাতি
- বৃষ্টি হতে পারে ৮ বিভাগেই
- অটিজম নিয়ে অবদানে সম্মাননা পাচ্ছেন ১৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান
- ভিকারুননিসার দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরের পদ নিয়ে রায়ের দিন পেছালো
- সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কারাগারে রাখার আবেদন
- গাজীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিন শ্রমিকের মৃত্যু
- মাগুরায় অশোকাষ্টমী উপলক্ষে মহা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- যমুনা নদীতে গঙ্গাস্নানে পূর্ণ্যার্থীদের ঢল
- চট্টগ্রাম শহরকে পাকবাহিনী চারিদিক থেকে ঘেরাও করে
- আইরিশদের উড়িয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়
- ‘দেশে ইসলাম এসেছে শান্তির পথে’
- নোয়াখালীতে তরমুজ ক্ষেত পরিদর্শন করলেন ফ্রান্সের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণ
- বাগেরহাটে ২০ নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সম্মাননা
- ভাংগায় গ্রীন লাইন ও নিউ অন্তরা ক্লাসিক পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৬
- এক ইলিশের দাম ৬ হাজার
- প্রতিবেশীর ক্ষতি সাধনের লক্ষ্যে সীমানা বরাবর পুকুর খনন
- ‘তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে বিএনপি চিঠি দিলে আলোচনা করে দেখতাম’
- আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ ক্ষণজন্মা পুরুষ নূরে আলম সিদ্দিকীর চির বিদায়
- বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর শোক
- ভাগ্নেকে কুপিয়ে ও প্রেট্রোল ঢেলে হত্যার চেষ্টা, আইনজীবী মামা র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার
- নওগাঁয় ছেলেকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে মায়ের সংবাদ সম্মেলন
- রাণীনগরে পশুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা
- নওগাঁয় সাড়ে ৪শ' পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
- সুলতানার পরিবারের দাবি ‘নির্দোষ, সে চক্রান্তের শিকার’
- লেবুর হালি নেমেছে ২০ টাকায়
- টাঙ্গাইলে ট্রান্সফরমার চুরি ঠেকাতে পুরস্কার ঘোষণা
- আবারও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী
- জ্বালানি তেলের দাম কমানোর ঘোষণা শ্রীলঙ্কার
- মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন সাবেক এমপি আরজু
- নারায়ণগঞ্জে নামকরা রেস্টুরেন্টগুলোর দখলে ফুটপাত, বাধ্য হয়ে সড়কে নামছে পথচারীরা
- আদালতে মমিনের স্বীকোরক্তিমূলক জবানবন্দি
- বাগেরহাটে বেশি দামে মুরগির বাচ্চা বিক্রি, ডিলারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা
- সাকিবের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ফাইফার
- বাগেরহাটে চুরির অপবাদ দিয়ে যুবককে আটকে রেখে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
- ক্রয়ের ৪৮ বছর পরেও জমির দখল বুঝে পাননি কাউন্সিলর ভ্রাতৃদ্বয়
- বরগুনায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বৃদ্ধাকে মারধর
- শিবচরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে প্রাইভেটকারের ধাক্কা, নিহত ১
- সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
- ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
- গৌরীপুরে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যের ধান বীজ ও সার বিতরণ
- সুন্দরবনে বাঘের মুখ থেকে বাড়ি ফিরলেন জেলে আব্দুল ওয়াজেদ
- অহেতুক আলাপ করে কী হবে, ইসির সংলাপের বিষয়ে ফখরুল
- ‘সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করলেই তিনি বেকার নন’
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !