E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জনসচেতনতাই ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধের বড় উপায়

২০২৩ মে ২৭ ১৩:৫২:২০
জনসচেতনতাই ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধের বড় উপায়

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ


২৮ মে, বিশ্ব ব্লাড ক্যানসার দিবস ২০২৩।  বিশ্ব ব্লাড ক্যান্সার দিবস হলো ব্লাড ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টির দিবস।  সবাই ব্যক্তি, পরিবার, বন্ধু, সম্প্রদায় নির্বিশেষে আন্তর্জাতিক সংস্থা ডব্লিউ বি সি ডি( WBCD) এর আনুষ্ঠানিক চিহ্ন ব্যবহার করে এই বিশেষ দিবসটি পালন করে থাকে। ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকেমিয়া মানবেদেহে ঘাতক ব্যাধিগুলোর মধ্যে অন্যতম বলে বিবেচিত,ব্লাড ক্যান্সার বা রক্তের ক্যানসার নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত। সময়ের সঙ্গে এ ধরনের রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি পাল্টেছে, অনেক উন্নতিও লাভ করেছে।ক্যান্সার একটি কালান্তর ব্যাধি।বা কর্কটরোগ অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগসমূহের সমষ্টি। এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। কারণ প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার রোগ সহজে ধরা পড়ে না, ফলে শেষ পর্যায়ে গিয়ে ভালো কোন চিকিৎসা দেয়াও সম্ভব হয় না। বাস্তবিক অর্থে এখনও পর্যন্ত ক্যান্সারের চিকিৎসায় পুরোপুরি কার্যকর কোনও ওষুধ আবিষ্কৃত হয় নি। ক্যান্সার সারানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পরলে এই রোগ সারানোর সম্ভাবনা অনেকাংশ বেড়ে যায়। ২০০ প্রকারেরও বেশি ক্যান্সার রয়েছে। প্রত্যেক ক্যান্সারই আলাদা আলাদা এবং এদের চিকিৎসা পদ্ধতিও আলাদা। 

বর্তমানে ক্যান্সার নিয়ে প্রচুর গবেষণা হচ্ছে এবং এ সম্পর্কে নতুন নতুন অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।ক্যান্সার নামটা ভয়ঙ্কর সৃষ্টিকারী। ভয়াবহতা সম্বন্ধে আমার কিছু না বললেও চলে, বর্তমান সমাজে, বন্ধু বান্ধব আত্নীয় স্বজনের মধ্যে এই ভয়ঙ্কর রোগে জীবন দান করেনি এমন লোক পাওয়া যাবে না। যুদ্ধ, প্লাবন ও দুর্ভিক্ষ, সমাজ জীবনে সাময়িকভাবে আসে আবার চলে যায়, বহু জীবন ধ্বংস করে, কিন্তু এই বিধ্বংসী রোগ ক্যান্সার ক্রমাগত মানব সমাজকে ধ্বংসের দিগে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমার চেয়ে ও আর ও বড় বড় মনীষী এর ধ্বংসলীলার বিবরণ দিয়েছেন। গত দুই যুগ ধরে এ রোগে যত রোগী মৃতুবরন করেছেন, কোন যুদ্বেও এত লোক জীবনাহুতি দেয়নি, এই রোগে মানুষের দুঃখ কষ্ট ও জীবননাশের কোন হিসাব নেই। রাখা সম্ভবও নয়। অসহায় মানুষ অনবরত আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে, এই রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে। স্বামী-হারা স্ত্রী, স্ত্রী হারা-স্বামী, পিতৃ মাতৃহারা শিশু, জীবনের অর্জিত সম্পদ ভেসে যাওয়া ক্যান্সার এই সব দুঃখ কষ্টের কারণ।এর একমাএ কারণ -রোগ ও এই রোগের উৎপত্তি কারণ সস্বন্ধে অজ্ঞতা এবং চিকিৎসা পদ্ধতি সম্বন্ধে ও অজ্ঞতা। ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার বা মানুষকে রক্ষা করার একমাএ পথ হল হলো কারণগুলি বিশ্লেষণ করা। মূলত লিউকেমিয়াকে আমরা ব্লাড ক্যান্সার বলে থাকি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর প্রায় ১৩ বিলিয়ন মানুষ ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুবরণ করবে। ২০৩৫ সালের দিকে বাংলাদেশে দুই লাখ ৫০ হাজারের মতো ব্লাড ক্যান্সারের নতুন রোগী শনাক্ত হতে পারে। যতগুলো ক্যান্সার রয়েছে তার মধ্যে ৬.৫ শতাংশ হচ্ছে ব্লাড ক্যান্সার। বাংলাদেশে এই সংখ্যা ৪৮ শতাংশে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই লিউকেমিয়া হলো রক্তকোষের ক্যানসার, বিশেষত শ্বেত রক্তকণিকার ক্যান্সার। ব্লাড ক্যান্সার বা রক্তে ক্যান্সার নামেই বেশি পরিচিত। এটি কোনো বংশগত বা ছোঁয়াচে রোগ নয়। ঠিক কী কারণে রোগটি হয়, তা এখনো বিজ্ঞানীদের স্পষ্ট জানা নেই। তবে রেডিয়েশন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল বা কারখানায় ব্যবহৃত রাসায়নিক, পেস্টিসাইড বা কীটনাশক, ভেজাল খাবার ও খাদ্যে রাসায়নিকের ব্যবহার, হেয়ার ডাই ও কিছু প্রসাধনীর ব্যবহার, লুব্রিকেন্টস, বার্নিশ, কেমোথেরাপি ব্যবহারের ইতিহাস ও কিছু জেনেটিক অসুখ থাকলে ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকেমিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ওপরের যেকোনো কারণে অস্থিমজ্জার ভেতরের স্টিমসেল বা রক্তের অপরিপক্ব সেলের মিউটেশন বা অন্য কোনো পরিবর্তন হলে ক্যান্সার সেল বা ব্লাস্ট তৈরি হয়, যা অস্থিমজ্জার ভেতরে অতিদ্রুত বৃদ্ধি হয়।

ব্লাড ক্যান্সারের প্রকারভেদ :ব্লাড ক্যান্সার মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে।

১. শ্বেত কণিকা থেকে সৃষ্ট ব্লাড ক্যান্সার কে লিউকোমিয়া ব্লাড ক্যান্সার বলে।

২. লসিকা গ্রন্থি থেকে সৃষ্ট ব্লাড ক্যান্সারকে বলা হয় লিম্ফোমা।

৩. প্লাজমা সেল বা কোষ থেকে সৃষ্ট ব্লাড ক্যান্সার কে মাইলোমা বা প্লাজমা সেল লিউকোমিয়া বলা হয়।

উপসর্গ

দুর্বলতা, খাবারে অরুচি, বুক ধড়ফড়, ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন ইনফেকশন বা জ্বর, গায়ে কালো কালো দাগ ও রক্তক্ষরণ, গায়ে ব্যথা, গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া, প্লীহা ও লিভার বড় হওয়া ইত্যাদি ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকেমিয়ার সাধারণ লক্ষণ।ক্যান্সার সেল বা ব্লাস্টের সংখ্যা এ সময় এত বেশি বেড়ে যায় যে অস্থিমজ্জার ভেতরে স্বাভাবিক সেল যেমন—লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও অণুচক্রিকা তৈরি এবং তা পরিপক্ব হওয়ার মতো যথেষ্ট জায়গা পায় না। ফলে ক্যান্সার সেল ছাড়া অন্য সুস্থ সেলগুলো পরিমাণমতো তৈরিই হতে পারে না।অস্থিমজ্জার ভেতরে লোহিত রক্তকণিকার ঘাটতিতে রক্তস্বল্পতা, পরিপক্ব শ্বেত রক্তকণিকার ঘাটতিতে ইনফেকশন বা জ্বর ও অস্বাভাবিক অণুচক্রিকার কারণে রক্তক্ষরণ ইত্যাদি হতে থাকে। একসময় অস্থিমজ্জার ভেতরে ক্যান্সার সেল বা ব্লাস্ট অনেক বেশি বেড়ে যায়, যা অস্থিমজ্জার ধারণক্ষমতার বাইরে। ফলে হাড়ের ভেতর প্রচণ্ড চাপ শুরু হয় এবং এতে ব্যথা হয়। একপর্যায়ে ক্যান্সার সেল বা ব্লাস্ট অস্থিমজ্জা থেকে বের হয়ে রক্তনালির ভেতরে চলে আসে।

সব লিউকেমিয়া এক নয়

ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকেমিয়া মূলত দুই ধরনের। অ্যাকিউট লিউকেমিয়া ও ক্রনিক লিউকেমিয়া। অ্যাকিউট লিউকেমিয়া খুবই মারাত্মক হয়। দ্রুত চিকিৎসা না নিলে রোগী বেশি দিন বাঁচতে পারে না। অ্যাকিউট লিউকেমিয়া আবার দুই ধরনের, অ্যাকিউট লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকেমিয়া বা এএলএল এবং অ্যাকিউট মায়েলোব্লাস্টিক লিউকেমিয়া বা এএমএল। ক্রনিক লিউকেমিয়া সাধারণত মারাত্মক হয় না। যথাসময়ে চিকিৎসা নিলে রোগী অনেক ক্ষেত্রেই সুস্থ হতে পারে।

রক্ত কণিকাগুলো সঠিক মাত্রায় উৎপন্ন না হলে রক্তশূন্যতা রক্তক্ষরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে রোগীর মৃত্যু ঘনিয়ে আসে।

রক্ত শূন্যতাজনিত লক্ষণ:অবসাদ ও দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড় ইত্যাদি।

* শরীরের ইনফেকশনের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। ফলে লাগাতার জ্বর থাকতে পারে।

* রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা দেখা দেয়। যেমন, নাক, দাঁতের মাড়ি, চোখ ও ত্বকে রক্তক্ষরণ এবং মাসিকের সময় বেশি রক্ত যাওয়া প্রভৃতি হতে পারে।

* শরীর বা হাড়ে ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা।

* লিভার ও স্পিলন বড় হয়ে যাওয়া।

* গিলায়, বগলে বা অন্যত্র লিম্ফনোড বড় হওয়া।

ব্লাড ক্যান্সারের কারণ:যেসব ফ্যাক্টর ব্লাড ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়ায় তা হলো-জেনেটিক, পরিবেশ ও পেশাগত ফ্যাক্টর।

* তেজস্ক্রিয়তা : বোমা বিস্ফোরিত হওয়া।

* রাসায়নিক পদার্থ : বেনজিন, পেট্রোল ও প্লাস্টিক কারখানার ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ।

* জেনেটিক ডিজ অর্ডার : এনিমিয়া, ডাউন সিনড্রোম। মূলত অনকোজিনের আধিক্য অথবা টিউমার সাপ্রেসর জিনের অক্ষমতায় রক্ত কণিকার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে বস্নাড ক্যান্সার হয়ে থাকে।

প্রতিরোধের উপায়

* যেসব রোগীকে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি একসঙ্গে দেয়া হয় তাদের মধ্যে ব্লাড ক্যান্সারের প্রবণতা প্রায় ২০ গুণ বেড়ে যায়।

* তেজস্ক্রিয়তা পরিহার করতে হবে।* রাসায়নিক দ্রব্যাদির সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে।

* এক্স-রে বিভাগে ও নিউক্লিয়ার বিভাগে কাজ করার সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

* ধূমপান ও তামাক জর্দা পরিহার করতে হবে।

ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি

* কৃষি কাজে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিকদ্রব্য ব্যবহার করা।

* কলকারখানায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা।

* পরিবেশ দূষণ।

* মাছ, ফল ও অন্যান্য খাদ্য দ্রব্যে ফরমালিন ব্যবহার করা।

ব্লাড ক্যান্সার নির্ণয়

* সিবিসি ও ব্লাড ফিল্ম পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়।

* বোনম্যারো ও ট্রিফাইন বায়োপসি পরীক্ষা : কোমরের হাড় থেকে অস্থিমজ্জা সংগ্রহ করে পরীক্ষা।

* লিম্ফনোড এফএনএসি ও বায়োপসি পরীক্ষা : লসিকা গ্রন্থি থেকে টিস্যু নিয়ে পরীক্ষা।

ব্লাড ক্যান্সারের রোগী কি আগের জীবনে ফিরে আসতে পারে?

চিকিৎসার পরও অনেক সময় ব্লাড ক্যান্সার ফিরে আসতে পারে বা পুনরাবৃত্তি হতে পারে। তবে এগুলো নির্ভর করে ব্লাড ক্যান্সারের ধরন, পর্যায়, চিকিৎসার কার্যকারিতা এবং রোগীর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যসহ বিভিন্ন কারণের ওপর। ক্যান্সার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে কি না সে লক্ষণ শনাক্ত করার জন্য নিয়মিত ফলোআপসহ সতর্ক থাকতে হয়।

এলোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি

* কেমোথেরাপি

* বোনম্যারো ট্রান্সপ্লানটেশন (মেরুমজ্জা প্রতিস্থাপন)

* টার্গেটেড থেরাপি

* ইমিউনো বা বায়োলজিক্যাল থেরাপি।

হোমিওপ্যথি চিকিৎসা পদ্ধতি

রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়, তাই এ রোগের উৎপত্তি, কারণ, উপসর্গ-প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সম্পর্কে সকল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের ধারণা থাকা উচিত। মেরুমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসা করা যায় কিন্তু তা এতো ব্যয়বহুল যে সবাই করতেও পারে না আর পারলেও নিশ্চিত সফলতা লাভ করা যায় না। হোমিওপ্যাথিক মতে এ রোগের চিকিৎসা রয়েছে। সার্বিক লক্ষণের বিশ্লেষণে যে ওষুধের সঙ্গে লক্ষণ মিলে যায় ঐ ওষুধ দিয়েই রোগীর চিকিৎসা করতে হয়।

হোমিওপ্যাথিতে প্রায় ৫০ টি ওষুধ আছে। তবে সাধারণত যে সব ওষুধ সাদৃশ্য লক্ষণের ভিত্তিতে অভিজ্ঞ চিকিৎসকগন নির্বাচন করে থাকেন, নাক্স ভূমিকা, আর্সেনিক এলবাম, ক্যাডমিয়াম সাল্প, রেডিয়াম ব্রোমাইড, সিয়েনোথাস, চিয়োন্যন্থাস, ফেরামফস, ফেরামমেট, ফেরাম-আইওড, আর্নিকা আর্স-আইওড, ক্যাল ফস, ক্যাল কার্ব, চায়না, ফেরাম পিকরিক, কেলি ফস, নেট্রাম অ্যাসিটিক, নেট্রাম মিউর, ন্যাট ফস, এসিড পিক, এক্স-রে ও সালফার, থুজা সহ আরো অনেক মেডিসিন লক্ষণের উপর আসতে পারে, তাই ঔষধ নিজে নিজে ব্যবহার না করে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন তাহলে আল্লাহর রহমতে সম্ভব।

পরিশেষে বলতে চাই, ব্লাড ক্যান্সার মানেই মরণব্যাধি নয়। এখন চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেক উন্নত হয়েছে। ক্যানসারের নানা চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে। ফলে এখন এই অসুখটি সারানো সম্ভব
সঠিক সময়ে নির্ভুল রোগ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা নিলে অনেক ব্লাড ক্যান্সার ভালো হয় ও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাই ভয় না পেয়ে আসুন ক্যান্সারের মোকাবেলা করি। সঠিক সময়ে নির্ণয়, সঠিক চিকিৎসা এবং পর্যাপ্ত সচেতনতার মাধ্যমে ক্যান্সারে মৃত্যুর হার অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। ক্যান্সার রোগী, ক্যান্সার রোগীর আত্মীয়স্বজন যারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন, এবং চিকিৎসকদের অনুরোধ করবো জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির সাথে যুক্ত হয়ে আমাদের সহায়তা করুন। বাংলাদেশে ক্যান্সার সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে একসাথে কাজ করি আসুন।

লেখক : কলাম লেখক ও গবেষক, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test