E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভূমিকম্প এবং আমাদের বোধ

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ১৫ ১৬:৪৪:৪১
ভূমিকম্প এবং আমাদের বোধ

মীর আব্দুল আলীম


বড় ধরনের ভূমিকম্প যে দুয়ারে তা বারবার ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন। দেশে অব্যহতভাবে ছোট মাঝারি ভূমিকম্প হচ্ছে। সর্বশেষ ১৪ ফেব্রুয়ারি দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু ভূমিকম্প অনুভুত হয়েছে। আবহাওয়াবীদরা জানিয়েছেন রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ৬ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল পাবনার আটঘরিয়ায়। এর আগে গত বছরের ২ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। ভূমিকম্পে মাঝেমাঝেই কেঁপে ওঠছে দেশ। দেশবাশী বড় ভূমিকম্পের আতংকে আছে সবসময়। বড় মাত্রায় ভূমিকম্প হলে কি হবে, উদ্ধারের সংগতি এসব ভাবনা অনেকের। সরকার এবং জনমনে ভূমিকম্প নিয়ে ভয় আছে কিন্তু বোধ নেই আমাদের।

ভূমিকম্প হলে উদ্ধারে বড় পরিকল্প কতটুকু আছে? এখনো আমাদের দেশে ভবন নির্ন্মান হচ্ছে যথেচ্ছভাবে। নিয়ম না মেনে যেযার মতো ভবন তৈরি করছে। ঢাকার মতো গিঞ্জি শহরে এতো বহুতল ভবন বোধ করি বিশ্বের আর কোথাও নেই। যুক্ত রাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশে ভূমিকম্প কম হলেও রাষ্ট্রের ভাবনা অনেক। বসবাসের ভবনগুলোর অধিকায়ংশ ২ কিংবা তিন চার তলার হয়ে থাকে। ভবরনগুলো ভূমিকম্প নিরোধক করা হয়। আমাদের দেশ এতোটা ভুমিকম্প প্রবন যে সারা বিশ্বের ভূতত্ত্ববিদরা দীর্ঘদিন ধরেই দেশে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছেন। এর লক্ষণ হিসেবে প্রায়ই দেশের কোথাও না কোথাও মৃদু ও মাঝারি মাত্রায় ভূমিকম্প হচ্ছে। বাংলাদেশে ঘনঘন ভূমিকম্প এবং নিকটবর্তী হওয়ায় সবার মনে শঙ্কা তৈরি করেছে। এই অবস্থায়, ভূমিকম্প মোকাবিলায় বাংলাদেশ কি প্রস্তুত? এই প্রশ্ন সামনে আসে। ১০ বছর আগে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের পর আমাদের সক্ষমতা কতটুকু তা আমরা টের পেয়েছি। এরপর ভূমিকম্প মোকাবিলায় সক্ষমতা কিন্তু তেমন বাড়েনি।

বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে কী হবে? তুরস্ক, নেপাল, চীন ও ভারতে যে মাত্রার ভূমিকম্প হয় সেই মাত্রায় বাংলাদেশে ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকার ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ভবন ধসে বা হেলে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাণ হারাবে হাজার হাজার মানুষ। সেক্ষেত্রে সারা দেশে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত ভয়াবহ হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বলছে, এর আগে ঢাকার এত কাছে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়নি। ২৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ৩.৯, আর ৫ মে দোহারে ৪.৩ মাত্রার এবং ২০০৮ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে কুমিল্লায় ৪.২ থেকে ৪.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে।

ভূমিকম্প নিয়ে আগাম কিছুই বলা যায় না, তবে আশার কথা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মাকসুদ কামাল এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেষের ভূমিকম্পটির সৃষ্টি হয়েছে ছোট ফাটল রেখায়। সেই কারণেই ঢাকায় বড় কোনো বিপদের শঙ্কা নেই।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ভূমিকম্পের রিটার্ন পিরিয়ড ধরা হয় ১৫০-২৫০ বছর। সেই হিসাবে ১৭৬২ সালে আরাকান ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল বলে জানা যায়, সাইকেল হিসেবে সেটি এখনো ফিরে আসেনি। আসতে পারে। আসলে একটু ভয়তো থাকেই। ভূমিকম্পে এভাবে প্রায়ই কাঁপছে বাড়িঘর। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এবং গভীরতা একেবারেই নিকটে চলে এসেছে। সবার ভয়, এই বুঝি ঘরটা ভেঙে পড়ছে মাথার ওপর। এই ভয় এখন সবাইকে পেয়ে বসেছে।

ভূমিকম্পকে ভয় পেলে চলবে না। ভয়কে জয় করতে হবে। ভূমিকম্প থেকে বাঁচার উপায় বের করতে হবে। ভূমিকম্পে উঁচুতলার বিল্ডিংগুলো আগে ভেঙে পড়বে একথা ঠিক নয়। বরং ভূমিকম্পে হাই রাইজ বিল্ডিংয়ের চেয়ে দুর্বল ছোট বিল্ডিংগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশি। ৬ তলার নিচের বিল্ডিংগুলো বেশি অনিরাপদ। ভূমিকম্পে বিল্ডিং সাধারণত দুমড়েমুচড়ে পড়ে না; হেলে পড়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। এই সময় নিজেকে রক্ষা করতে হবে। কলামের পাশে শক্ত কোনোকিছু থাকতে হবে। বিশেষ করে খাট কিংবা শক্ত ডাইনিং টেবিল হলে ভালো হয়। আগে থেকেই আশ্রয়ের জায়গা ঠিক করে নিতে হবে। ঘরে রাখতে হবে শাবল এবং হাতুড়ি জাতীয় কিছু দেশীয় যন্ত্র। ভূমিকম্প হলে অনেকেই তড়িঘড়ি করে নিচে ছোটেন। তারা জানেন না, ভূমিকম্পে যত ক্ষতি হয়, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয় অস্থির লোকদের ক্ষেত্রে।

ভূমিকম্প খুব অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হয়। প্রলয় যা হওয়ার, তা হয় কয়েক সেকেন্ড কিংবা মিনিট সময়ের মধ্যে। এই সময়ে আপনি কি নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারবেন? রাস্তায় গিয়ে তো আরও বিপদে পড়তে হবে আপনাকে। বাড়িঘর হেলে গিয়ে ধসে পড়ে সবকিছু তো রাস্তার ওপরই পড়বে। বরং রাস্তায় থাকলে চাপা পড়ে, মাথা কিংবা শরীরের ওপরে কিছু পড়ে আপনি হতাহত হতে পারেন। যারা একতলা কিংবা দোতলায় থাকেন, পাশে খালি মাঠ থাকলে দ্রুত দৌড়ে যেতে পারেন। রাজধানী ঢাকায় যারা বসবাস করেন, যারা উঁচু বিল্ডিংয়ে থাকেন, তাদের ভয়টা যেন একটু বেশি। তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি, আমাদের দেশে ৬ তলার ওপরে নির্মিত বিল্ডিংগুলো সাধারণত নিয়ম মেনেই হয়। বড় বিল্ডিং তৈরির ক্ষেত্রে অনেকেই ঝুঁকি নিতে চান না। একটু দেখভাল করেই নির্মাণকাজ করে থাকেন। আর এসব বিল্ডিং পাইলিং হয় অনেক নিচু থেকে এবং বেইজ ঢালাই দেওয়া হয় পুরো বিল্ডিংয়ের নিচ জুড়ে। তাই শুধু কলামে দাঁড়িয়ে থাকা বিল্ডিংয়ের চেয়ে হাই রাইজ বিল্ডিং কিছুটা হলেও নিরাপদ বলা যায়। ভূমিকম্পকে ভয় পেলে চলবে না, এক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে সবাইকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কেবল ভূমিকম্পই নয়, দেশের উপকূলীয় এলাকা ঘিরে ভয়াবহ সুনামি সৃষ্টির জন্য সিসমিক গ্যাপ বিরাজমান রয়েছে। এই গ্যাপ থেকে যেকোনো সময় সুনামিও হতে পারে। তাদের মতে, বঙ্গোপসাগরের উত্তরে আন্দামান থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সাবডাকশন জোন বরাবর ৬০০ কিলোমিটারের একটি সিসমিক গ্যাপ রয়েছে। আমাদের দেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প হওয়ার জন্য যথেষ্ট শক্তি এই সিসমিক গ্যাপে জমা হয়ে আছে। এই সিসমিক গ্যাপ আমাদের জন্য অশনিসংকেত। এখান থেকে ৮ মাত্রার মতো শক্তিশালী ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর তা যদি সাগরতলে হয়, তাহলে সেই ভূমিকম্প সুনামি সৃষ্টি করতে পারে।

বাংলাদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং সুনামিরই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কমে যাবে। প্রথমত যা করতে হবে—পরিবারের সবার সঙ্গে বসে ভূমিকম্পের সময় কী করতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে, মোটকথা আপনার পরিবারের ইমার্জেন্সি প্ল্যান কী, তা ঠিক করে সব সদস্যকে জানিয়ে রাখুন। নিচের ১০টি টিপস পরিবারের সব সদস্যকে দিন। বিষয়গুলো নিয়ে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করুন। সম্ভব হলে অন্যদেরও তা সরবরাহ করুন। বিষয়গুলো জানা থাকলে ভূমিকম্পের সময় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হতে পারে।

* ভূমিকম্পের সময় সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো ‘ড্রপ-কাভার- হোল্ড অন’ বা ‘ডাক-কাভার’ পদ্ধতি। অর্থাৎ, কম্পন শুরু হলে মেঝেতে বসে পড়ুন। তারপর কোনো শক্ত টেবিল বা ডেস্কের নিচে ঢুকে কাভার নিন। এমন ডেস্ক বেছে নিন বা এমনভাবে কাভার নিন, যেন প্রয়োজনে আপনি কাভারসহ মুভ করতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পে আমেরিকার খুব কম বিল্ডিংই কলাপস করে। যেটা হয়, তা হলো, আশপাশের বিভিন্ন জিনিস বা ফার্নিচার গায়ের ওপর পড়ে নেক-হেড-চেস্ট ইনজুরি বেশি হয়। তাই এগুলো থেকে রক্ষার জন্য কোনো শক্ত ডেস্ক বা এই রকম কিছুর নিচে ঢুকে কাভার নেওয়া বেশি জরুরি।

* ভূমিকম্পের সময় কোন ফ্লোর নিরাপদ, কীভাবে দালান ভেঙে পড়ে—কাত হয়ে, নাকি এক তলার ওপরে আরেকটা অনেকে এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চান। এটা ওই জায়গার মাটির গঠন, বিল্ডিং কীভাবে তৈরি, এর ওপরই অনেকাংশে নির্ভর করে। সাধারণত ভূমিকম্পের সময় চারভাবে ফ্লোর বা দালান ধসে পড়তে পারে। দালানের কোন তলা বেশি নিরাপদ এই ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মতামত যেটা পেয়েছি, তা হলো, ভূমিকম্পের সময় ওপরের দিকের তলাগুলোয় দুলুনি হবে বেশি, নিচের তলায় কম। কিন্তু দালান যদি উলম্ব বরাবর নিচের দিকে ধসে পড়ে, তাহলে নিচতলায় হতাহত হবে বেশি। কারণ, ওপরের সব ফ্লোরের ওজন তখন নিচে এসে পড়বে।

* যে ফ্লোরেই থাকুন, ভূমিকম্পের সময় বেশি নড়াচড়া, বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করা, জানালা দিয়ে লাফ দেওয়ার চেষ্টা ইত্যাদি না করাই উত্তম। একটা সাধারণ নিয়ম হলো, এই সময়ে যত বেশি মুভমেন্ট করবেন, তত বেশি আহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তবে যদি গ্রাউন্ড ফ্লোরে একেবারে দরজার কাছে থাকেন, তাহলে এক দৌড়ে বাইরে কোনো খোলা জায়গায় চলে যান। সিঁড়ি এড়িয়ে চলুন।

* ভূমিকম্পের সময় এলিভেটর/লিফট ব্যবহার করাও উচিত নয়।

* রাতে বিছানায় থাকার সময় ভূমিকম্প হলে উদ্ধারকর্মী জানিয়েছেন, গড়িয়ে ফ্লোরে নেমে পড়তে। এটা বিল্ডিং ধসার পার্সপেক্টিভেই। রেডক্রস বলছে, বিছানায় থেকে বালিশ দিয়ে কাভার নিতে। কারণ, সিলিং ধসবে না, কিন্তু ফ্লোরে নামলে অন্যান্য কম্পনরত বস্তু থেকে আঘাত আসতে পারে।

* ভূমিকম্পের সময় ভেতরের দিকে না থেকে বাইরের দিকে ওয়ালের কাছে আশ্রয় নেওয়া উচিত এটা নিয়ে কোনো বিরোধ নেই। ভূমিকম্পের সময় বাইরের ওয়ালের কাছে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ মূলত বিল্ডিং ধসে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বলা। ভূমিকম্পে যদি দালান ধসে পড়ে, তাহলে বাইরের দিকের ওয়ালের কাছে থাকলে ধংসস্তূপ থেকে তাড়াতাড়ি উদ্ধার পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অন্যদিকে হচ্ছে, এই সময়ে ভেতরের দিকে আশ্রয় নেওয়া অর্থাৎ জানালা, কাচ, বাইরের ওয়াল, দরজা সবকিছু থেকে দূরে থাকা। আপনি যদি নতুন, মজবুত কোনো দালানে থাকেন, তাহলে ভেতরের দিকেই থাকেন। জানালা, কাচ, বাইরের ওয়াল সবকিছু থেকে দূরে থাকবেন। আর যদি পুরান ঢাকার বাড়িগুলোর মতো ঝরঝরে কোনো দালানে থাকেন, তাহলে বাইরের ওয়ালের কাছে আশ্রয় নিন, দালান ধসে পড়লে যেন কম জিনিসের মধ্যে চাপা পড়ে।

* ভূমিকম্পের সময় গাড়ি বন্ধ করে গাড়ি থেকে বেরিয়ে বসে বা শুয়ে পড়তে হবে। অবশ্য রেডক্রস বলছে গাড়ি বন্ধ করে গাড়ির ভেতরেই বসে থাকতে। গাড়ির বাইরে থাকলে আহত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রেডক্রসের এই পরামর্শ যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে দেওয়া এবং এটা সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতে পারে।

* সব বড় ভূমিকম্পের পরপরই আরেকটি ছোট ভূমিকম্প হয়, যেটাকে ‘আফটার শক’ বলে। এটার জন্যও সতর্ক থাকুন। তা না হলে পচা শামুকেই শেষমেশ পা কাটতে পারে।

* বড় বড় এবং লম্বা ফার্নিচারগুলো, যেমন শেলফ ইত্যাদি দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখুন, যেন কম্পনের সময় গায়ের ওপর পড়ে না যায়। আর টিভি, ক্যাসেট প্লেয়ার ইত্যাদি ভারী জিনিসগুলো মাটিতে নামিয়ে রাখুন।

* প্রথম ভূমিকম্পের পর ইউটিলিটি লাইনগুলো (গ্যাস, বিদ্যুৎ ইত্যাদি) একনজর দেখে নিন। কোথাও কোনো লিক বা ড্যামেজ দেখলে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন।

ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলার ক্ষেত্রে আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত দুইটি প্রথমত, ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাকে নিম্নতম পর্যায়ে রাখা; এবং দ্বিতীয়ত, ভূমিকম্প-পরবর্তী বিপর্যয় সামাল দেওয়া। দীর্ঘদিন যাবৎ ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকির কথা বলা হলেও উভয় ক্ষেত্রেই আমাদের অবস্থা এখনো খুবই শোচনীয়। ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নিম্নতম পর্যায়ে রাখতে হলে বাড়িঘর ও হাসপাতালসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড কঠোরভাবে মেনে চলা উচিত। অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আর বিলম্ব করা সমীচীন হবে না। ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণের প্রকৃত সময় এখনই। আর কালক্ষেপণ না করে এই ব্যাপারে বর্তমান সরকারের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। ভূমিকম্পকে ভয় পেলে চলবে না। ভয়কে জয় করতে হবে। ভূমিকম্প থেকে বাঁচার উপায় বের করতে হবে।

লেখক : সাংবাদিক, সমাজ গবেষক, মহাসচিব-কলামিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ।

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test