দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন হোক
গাফিলতিতে আর কত মৃত্যু?
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের কল্যাণে রোগ নির্ণয় অনেক সহজ হওয়ার কারণে দ্রুত আরোগ্য লাভে সবাই আশাবাদী হলেও অনেক ক্ষেত্রে লক্ষ করা যায়- সাধারণ অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসকের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় রোগী মারা যায়। উদ্বেগের বিষয় হল, ভুল চিকিৎসার কারণে রোগীর মৃত্যু হলেও অভিযুক্ত চিকিৎসক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়, অনেক ক্ষেত্রেই তা বিস্তারিত জানা যায় না।
সম্প্রতি ভুল চিকিৎসা ও অবহেলার কারণে আহনাফ তাহমিন আয়হাম (১০)। রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির মেধাবী ছাত্র ছিলেন। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) খতনা করাতে রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার জেএস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সন্তান আহনাফকে নিয়ে যান বাবা ফখরুল আলম। কে জানত এই যাওয়াই তার শেষ যাত্রা হবে। মা-বাবা, সহপাঠী, আত্মীয়-স্বজনসহ সবাইকে কাঁদিয়ে অন্তিম পথযাত্রায় পাড়ি জমিয়েছে আহনাফ। বাবা ফখরুল আলম এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না তার ছেলে আর নেই।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আহনাফকে সুন্নতে খতনা করানোর জন্য তার বাবা ফখরুল আলম জেএস হাসপাতালের চিকিৎসক এস এম মুক্তাদিরের কাছে নিয়ে যান। তিনি ওই সময় কিছু টেস্ট লিখে দেন। ওই হাসপাতালেই টেস্টগুলো করে ছেলেকে নিয়ে বাসায় চলে যান। রাতে চিকিৎসক ফোন করে জানান, রিপোর্টগুলো ভালো আছে। সুন্নতে খতনা করতে কোনো সমস্যা নেই। পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ৮টায় ছেলেকে সুন্নতে খাতনা করানোর জন্য স্ত্রী খায়রুন নাহারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি হাসপাতালে যান। পরে ছেলেকে অপারেশন থিয়েটার নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, তাদের ২০/২৫ মিনিট সময় লাগবে। তখন আহনাফের বাবা-মা বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন।
সংবাদ প্রকাশকে দেওয়া ফখরুলের তথ্যমতে, ৩০/৩৫ মিনিট পর ওটি রুমের দরজায় নক করলে তারা জানান আরও কিছুক্ষণ সময় লাগবে। এভাবে এক ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর আহনাফের বাবা ফখরুল ওটি রুমে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে নিষেধ করা হয়। আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলা হয়। পরে সন্দেহ হলে ফখরুল জোর করে ওটি রুমে প্রবেশ করেন। সেখানে দেখতে পান, তার ছেলে অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তার বুকে হাত দিয়ে চাপাচাপি করছে এবং নাকে ও মুখে নল দিয়ে রক্ত বের হওয়া অবস্থায় দেখেন। তখন চিকিৎসক এস এম মুক্তাদিরকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সঠিক উত্তর দেননি।
স্বজনদের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার কথা থাকলেও ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া হয় আহনাফকে। যে কারণে তার আর জ্ঞান ফেরেনি। ছেলে আহনাফের মরদেহ গাড়িতে করে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা নেওয়ার পথে মোবাইলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশকে ফখরুল বলেন, “আমার ছেলেকে দেখতে সার্জারি করার ৩০ মিনিট পর্যন্ত তারা আমাকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি। পরে মিনিমাম ৪৫ মিনিটের মাথায় আমি আমার এক সহকর্মীকে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করি। দেখি আমার সন্তান অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে হাসপাতালের বেডে। হাতে নীল রঙের মতো দাগ হয়ে আছে। আমি জিজ্ঞেসও করেছিলাম হাতে দাগ কেন? তারা আমাকে উত্তরে বলেছে, ফুসফুসে পানি জমেছে। তারা নাকি কাজ করছে ১০-১৫ মিনিটের মাথায় ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আমার ছেলে ওইযে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিল, আর উঠে আমাকে বাবা বলে ডাকিনি।”
ঘটনার বিবরণ জানিয়ে ফখরুল বলেন, “তারা আমার ছেলেকে এড্রিল না কি যেন দিচ্ছেন। এটা লাইফ সাপোর্টের জন্য দেওয়া হয়। এটা দিচ্ছেন এবং সাকসেশন করছেন। এড্রিল দিলেও আমার ছেলের পার্লস বাড়ে, আবার এড্রিল পুশ করার পর পার্লস শেষ, এক মিনিটের ভেতরে পার্লস ওঠে না। ৪০, ৪৫, ৫০ থেকে ৭০ ওপরে আর ওঠে না। যেখানে ১০০ থাকার কথা। এরা আসলে কৃত্রিমভাবে আমার ছেলেকে এই রকম করে রাখছে। এইভাবে করতে করতে দেড়-দুই ঘণ্টা সময় চলে গেছে। তখন আমি তাদের বলেছি কিছু বলার জন্য। কী হয়েছে আমার ছেলের। তারা আমাকে জানিয়েছেন আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল আলম বলেন, “ডাক্তারের গাফিলতির কারণেই আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আমি ডাক্তারকে হাতে পায়ে আকুতি করে বলেছি কোনোভাবেই ছেলেকে অ্যানেন্থেশিয়া করাবেন না বা ঘুম পারাবেন না। লোকালে করাবেন। এক সপ্তাহে আগে আমার স্ত্রী গিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে কথাও বলে আসছে। ডাক্তার তখন বলেছেন লোকাল দিয়েই করাবেন। কিন্তু আমি লোকালে করার কথা বললে ডাক্তার আমাকে অ্যানেস্থেসিয়া করার কথা জানান।”
তথ্যমতে, এ ঘটনায় সকালে আহনাফ তাহমিন আয়হামের বাবা বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারের দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত চিকিৎসক মুক্তাদির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অর্থোপেডিক বিভাগের জয়েন্ট ব্যথা, বাত ব্যথা, প্যারালাইসিস বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা দিতেন বলে জানা গেছে।
এদিকে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সেটিতে তালা ঝুলিয়ে সিলগালা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তর জানিয়েছে, অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার জন্য হাসপাতালের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। কিন্তু হাসপাতালটির শুধু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন আছে। এ কারণে তাদের অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগের কোনো সুযোগ নেই।
এমন ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর খতনার জন্য রাজধানীর বাড্ডার সাঁতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল শিশু আয়ানকে। খতনার পর আয়ানের জ্ঞান না ফেরায় তাকে গুলশানে অবস্থিত ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে পিআইসিইউতে (শিশু নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখানে ৭ জানুয়ারি মৃত্যু হয় আয়ানের। রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে এন্ডোস্কোপি করাতে গিয়ে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে হয়ে আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাহিব রেজার (৩১) মৃত্যু হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি। স্বজনদের অভিযোগ, ল্যাবএইড হাসপাতালে পরীক্ষার রিপোর্ট না দেখেই রাহিবকে অ্যানেস্থেসিয়া দেয়া হয়। শারীরিক জটিলতার মধ্যেই এন্ডোস্কোপি করা হয়। যে কারণে তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় এবং একপর্যায়ে শারীরিক অবস্থা আরো জটিল হয়ে মারা যান তিনি। ১৩ ফেব্রুয়ারি ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) নিরাপত্তা শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাহেদ আহমদ (৪০)। সিলেটের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে তার ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে মারা যান বলে অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা।ভুল চিকিৎসা বা চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত্যুর এমন ঘটনা দেশে হরহামেশাই হচ্ছে। কিন্তু প্রতিকারের উদ্যোগের জায়গাটি প্রায় শূন্য বলা চলে।
২০২২ সালে এক সেমিনারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে জানানো হয়, বৈশ্বিক মৃত্যু ও প্রতিবন্ধিতার প্রধান ১০ কারণের অন্যতম অনিরাপদ চিকিৎসাসেবা। প্রতি বছর নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ভুল চিকিৎসার কারণে ১ কোটি ৩৪ লাখ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ২৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশেও এমন ঘটনা ঘটলেও সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে বিভিন্ন গবেষণায় সেবাগ্রহীতাদের অসন্তুষ্টি, মানহীন চিকিৎসা ও রোগ নিরীক্ষার কথা উঠে এসেছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ফ্রন্টিয়ার্সের এক গবেষণা বলছে, স্বাস্থ্য সেবাগ্রহীতাদের সন্তুষ্টির হার ৬৫ শতাংশ। এর মধ্যে সরকারিতে ৫১ ও বেসরকারিতে ৭৫ শতাংশ। ৩৫ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগীরা হাসপাতালের কর্মীদের ব্যবহারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। একইভাবে ৩৩ শতাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সেবা, ৩৭ শতাংশ ক্ষেত্রে সাধারণ সেবা ও ৪২ শতাংশ ক্ষেত্রে সেবার বিষয়ে রোগীর পরিবারের অসন্তোষ রয়েছে।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছিলেন, নিজে রোগী হলে বোঝা যায়, রোগীর নিরাপত্তা কত দরকার। চিকিৎসায় চিকিৎসকের কোনো গাফিলতি মেনে নেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, গাফিলতি প্রমাণিত হলে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তিই ভোগ করতে হবে। চিকিৎসকের সুরক্ষা যেমন আমি দেখব, তেমনি রোগীদের সুরক্ষার বিষয়টিও আমি দেখব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিকিৎসায় অবহেলা বলতে শুধু চিকিৎসকের অবহেলা নয়। বরং চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা যেমন- নার্স, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদন ও সরবরাহকারীদের অবহেলাও বুঝানো হয়। চিকিৎসায় অবহেলার দায়ে কাউকে অভিযুক্ত করতে চাইলে প্রথমত প্রমাণ করতে হবে যে, রোগী এবং চিকিৎসাসেবা প্রদানকারীর মধ্যে এমন একটি চুক্তি হয়েছিল- যার মাধ্যমে রোগীর প্রতি যথাযথ মনোযোগ দেয়া ও যত্ন নেয়ার একটি আইনি দায়িত্ব চিকিৎসক বা চিকিৎসাসেবা দানকারীর ছিল। দ্বিতীয়ত, যদি সেই দায়িত্ব পালনে চিকিৎসক বা চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী অবহেলা করে বা ব্যর্থ হয়। তৃতীয়ত, দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা ব্যর্থতার কারণে ওই রোগী যদি ক্ষতির শিকার হয় বা মৃত্যুবরণ করে।
দেশে চিকিৎসায় অবহেলাজনিত কারণে অভিযোগ করার একমাত্র জায়গা সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। কিন্তু দীর্ঘসূত্রতায় সেখানে বেশিরভাগ অভিযোগেরই সমাধান হয় না। বিচারে সর্বোচ্চ কয়েক মাসের নিবন্ধন স্থগিত ছাড়া এর থেকে বড় শাস্তি দেয়া হয়নি এ পর্যন্ত। জানা যায়, বিএমডিসিতে তিনভাবে অভিযোগ আসে। এর মধ্যে অনেকে কোর্টে মামলা করে, কোর্ট সেই অভিযোগ বিএমডিসিতে পাঠায় নিষ্পত্তির জন্য। আরেকটি হলো- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আসা অভিযোগ পাঠানো হয় বিএমডিসিতে। এছাড়া বিএমডিসিতে সরাসরি কিছু অভিযোগ আসে। গত ১৩ বছরে বিএমডিসিতে অভিযোগ জমা পড়েছে ৩১৪টি। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার অভিযোগে ২০১০ সালে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ৪টি অভিযোগ জমা পড়ে। এরপরের ৫ বছরে অভিযোগ জমা পড়ে মাত্র ৪টি। এছাড়া ২০১৬ সালে ৬টি, ২০১৭ সালে ১৪টি, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ২৬টি করে, ২০২০ সালে ৮টি, ২০২১ সালে ৩২ এবং ২০২২ সালে জমা পড়ে ৩১টি অভিযোগ। ২০২৩ সালে অভিযোগ জমা পড়েছে ৪৬টি। এসব অভিযোগ নিষ্পত্তির হার খুবই কম।
অন্যদিকে দেশে ‘স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন-২০২৩’ নামে একটি আইনের খসড়া করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে এটি এখনো আইনে পরিণত হয়নি। আইনের খসড়ায় চিকিৎসায় অবহেলাজনিত কারণে রোগীর মৃত্যু হলে ফৌজদারি আইনে বিচার এবং আদালত কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ আদায়ের কথা বলা হয়েছে। খসড়ায় হাসপাতালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলে লাইসেন্স বাতিল ও চিকিৎসকের ক্ষেত্রে নিবন্ধন বাতিলের সুপারিশের কথা উল্লেখ আছে।
পরিশেষে বলতে চাই, রাজধানীসহ সারা দেশে বৈধ-অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাবশালী মহলের সম্পৃক্ততা রয়েছে, যারা জনস্বার্থের পরিবর্তে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোর বাণিজ্যিক স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেয়। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে কেউ ভুল চিকিৎসার শিকার হলে অপরাধীকে বাঁচাতে প্রভাবশালী মহলে নানারকম তৎপরতা শুরু হয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের সুচিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হবে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রায়ই ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ওঠে। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কেউ যাতে অপচিকিৎসার শিকার না হয় তা নিশ্চিত করা জরুরি। দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা অপরাধে জড়িত কোনো চিকিৎসক, নার্স বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। শিশু আহনাফ তাহমিন আয়হাম মৃত্যুর দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন হবে এবং এ ঘটনায় দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে, এটাই সবার প্রত্যাশা।
লেখক : কলাম লেখক ও গবেষক।
পাঠকের মতামত:
- গরমে আইস ফেসিয়ালে যে উপকার পাবেন
- মে দিবসের কবিতা
- টানা ৮ দফা কমার পর বাড়লো স্বর্ণের দাম
- জালাল মেলায় গান শুনে অন্ধ বাউল প্রদীপ পালের ভাগ্য বদলের উদ্যোগ
- কেন্দুয়ায় খাল খনন কর্মসূচির উদ্বোধন
- শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগে আওয়ামীলীগে ত্রিমুখী লড়াই
- বেলকুচিতে বোমা বিস্ফোরণ মামলার আসামি আবু তালেব গ্রেফতার
- বহিস্কারের পর বিএনপির প্রার্থী আরও বেড়েছে
- প্রার্থী হয়েছেন ভাই, প্রচারণায় সংসদ সদস্য
- বরিশালে গৃহবধূকে পিটিয়ে আহত
- সড়ক দুর্ঘটনায় শাহরাস্তির বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩
- বরিশালে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
- পাল্টাপাল্টি মামলায় আ.লীগের শতাধিক নেতাকর্মী আসামি, থমথমে গৌরনদী
- সাতক্ষীরা শহরের ফারাজানা ক্লিনিকে ভুল অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যু
- বেলকুচিতে থানায় ঢুকে প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ ইসির
- ডিবি ও সাংবাদিক পরিচয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আটক ৭
- বেলকুচিতে থানায় ঢুকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ওপর হামলা, ইন্জিনিয়ার আমিনুল শোকজ
- জুয়েলারি শিল্পে বিপ্লব ঘটাতে বাজুসের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান
- বোয়ালমারীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্বাচন স্থগিতের অভিযোগ
- ফুলপুরে ট্রলি-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে যুবক নিহত
- দেশের আলোচিত কিশোরী ইয়াসমিনের মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু
- নিঃস্ব কামালের মুখে হাসি ফোটালেন মেয়র ও মানবিক মানুষ
- বিদেশে বসে টাকার বিনিময়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা
- ‘কাপ্তাই লেকের হারানো যৌবন ফিরিয়ে আনা হবে’
- পাংশাকে স্মার্ট উপজেলা করতে নিরলস কাজ করছেন ইউএনও জাফর সাদিক
- লংগদু গণহত্যা দিবস উপলক্ষে স্মরণ সভা
- শেখ হাসিনা: পঙ্কিল রাজনীতির পথ অতিক্রম
- কানাডার এশিয়ান হেরিটেজ মাস
- খনি শ্রমিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত প্রয়োজন
- অসাধু জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের তালিকা করবে বাজুস
- সুদানে ক্ষুধার জ্বালায় ঘাস খাচ্ছে মানুষ
- নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা রবিবার
- নিরাপদ সড়কের দাবিতে নড়াইলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত
- ‘সমৃদ্ধশালী ন্যায় বিচার ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে নাগরিক সচেতনতার বিকল্প নেই’
- কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ হত্যাকাণ্ডে ৩ ভারতীয় গ্রেপ্তার
- সবজির বাজারে গরমের তাপ
- ‘ভোটারবিহীন নির্বাচনে আনন্দ নেই, সৌন্দর্য্য নেই’
- ঢাকাসহ ৫ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস
- চামড়াখাতে ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকার প্রস্তাব সিপিডির
- কাপ্তাইয়ে চিৎমরম নদীর ঘাট পারাপারে দুর্ভোগ, সিঁড়ি বর্ধিতকরণ ও ছাউনি নির্মাণ দাবি এলাকাবাসীর
- ফরিদপুরের সিং পাড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৮ দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান সমাপ্ত
- ফরিদপুর পৌরসভার একটি ইটের রাস্তা পাকা করার দাবিতে মানববন্ধন
- সালথায় মানবপাচার মামলায় এক নারী গ্রেপ্তার
- এক যুগ কাটিয়ে ডর্টমুন্ড ছাড়ছেন রয়েস
- রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে ভাঙ্গা ও চন্দনা কমিউটার ট্রেনের উদ্বোধন
- পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত
- ১০ কোটির মাইলফলকে পরীমণি-সিয়ামের ‘তুই কি আমার হবি রে’
- আজ থেকে শুরু হচ্ছে ট্রেনের বাড়তি ভাড়া
- হেলিকপ্টারে আগুন, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন নায়ক দেব
- জিম্মি চুক্তিতে রাজি হতে হামাসকে ৭ দিনের সময় দিল ইসরায়েল
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !