ফিরে দেখা ঘুরে দেখা, র্যাব বাহিনীর ইতিকথা
.jpg)
রহিম আব্দুর রহিম
সভ্য পৃথিবীতে অপরাধ জগণ্য পাপাচার এবং ঘৃণিত। এরপরও অপরাধীরা তাদের অপরাধ কর্মকান্ড যুগ যুগ ধরে করে আসছে। বাংলাদেশে স্বাধীন হবার পর সবচেয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ২০০১ থেকে ২০০৩ খ্রিস্টাব্দতে দুঃখজনক অবনতি হয়েছিল। প্রতি সপ্তাহে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসী বাহিনীগুলোর মধ্যে গোলাগুলি লেগেই থাকতো। ঢাকার একেকটা এলাকা একেকজন দখল করে চাঁদাবাজি করতো, এযেনো সন্ত্রাসীদের এক রামরাজত্ব।
শুধু সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয় রাজধানীর অলিগলি তাই নয়। বাংলাদেশের উত্তর -পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ অঞ্চলে বামপন্থীদের গোপন কর্মকান্ড শুরু হয়েছিল সমান তালে, মাথাচাড়া দিয়ে উঠে জিএমবিরা। সেই সময় ক্ষমতাসীন সরকার এই লাজুক পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে নানাবিধ কৌশল অবলম্বন করে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে 'চিতা', 'কোবরা', নামের পুলিশের ইউনিট গঠন করে সন্ত্রাস দমনের চেষ্ঠা চালায়। কোন লাভ হয়নি, পরে গঠন করে অপারেশন ক্লিনহার্ট এতেও ফলাফল শূণ্যের কোটায়। ভয়াবহ অবস্থা মোকাবিলায় সরকারের নীতি নির্ধারক মহলের ভিন্ন চিন্তা, যেকোন মূল্যেই হোক না কেনো! আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই হবে। যে কথা সেই কাজ, বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করার জন্য ২০০৩ সালে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়, 'র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন'। ' র্যাট', যার প্রধান ছিলো একজন উপ-পুলিশ কমিশনার। গঠিত এই বাহিনী, তৎকালীন শীর্ষ সন্ত্রাসী লিয়াকত হোসেনকে গ্রেফতার করে দেশ বিদেশের মিডিয়ায় শিরোনাম হয়ে উঠে।
পরে ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ গঠিত হয় (দি আর্মড পুলিশ অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯ সংশোধনী ২০০৪ অনুসারে) RAB। যা ইউনিট পুলিশের স্পেশাল বাহিনী হিসেবে গঠিত হয়। যার কার্যক্রম শুরু হয় সেই বছরের ১৪ এপ্রিল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, আনসার ও ভিডিপি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের চৌকস সদস্যদের নিয়ে গঠিত র্যাব বাহিনীরই হাতেই অবনত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকে এবং আসে।
'বাংলাদেশ আমার অহংকার' এই নীতি ব্যাংকে গঠিত র্যাবের সদর দপ্তর ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত। এই বাহিনীর যেমন সফলতা আছে, তেমনি বিস্তার নেতিবাচক শত কর্মকান্ডের ফিরিস্তি অনেকেরই জানা রয়েছে। এজন্যে বাহিনী দায়ী? নাকি এর নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তি দায়ী? সেটাই বিবেচ্য। র্যাবের নিঃসন্দেহে আমাদের দেশের মত মানুষের শান্তি প্রতিষ্ঠায় দক্ষ এবং সময়োপযোগী বাহিনীর।
হঠাৎ কেনো এই বাহিনী নিয়ে কথা বলছি, এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে। বলার মাঝে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে যেমন গর্বের ইতিকথা আছে, তেমনি আছে বিব্রত কিংবা বিড়ম্বনার মত অসংখ্য ঘটনা। এই বাহিনীর সাবেক ডিজি বেনজির আহমেদ পুলিশের ২৮তম মহাপরিদর্শক হিসেবে ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক ছিলেন, পরে তিন র্যাবের এর ডিজি হন। এই ডিজি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এবং জহুরুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। বর্তমান ডিজি একেএম শহিদুর রহমান ডিজি হিসেবে নিয়োগ পান ২০২৪ এর ৭আগস্ট। সৎ, দক্ষ, মানবিক এই ব্যক্তিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন, একেএম শহিদুর রহমানকে ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের ফোকালপার্সন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁকে জুলাই ২০২৪ এ অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে পুলিশ টেলিকম রাজারবাগ থেকে পুলিশ অধিদফতরে বদলি করা হয়েছিল। যা কিছুই হোক না, হলের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র হওয়ায় আমিও হল অ্যালামাইন অ্যাসোশিয়ানের সদস্য।
যে কথা বলছিলাম, এই বাহিনীর সবচেয়ে দানব বলে খ্যাত বেনজির আহমেদ এর পুরো বিপরীত পিঠের একেএম শহিদুর রহমান শুধু আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, দেশ এবং জাতির গর্বিত সন্তান। তাঁর মত একজন ব্যক্তিকে একটি বাহিনীর প্রধান করায় সংশ্লিষ্ট বাহিনীর মর্যাদা এবং দায়বদ্ধতা বহুগুণে বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়ন পরবর্তী তাঁর সাথে প্রথম দেখা, চলতি বছরের ৯ এপ্রিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের ডুয়া অডিটোরিয়ামে। এইদিন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হল অ্যালামাইন এসোসিয়েশন পূর্ণগঠনের লক্ষ্যে এক সাধারণ সভায় আমরা পরস্পরে উপস্থিত হয়েছিলাম। এই দিনের সভায়, ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক জনাব একেএম শহিদুর রহমানকে সামনে রেখে সাবেক বেনজির আহমেদকে যখন বিভিন্ন বক্তরা দানব বলে আখ্যায়িত করে নানাবিধ তিরস্কার, টিপ্পনী কাটছিলেন, তখন এই ডিজির চোখে মুখে ভাসছিল মানবতার ইঙ্গিত। তিনি যখন বক্তব্য রাখেন, তখন স্পষ্টত প্রমাণ হয়েছে একেএম শহিদুর রহমান মানুষের জন্য এক নীতির মানুষ, নিয়মের মানুষ। তাঁর সকল কর্মই হবে কল্যাণের জন্য। এই ভদ্রলোকের সাথে ২৮ মে ২০২৫ এর বিকাল ৪টায়, তাঁর দপ্তর সশরীরে উপস্থিত হয়ে কথা বলেছি নানা বিষয়ে। এতে মনে হয়েছে, দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন এদের দ্বারাই সম্ভব। র্যাবের গৌরব দিনদিন আরও উজ্জ্বল হোক এমন প্রত্যাশা সময়ের দাবী।
লেখক: নাট্যকার ও গবেষক।
পাঠকের মতামত:
- ইসরায়েলকে সহযোগিতা করলে লক্ষ্যবস্তু হবে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ফ্রান্সের ঘাঁটি
- এবার ইসরায়েলি হামলায় ইরানের পুলিশপ্রধান নিহত
- প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয়েছে
- ইরানের প্রতি পাকিস্তানের পূর্ণ সমর্থন
- ‘ইরানে হামলায় শুধু সমর্থন নয়, ইসরায়েলকে উৎসাহ দিচ্ছে ভারত’
- একসঙ্গে ছয় বিসিএসের সময়সূচি ঘোষণা
- ‘একাত্তরের বিরোধিতাকারীরা নির্বাচনের তারিখ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে’
- ‘জেলা পর্যায়ে আইনগত সহায়তা দিতে তিনজন বিচারক নিয়োগ দেবে সরকার’
- ২৫০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক
- গোপালগঞ্জে আ.লীগ নেতা কামালের পদত্যাগ
- ভুরুঙ্গমারীতে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়
- ২৭ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন
- ইরান ও ইসরায়েলকে যে বার্তা দিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব
- নাটোরে আ’লীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি হামলা, ১ জনের মৃত্যু
- কালিগঞ্জে আ.লীগের মিছিল, ৪২ জনের নামে মামলা
- ধস নেমেছে যশোরের রাজারহাট চামড়ার বাজারে
- জিজিএফআই’র নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে কথিত সাংবাদিক আটক
- আদালতের নির্দেশ অমান্য: পিতা-মাতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত ছেলে
- রাঙ্গামাটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- পঞ্চগড়ের সীমান্ত দিয়ে ১২ বাংলাদেশি ও ৪ ভারতীয় নাগরিককে পুশইন
- বোয়ালমারীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এসআই বোরহান নিহত
- ঈদের ছুটি শেষ তাই বেড়েছে যাত্রীর চাপ
- টুঙ্গিপাড়ায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ৫ পরিবহনকে জরিমানা
- সালথায় পূর্ব শত্রুতার জেরে অতর্কিত হামলা, আহত ৪
- মুঘল আমলের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের নিদর্শন মথুরাপুর দেউল
- জামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস পালিত
- শৈলকূপায় জাল সার্টিফিকেটে একযুগ চাকরি করে যাচ্ছেন এক শিক্ষিকা!
- এই শীতে ঘুরে আসুন শ্রীমঙ্গল
- প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্রেটদের ভরাডুবি, ভাগ্য ঝুলছে সিনেটে
- সোনাগাজীতে গাছসহ গাঁজা চাষী গ্রেফতার
- স্যামসাং নিয়ে এলো আকর্ষণীয় ‘বিবাহ উৎসব’ অফার
- নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার পক্ষে প্রচারণায় সংসদ সদস্যের দুই ভাই, জনপ্রতিনিধিদের চাপ প্রয়োগ
- ঈশ্বরদীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন
- ঝালকাঠিতে সড়কে ঝরল ১৪ প্রাণ
- লক্ষ্মীপুর কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
- শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ১৫৫ জনের নামে বগুড়ায় মামলা
- পঞ্চগড় মুক্তাঞ্চল: নৈসর্গিক প্রকৃতির রূপসী কন্যা
- জিয়া সেদিন বঙ্গবন্ধুকে কথা দিয়েছিলেন, 'স্যার, আমার বুক বিদ্ধ না করে বুলেট আপনার গায়ে লাগতে পারবে না'
- ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা, সব নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত
- অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে ১৩ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
- ‘মাতৃভাষায় যার ভক্তি নাই সে মানুষ নহে’
- অনিশ্চিত মেসি, চিলির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য একাদশ
- ঝিনাইদহে ট্রাকচাপায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যু
- ‘শাহবাগীদেরও বিচার করতে হবে’
- কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি বিএনপির