প্লাস্টিক ব্যাগ আমাদের পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি, রোধে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১৭তম বারের মতো আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক দিবস ২০২৫ পালিত হবে। মানুষ আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং সার্বিকভাবে ভালো থাকতে কি না করছি আমরা। কিন্তু অনেক কিছু পেরে উঠলেও কোনোভাবেই যেন প্লাস্টিককে দূরে রাখতে পারছি না। প্লাস্টিকের ব্যাগ হয়ে উঠেছে নিত্যদিনের সঙ্গী। বাজার করা, ময়লা ফেলা, শুকনো খাবার সংরক্ষণসহ নানান কাজে এসব প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহৃত হচ্ছে রোজ প্রতিটি বাড়িতে। কিন্তু ব্যবহারের পর যখন এসব ব্যাগ এখানে-সেখানে ফেলা হয় বা শহরের বাইরে উন্মুক্ত জায়গায় অন্যান্য বর্জ্যের সঙ্গে এসব ব্যাগের স্তূপ জমা হয় বিপত্তিটা তখনই ঘটে।
প্লাস্টিক ব্যাগের ইতিহাস ও বিপজ্জনক বিস্তার
প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার শুরু হয়েছিল ১৯৬০-এর দশকে। প্রথমে এটি সহজলভ্য, সস্তা ও বহনযোগ্য হওয়ার কারণে মানুষের নিকট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই এর দূষণ ছড়িয়ে পড়ে সমুদ্র, নদী, বনাঞ্চল থেকে শুরু করে মানুষের বসতবাড়ি পর্যন্ত। আজ বিশ্বে প্রতি মিনিটে প্রায় এক মিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহৃত হচ্ছে। এর ৯০% -এর বেশি অব্যবহৃত অবস্থায় নালায়, জলাশয়ে বা মাটিতে নিক্ষিপ্ত হচ্ছে, যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পরিবেশে থেকে যাচ্ছে। আর প্লাস্টিকের ব্যাগ এককথায় পচনশীল নয়। পচে গেলেও সময় লাগে কয়েক শ বছর। ফলে এতে যেমন পরিবেশ দূষণ হয়, পাশাপাশি বাস্তুতন্ত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই পরিবেশবাদীদের দাবি, দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হওয়ার আগে যেন প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হয়ে ওঠে।
এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে, প্লাস্টিকের ব্যাগের বিকল্প এমন কী আছে, যা সহজলভ্য ও প্রতিদিন ব্যবহারের উপযোগী? সে ক্ষেত্রে চোখ রাখতে হবে টেকসই উপকরণের দিকে। কাপড়, কাগজ ও পাট দিয়ে তৈরি ব্যাগ বরাবরই পরিবেশবান্ধব। কাগজের ব্যাগ পচনশীল। এগুলো মাটিতে মিশে যায়। অন্যদিকে কাপড় ও পাট দিয়ে তৈরি ব্যাগ টেকসই; নিয়মিত পরিষ্কার করে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা সম্ভব। আর প্লাস্টিক কৃত্রিমভাবে তৈরি একটি পলিমার। এটি জীবাশ্ম জ্বালানি বা প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে রাসায়নিক উপায়ে তৈরি করা হয়। নমনীয় ক্ষয়রোধী, দীর্ঘস্থায়ী ও দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য মানুষের দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে সাগরের তলদেশ থেকে মাউন্ট এভারেস্ট পর্যন্ত পৃথিবীর সর্বত্র, এমনকি মেরু অঞ্চলেও প্লাস্টিক বর্জ্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই পৃথিবীর মাটি, পানি, বায়ুমণ্ডল, বন্যপ্রাণী, জীববৈচিত্র্য ও মানব স্বাস্থ্যে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এই প্লাস্টিক দূষণ।
বর্তমান পৃথিবীর মানুষের দৈনন্দিন জীবন প্লাস্টিক ছাড়া কল্পনাতীত। প্রায় সকল ধরনের মোড়ক ও বোতল প্লাস্টিকের তৈরি। ব্যবহৃত প্লাস্টিকের কিছু অংশ রিসাইকেল করা হলেও বেশিরভাগই বর্জ্য হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বে প্রতি বছর ৩৮১ কোটি টন প্লাস্টিক উৎপাদন হয়।আর প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৪৫ কোটি টন প্লাস্টিক বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ছে। প্লাস্টিক বর্জ্য ৪০০ বছর পর্যন্ত পরিবেশে বিরাজ করে জীব ও প্রকৃতির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। উন্নত দেশে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থাকায় ব্যবহৃত প্লাস্টিক পরিবেশে কম ছড়িয়ে পড়ে। তবে চীনসহ এশিয়ার দেশগুলো বিশ্বের ৫১ শতাংশ প্লাস্টিক দূষণকারী। প্লাস্টিক দূষণকারী শীর্ষ দেশের তালিকায় বাংলাদেশও রয়েছে। আর একসময় বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণ প্লাস্টিক পণ্য আমদানি করত। এখন উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রতি বছর প্রায় চার হাজার কোম্পানি ২৪ লাখ টন প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন করছে। দেশে প্রতি বছর মাথাপিছু প্রায় ১৫ কেজি প্লাস্টিক দ্রব্য ব্যবহার হয়। বিশ্বে মাথাপিছু গড়ে ব্যবহার হয় ৬০ কেজি। উত্তর আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ ও জাপানের মতো উন্নত দেশে মাথাপিছু প্লাস্টিকের ব্যবহার ১০০ কেজি। বর্তমান ধারা চলতে থাকলে ২০৩১ সাল নাগাদ পৃথিবীতে প্লাস্টিকের দ্রব্য উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ হবে।প্লাস্টিক বর্জ্য (বিসফেনল-এ, ফথেলেটস, বিসফেনোন, অর্গানোটিনস, পার ও পলি ফ্লোরোঅ্যালকাইল এবং ব্রোমিনেটেড ফেইম রিটারডেন্টস ইত্যাদি) মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশে নিঃসরণ করে।
ন্যানো ও মাইক্রো কণা হিসেবে এসব ক্ষতিকর পদার্থ খাদ্যচক্র ও পানির মাধ্যমে প্রাণী দেহে প্রবেশ করছে। মাইক্রো ও ন্যানো প্লাস্টিক কণায় থাকা এসব পদার্থ যেকোনো জীবের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার বিরূপ পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
প্লাস্টিক বর্জ্য মাইক্রো ও ন্যানো কণার ক্ষতিকর পদার্থ মানবদেহে থাকা হরমোনজনিত পরিবেশ পরিবর্তন করে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু তৈরি ব্যাহত করতে পারে। স্নায়ুকোষ ক্ষতিগ্রস্ত করে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের নানা রোগের কারণ হতে পারে। কোষের জীনগত পরিবর্তন করে ক্যানসারসহ আরও নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া, প্লাস্টিক পণ্যের সরাসরি সংস্পর্শে ত্বকের রোগ হতে পারে।
প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন দ্রব্য ছাড়া আধুনিক জীবন অচল। এ জন্য প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার উদ্যোগ যৌক্তিক নয়। বহুল ব্যবহৃত প্লাস্টিকে তৈরি পলিথিন ব্যাগ দূষণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। পলিথিনের পরিবর্তে কাগজ, পাট বা প্রাকৃতিক তন্তুর তৈরি ব্যাগ ব্যবহার উৎসাহিত করতে হবে, প্রয়োজনে পলিথিনের ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা যেতে পারে।
প্লাস্টিক ব্যাগ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হওয়ার কয়েকটি কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:
দূষণ: প্লাস্টিক ব্যাগ সহজে মাটিতে মেশে না, ফলে পরিবেশ দূষণ ঘটায়। এটি মাটি, পানি ও বাতাসকে দূষিত করে।
জলাবদ্ধতা: প্লাস্টিক ব্যাগ নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করে, যার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে এটি একটি বড় সমস্যা।
প্রাণী ও উদ্ভিদের ক্ষতি: প্লাস্টিক বর্জ্য প্রাণীদের জন্য মারাত্মক হুমকি। অনেক সময় পশু-পাখি প্লাস্টিক খেয়ে ফেলে এবং এতে তাদের মৃত্যুও হতে পারে। এছাড়াও, প্লাস্টিক উদ্ভিদের বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি: প্লাস্টিক পোড়ালে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়াও, প্লাস্টিক থেকে নির্গত রাসায়নিক পদার্থ খাদ্য ও পানির মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তন: প্লাস্টিক বর্জ্য জলবায়ু পরিবর্তনের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্লাস্টিক পোড়ানোর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইডের মতো ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
প্লাস্টিক দূষণ রোধে আমাদের দায়িত্ব
আমরা প্রত্যেকে নিজের জায়গা থেকে প্লাস্টিক দূষণ রোধে ভূমিকা রাখতে পারি। বাজারে গেলে নিজের ব্যাগ সাথে নেওয়া, প্লাস্টিক ব্যাগ না চাওয়া, বন্ধুকে প্লাস্টিক না ব্যবহারে উৎসাহিত করা—এগুলো ছোট পদক্ষেপ হলেও সামষ্টিকভাবে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
পরিশেষে বলতে চাই, পলিথিন দামে সস্তা কিন্তু এর বিকল্প পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ উদ্ভাবন হওয়া সত্ত্বেও শুধু সরকারি উদ্যোগ ও উদাসীনতার অভাবে পলিথিনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্জ্য পদার্থ রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে উৎপাদিত পলিথিন ব্যাগ শুধু খাদ্যসামগ্রীকেই বিষাক্ত করছে তা নয়, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে শহরগুলোতে যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে তার প্রধান কারণ অনিয়ন্ত্রিতভাবে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার। কেননা শহরের নর্দমা ও বর্জ্য নির্গমনের পথগুলো পলিথিন দ্বারা পূর্ণ। পলিথিনের কারণে পানি আটকে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এক গবেষণায় বলা হয়েছে, শুধু ঢাকাতেই প্রতিদিন ১ কোটি ৪০ লাখ পলিথিন ব্যাগ জমা হচ্ছে। ব্যবহৃত পলিথিন গলিয়ে আবার ব্যবহার করায় এতে রয়ে যাচ্ছে বিষাক্ত কেমিক্যাল, যা থেকে ক্যানসার, চর্মরোগ, লিভার, কিডনি ড্যামেজসহ জটিল রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। তাই পলিথিন ও প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে কাপড়ের ব্যাগ, পাটের ব্যাগের ব্যবহারে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। যেসব মালিকদের পলিথিন উৎপাদনের কারখানা রয়েছে তাদেরকে পাটের ব্যাগ তৈরির মেশিন ক্রয়ে ঋণের ব্যবস্থা করা হলে তারা আগ্রহী হবেন।
উৎপাদনের সাথে জড়িত শ্রমিকদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে পাটের ব্যাগ তৈরির জন্য প্রস্তুত করা না হলে তারা জীবিকার তাগিদে যেকোনো মূল্যে পলিথিন উৎপাদন করবেন। এ জন্য যত বিকল্প পথ আছে তারা সেটা করবে। কিন্তু কারখানা বন্ধ করতে হবে। নতুন করে কোন পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদনের জন্য অনুমতি দেয়া চলবে না। দেশের সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পলিথিন আসতে না পারে সেটিও নজরদারিতে রাখতে হবে। কাগজের ব্যাগ ও ঠোঙ্গা সহজলভ্য করার জন্য উদ্যোগ নেয়াসহ মনিটরিং টিম বাড়াতে হবে এবং অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। পলিথিন যেভাবে ভিন্ন ভিন সাইজ ও ডিজাইনের হয়ে থাকে তেমনি পাট ও কাগজের দ্বারা ছোট, মাঝারি, বড় সব রকমের ব্যাগ তৈরি করতে হবে। কাগজ ও পাটের ব্যাগের দাম সাধারণত পলিথিনের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তাই প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও মানসম্মত ব্যাগ তৈরি করতে হবে। ফলে সাধারণ মানুষ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারে নিরুৎসাহী হবে। পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে সারাদেশে ক্যাম্পেইন, মাইকিং, পোস্টার, লিফলেট বিতরণ করতে হবে। প্রতিটি মহল্লায় ছোট-বড় সব ধরনের দোকানে অভিযান পরিচালনাসহ শপিংমল থেকে ফুটপাথের অস্থায়ী দোকানসহ সর্বত্র যাদের কাছেই পলিথিন পাওয়া যাবে সকলকে জরিমানার আওতায় নিয়ে এলে হয়তো এর ব্যবহার কমবে।
সর্বোপরি, আমরা মনে করি আইন করা যথেষ্ট নয়, বাস্তবায়ন করাটাই হলো সফলতা। তাই এ মুহূর্তে পলিব্যাগ ও একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক তৈরির কারখানা বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। কেননা উৎপাদন বন্ধ না করে শুধু পলিব্যাগ জব্দ করে এর ব্যবহার কখনোই বন্ধ করা যাবে না। বর্তমান আইন সংশোধনের মাধ্যমে প্লাস্টিকজাত প্লেট, গ্লাস, কাপ, চামচ, স্ট্র ইত্যাদিও উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ সংযুক্ত করা এবং যে বাজারে প্লাস্টিকজাত দ্রব্য ও পলিথিন ব্যাগ পাওয়া যায় প্রয়োজনে সেই বাজার কমিটিকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
পরিবেশের জন্য প্লাস্টিক ও পলিথিনের নেতিবাচক প্রভাব সম্বন্ধে দেশের জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা, চটের ব্যাগ এবং পরিবেশবান্ধব পণ্য সরবরাহের নিশ্চিত করাও জরুরি। আর পরিবেশকে আমরা যতখানি দেব পরিবেশ ঠিক আমাদের ততখানিই ফেরত দেবে৷ তাই পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে প্লাস্টিক দ্রব্য ব্যবহার কমিয়ে আনার ব্যাপারে সবাইকে তৎপর হতে হবে এবং ব্যবহৃত প্লাস্টিক পণ্য যত্রতত্র না ফেলে এগুলো নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। আমাদের সবার এ বিষয়ে সচেতন হওয়া যে, আমরা যত দ্রুত প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার থেকে নিজেদের বিরত রাখব, তত দ্রুত প্লাস্টিক-দূষিত পরিবেশ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারব। তাই পরিবেশের ভালোর জন্য, পৃথিবীর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য প্লাস্টিকের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব উপাদানে তৈরি ব্যাগ ব্যবহার কেন নয়! এই বার্তাই ঘটা করে জানানোর জন্য ২০০৮ সাল থেকে প্রতিবছর ৩ জুলাই আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক ব্যাগ মুক্ত দিবস পালিত হচ্ছে পুরো বিশ্বে।
লেখক: সংগঠক, কলাম লেখক ও গবেষক, প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।
পাঠকের মতামত:
- বাগেরহাটে হ্যামকো কোম্পানির কোটি টাকার লুন্ঠিত মালামালসহ ৯ ডাকাত গ্রেফতার
- মাইটিভি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নগরকান্দায় দোয়া ও মিলাদ
- টাঙ্গাইলে ম্যাটস ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- সুবর্ণচরে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংসে অভিযান
- মহম্মদপুরে পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য কৃষকদের মাঝে এয়ার-ফ্লো মেশিন বিতরণ
- রাজবাড়ীতে নেই করোনা পরীক্ষার কিট
- ফরিদপুরে বিলুপ্তির পথে দেশীয় মাছ
- বর্ষায় জলাবদ্ধতা: কারণ, প্রভাব ও টেকসই প্রতিকার
- টিকে থাকতে ধুঁকছে ঐতিহ্যবাহী গণমাধ্যমগুলো, সরকারি বিজ্ঞাপনই শেষ ভরসা
- গোপালগঞ্জ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই আন্দোলনে বিরোধী শিক্ষকদের পদোন্নতির প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচী
- ধামরাইয়ে সুতিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ফটো মিয়া মারা গেছেন
- দুধ দিয়ে কালসাপ পুষছে টাঙ্গাইল এলজিইডি
- এক দফা দাবিতে ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন স্মারকলিপি প্রদান
- কুষ্টিয়ায় ভাবিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ, কিশোর কারাগারে
- ফরিদপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল পথসভা
- কালীগঞ্জে ন্যায্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন
- নড়াইলে পুকুরে ডুবে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু
- উন্নয়নের পূর্বশর্ত পরিকল্পিত জনসংখ্যা
- তিস্তা নদীতে নিখোঁজের একদিন পর শিশু নাজিমের লাশ উদ্ধার
- জাতিসংঘ অফিস: মানবাধিকার না কূটনৈতিক নজরদারি?
- এবার যুক্তরাষ্ট্রসহ পাঁচ দেশে ভোটার কার্যক্রমের অনুমোদন পেল ইসি
- ‘আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবে নয়, নিজস্ব উদ্যোগেই আর্থিক খাতে সংস্কার’
- ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পালানোর আর কোনো পথ নেই’
- ‘ফাঁস হওয়া অডিও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ, উপযুক্ত বিচার অবশ্যই হবে’
- এনসিপিকে শুভেচ্ছা জানাতে সড়কে শিক্ষার্থীরা, ক্ষোভ ঝাড়লেন সারজিস
- লক্ষ্মীপুরে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন
- তামাক নয়, জীবনের পক্ষে দাঁড়ান
- লক্ষ্মীপুরের দুই উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে
- মঙ্গল আলো
- হবিগঞ্জে ডোপ টেস্ট জটিলতায় আটকে আছে ড্রাইভিং লাইসেন্স
- হবিগঞ্জে ট্রাক-প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫
- চিড়া-মুড়ি-কম্বল নিয়ে তিনদিন আগেই হাজির বিএনপি সমর্থকরা
- জামালপুর চেম্বার অব কমার্সের ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা
- বেলকুচিতে আওয়ামী লীগ নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
- দেখা গেছে শাবানের চাঁদ, শবে বরাত ২৫ ফেব্রুয়ারি
- টাঙ্গাইলে ঢাকা প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
- প্রার্থীর সাথে গোপন বৈঠকের অভিযোগে ৫ প্রিজাইডিং অফিসারসহ আটক ৬
- কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস আজ
- নৌকায় চড়ে বিএনপির সমাবেশে যাচ্ছেন শেরপুরের কর্মীরা
- সাবেক এমপি লায়লা পারভিন সেঁজুতির জামিন আবেদন নামঞ্জুর
- টাঙ্গাইলে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত
- মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে একটি কার্গোর ধাক্কায় অপর কার্গো জাহাজ ডুবি
- ঘাটাইলে নানা কর্মসূচির মধ্যে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত
- বর্ষায় জলাবদ্ধতা: কারণ, প্রভাব ও টেকসই প্রতিকার
- বিজনেস সামিটের পর্দা নামছে আজ