E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

কলকাতায় শিতাংশু গুহ’র বই প্রকাশিত

২০২৫ জুন ১৭ ১৭:১৮:২০
কলকাতায় শিতাংশু গুহ’র বই প্রকাশিত

ড. মোহিত রায়, কলকাতা : গতকাল ১৪ জুন কলকাতাস্থ ঐতিহ্যবাহী শতাব্দীপুরান ভারত সেবা হলে আমেরিকা প্রবাসী শিতাংশু গুহ-র সর্বশেষ বই “ভারত ভাগ হয়েছে ধর্মের জন্যে, ভাতের জন্যে নয়” আনুষ্ঠানিক উদ্ধবোধন করেছেন ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের সাবেক গভর্নর, লেখক ইঞ্জিনিয়ার অধ্যাপক ড. তথাগত রায়। 

এ সময় তিনি লেখকের প্রশংসা করে বলেন, শিতাংশু বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ তথা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষায় বিশ্বব্যাপী আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, শিতাংশুকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং আমেরিকা ও ভারতে বহুবার আমাদের সাক্ষাৎ হয়েছে।

বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে তার সাথে আরো ছিলেন, গৌড়বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, যাদবপুর ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অচিন্ত্য বিশ্বাস; প্রখ্যাত লেখক, পরিবেশবিদ ও বাংলাদেশ সংখ্যালঘু এক্টিভিস্ট ড. মোহিত রায়; আই আই এম তিরুচিরাপল্লীর অধ্যাপক কৌশিক গাঙ্গুলী; এশিয়াটিক সোসাইটি’র মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ইনিষ্টিটিউটের ডিরেক্টর অধ্যাপক স্বরূপ প্রসাদ ঘোষ; দৈনিক যুগশঙ্খের চিফ রিপোর্টার রক্তিম দাস প্রমুখ। বইটি নিয়ে আলোচনা এবং বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কথাবার্তা যথেষ্ট প্রাণবন্ত ছিলো। একই অনুষ্ঠানে আরো দুইটি বই, অচিন্ত্য বিশ্বাসের ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ এবং কৌশিক বন্দোপাধ্যায়ের ‘একুশের মিথ ও জয়বাংলার মিথ্যা’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়। এ অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিলো ‘বঙ্গদেশ’ ও ‘বঙ্গীয় সনাতনী পরিষদ।

উল্লেখ্য, কলেজ স্ট্রীটের ‘আনন্দ-প্রকাশনী’ শিতাংশু গুহের বইটি প্রকাশ করে, যা ২০২৫-এ কলকাতা বইমেলায় স্থান পায়। এটি কলকাতায় শিতাংশু’র প্রথম বই, ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে তাঁর আরো ছয়টি বই প্রকাশিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে লেখক ছোট্ট একটি বার্তা পাঠান, এতে তিনি বলেন: কলকাতাকে আমি চিনতাম, কিন্তু এখনকার কলকাতাকে আমি চিনতে পারছি না? পূর্ব-পাকিস্তান বা বাংলাদেশে জন্মকর্ম বিধায় ছেলেবেলা থেকে আমি ধীরলয়ে ঐ ভূখণ্ডের ইসলামীকরন দেখেছি, আজ তা মহীরুহ। পশ্চিমবঙ্গে এখন আমি সেই একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি দেখছি। তাই ভয় হয়! সেই ভয় থেকেই এ বই।

তিনি বলেন, সাহিত্যের বিচারে এ বই হয়তো মূল্যহীন, কিন্তু ঐতিহাসিক বিচারে বাঙ্গালী হিন্দু’র অস্তিত্ব রক্ষায় এ বই যদি সামান্য অবদান রাখে, আমি সেই চেষ্টা করেছি। আমি শুধু চেষ্টা করেছি বাঙ্গালী বাবুদের কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙ্গানোর। পশ্চিমবঙ্গ না জাগলে বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি, রবীন্দ্রনাথ-নজরুল, শিল্পকলা কিছুই থাকবে না। সব নষ্টদের দখলে চলে যাবে।

(এমআর/এসপি/জুন ১৭, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৯ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test