বাংলা একাডেমীতে জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘর প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট
নিউজ ডেস্ক : বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উৎকর্ষ ও বিকাশ সাধনের জন্য। ভাষা সাহিত্যের বাহন। সাহিত্য জীবনের প্রতিচ্ছবি। একটি দেশের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে সাহিত্যিক ও লেখকরাই মূল শক্তি।
বাংলা ভাষার আবির্ভাব প্রায় এক হাজার বছর পূর্বে। চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক উপাদানের সঙ্গে বাংলার নিজস্ব সাংস্কৃতিক উপাদানের সংমিশ্রণ ঘটেছে যুগে যুগে। বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ধর্মীয় ও রক্ষণশীল মৌলবীদের চেয়ে সুফি-সাধক, বাউল ও মরমি কবিদের অবদান অনেক বেশি। তাঁরাই অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধ ও মানবতাবাদ প্রচার করেন যা সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করে। পঞ্চদশ-অষ্টাদশ শতকে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্ম ও মতাদর্শের মানুষের শান্ত্মিপূর্ণ সহ-অবস্থানের মাধ্যমে এক সমন্বয়ধর্মী সংস্কৃতির ধারা সৃষ্টি হয়, যার পরিচয় পাওয়া যায় সমকালীন কয়েকজন বাঙালি মুসলমান কবির রচনায়। তাঁরা বাংলা ভাষায় কাব্য রচনা করেন এবং এই ভাষার প্রতি তাঁদের গভীর মমত্ব প্রকাশ পায়।
অষ্টাদশ, ঊনবিংশ ও বিংশ শতকে বহু কবি ও লেখকের সৃষ্টি ও অবদান দ্বারা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিপুল উৎকর্ষ সাধিত হয়। ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিশ্বপরিমণ্ডলে আসন করে নেয়।
বাংলা ভাষা ও লিপির উৎপত্তি ও বিবর্তন ভৌগোলিক পরিভ্রমণ মানচিত্র, লেখমালা, চর্যাপদ, পুঁথি ইত্যাদি এবং বাংলা সাহিত্যের ক্রমবিকাশ খ্যাতিমান লেখকদের ছবি, পাণ্ডুলিপি, বক্তব্য, চিঠি, স্বারকবস্তু প্রভৃতি দ্বারা তুলে ধরা জরম্নরী। বাংলাদেশে সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমী তাই বর্ধমান হাউসের প্রথম তলায় জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘর প্রতিষ্ঠিা করেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ১লা ফেব্রম্নয়ারি এই জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন। এ সময় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর অমর্ত সেন উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে ছয়টি ক নিয়ে জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘর স্থাপিত হয়েছে।
জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘরের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের প্রথম তলায় বাংলা একাডেমী কর্তৃক "জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘর" প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ১লা ফেব্রম্নয়ারি এই জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন। এ সময় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর অমর্ত সেন উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে ছয়টি কক্ষ নিয়ে জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘর স্থাপিত হয়েছে। ভবিষ্যতে জাদুঘরটির সম্প্রসারণ ঘটবে এবং জাদুঘরটি আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে।
জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘরের প্রথম কক্ষটিতে বাংলা ভাষার আদি উৎস, আদি ভাষার পরিভ্রমণপথের মানচিত্র, বাংলা ভাষা পরিবার এবং বাংলা ভাষার উদ্ভব ও বিকাশ উপস্থাপিত হয়েছে। কক্ষটির ওপরের দিকে বড় বড় কাঠের ফ্রেমে স্থান পেয়েছে বাংলা স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ, স্বরচিহ্ন ও সংখ্যার ক্রমবিবর্তনের চিত্র। নিচে প্রকৃত শিলালিপি ও তাম্রলিপির প্রতিচ্ছবি প্রদর্শিত হয়েছে। বাংলা লিপির উৎস মৌর্য যুগের ব্রাক্ষ্ণী লিপি। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর অশোকের শিলালিপি থেকে ব্রাক্ষ্ণী লিপির বর্ণমালা সংগৃহীত হয়েছে। খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীর কনিষ্কের শিলালিপি, চতুর্থ ও পঞ্চম শতাব্দীর গুপ্ত যুগের তাম্রলিপি, ষষ্ঠ শতাব্দীর ধর্মাদিত্য, গোপচন্দ্র ও সমাচার দেবের তাম্রলিপি, সপ্তম শতাব্দীর রাত ও খড্গ রাজাদের তাম্রলিপি, অষ্টম শতাব্দীর ধর্মপাল ও দেবপালের তাম্রলিপি, নবম ও দশম শতাব্দীর নারায়ণপাল ও প্রথম মহীপালের তাম্রলিপি, দশম ও একাদশ শতাব্দীর চন্দ্র ও বর্মণ রাজাদের তাম্রলিপি, দ্বাদশ শতাব্দীর সেন ও পরবর্তী দেব রাজাদের তাম্রলিপি, ত্রয়োদশ শতাব্দীর গূহ্যবলীবিবৃতি, পঞ্চরা ও বজ্রায়নেসাধনাঙ্গনি পাণ্ডুলিপি এবং চতুর্দশ শতাব্দীর শ্রীকৃষ্ণকীর্তন ও ধর্মপূজাবিধি পাণ্ডুলিপির সহায়তায় বাংলা লিপির ক্রমবির্বতন দেখানো হয়েছে।
স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্ত্মকে বাংলা ভাষা ও লিপির ক্রমবিবর্তন এবং এ সম্পর্কে ইতিহাসের তথ্য অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীদের কাছে দুর্বোধ্য ঠেকে। কিন্তু এই জাদুঘরে সহজ-সাবলীল ভাষা ও চিত্রের মধ্য দিয়ে এই দুর্বোধ্য বিষয়টি বেশ সহজ হয়ে উঠেছে। বাংলা ভাষার আদি উৎস, আদি ভাষার পরিভ্রমণপথের মানচিত্র, বাংলা ভাষা পরিবার এবং বাংলা ভাষার উদ্ভব ও বিকাশ প্রদর্শনের পরিকল্পনা করেছেন ভূগোলবিদ হাবিবুর রহমান। বাংলা লিপির ক্রমবিবর্তন তুলে ধরার কাজটি সম্পন্ন করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের তরম্নণ গবেষক ও লিপিবিশারদ শরিফুল ইসলাম।
প্রথম কক্ষে আরো আছে বাংলা পুথির দৃষ্টান্ত্ম। তন্মেধ্যে শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন উল্লেখযোগ্য। আছে মীর মশাররফ হোসেনের হাতের লেখা, কবি শামসুর রাহমানের চশমা, মানিব্যাগ, হাতঘড়ি ও নোটবই এবং কবি সুফিয়া কামালের কিছু স্মারক বস্তু।
জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘরের দ্বিতীয় কক্ষটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরম্নল ইসলামের নিদর্শন দ্বারা পূর্ণ হয়েছে। কক্ষটির একটি অংশের উপরে ও নিচে বিশ্বকবির অনেক আলোকচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে দেখা মিলবে বালক রবীন্দ্রনাথ, যৌবনকালের সুদর্শন রবীন্দ্রনাথ, শ্মশ্রম্নমণ্ডিত চিরচেনা কবিগুরম্ন ইত্যাদি। রবীন্দ্রনাথকে দেখা যাবে সংগীত চর্চায়, অভিনয়ে, লেখায় ও চিত্রাঙ্কনে। দেখা যাবে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিদের। রবীন্দ্রনাথকে প্রাচ্য ও প্রদীচ্যের বিভিন্ন দেশেও দেখা যাবে। এই কক্ষে আরো আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল বিজয়ের সনদ আর মেডেলের প্রতিচ্ছবি, সঙ্গে ১৯১৩ সালের ১৫ই নভেম্বর প্রকাশিত দ্য স্টেটসম্যান-এ তাঁর নোবেল বিজয়ের খবরও। জাদুঘরের দেয়ালে স্থান পেয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মানসী কাব্যগ্রন্থের পাণ্ডুলিপি থেকে একটি পৃষ্ঠা। তেমনি তাঁর রচিত গোরা উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিরও একটি পৃষ্ঠা স্থান পেয়েছে সেখানে। এক কোণায় চোখে পড়ে রবীন্দ্রনাথের সচিত্র কবিতা ও তার অনুবাদ। এ ছাড়া রয়েছে তাঁর বিভিন্ন কবিতার পাণ্ডুলিপি।
অপরদিকে রয়েছে কাজী নজরম্নল ইসলামের বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম, হাতের লেখা আর বিভিন্ন বয়সের আলোকচিত্র। তরম্নণ পাঠকেরা এখানে এসে পাবেন ধূমকেতু পত্রিকার একটি পাতা পড়ার দুর্লভ সুযোগ। ১২ই ভ্রাদ্র ১৩২৯ বঙ্গাব্দ তথা ২৯শে অগাস্ট ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত ধূমকেতু পত্রিকার এ পাতাটিতে লক্ষ্য করা যায় বেশ মজার কিছু তথ্য। ওপরে এক কোণায় লেখা আছে "তুবড়ি বাঁশীর ডাক"। একপাশে লেখা আছে "বার্ষিক মূল্য ৫ টাকা", নিচের অংশে ইংরেজি ও বাংলায় লেখা আছে "কলকাতায় সব কাগজের চেয়ে কাটতি বেশি।" মাঝের অংশে লেখা "হপ্তায় দু`বার করে দেখা দেবে", তার নিচেই রয়েছে সম্পাদকের নাম কাজী নজরুল ইসলাম। চোখে পড়বে সেদিনের ধূমকেতুর পাতায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা কবিতাটিও
"আয় চলে আয় রে ধূমকেতু
আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু
দুর্দ্দিনের এই দুর্গশিরে
উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন।"
ধূমকেতুর পাশেই রয়েছে মানভূষণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত ২৩শে ডিসেম্বর ১৯২৫ সালে প্রকাশিত লাঙল পত্রিকারও একটি পাতা। বাংলাদেশের জাতীয় কবির সমাধির একটি বিশাল আলোকচিত্র দ্বিতীয় কক্ষের অন্যতম আকর্ষণ।
তৃতীয় কক্ষে স্থান পেয়েছে সুকান্ত্ম ভট্টাচার্য, জীবনানন্দ দাশ, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, বুদ্ধদেব বসু, শামসুর রাহমান ও সুফিয়া কামাল। সুকান্ত্মের স্বহস্ত্মে লিখিত কবিতা `কনভয়` ও তাঁর ছবি, জীবনানন্দের ছবি (সহধর্মিণীসহ) ও স্বহস্ত্মে লিখিত কবিতা এবং মুহম্মদ শহীদুলস্নাহ্র ছবি ও তাঁর কাছে লেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি চিঠিও এই কক্ষে প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রদর্শিত হচ্ছে কন্যা রম্নমিকে বুদ্ধদেব বসুর স্বহস্ত্মে লেখা চিঠি। চোখে পড়বে বুদ্ধদেব বসু রচিত কবিতা `যাওয়া আসা`। ওপরের দিকে একটি আলোকচিত্র নজর কেড়ে নেবে। এর শিরোনামে লেখা আছে `ঢাকায় তরম্নণ লেখকগোষ্ঠী : জগদীশ ঘোষ, বুদ্ধদেব বসু, অমলেন্দ বসু, পরিমল রায় ও অজিত দত্ত`। বহু কাল আগের সাদা-কালো এই ছবিটি সেকালের তরম্নণ মেধাবী মুখগুলোর আলোকচ্ছটায় দর্শক মাত্রই আবেকপস্নুত হবেন। এই কক্ষে কবি সুফিয়া কামালের রঙিন ছবি ও তাঁর কবিতাও দর্শককে আকৃষ্ট করবে। এই কক্ষের পশ্চিম দেয়ালে জাতীয় কবি কাজী নজরম্নল ইসলামের পোস্টার এবং পশ্চিম ও উত্তর দেয়ালের উপরে দুটি বিশাল রঙিন আলোকচিত্র জাতীয় কবির শতবার্ষিকী উদ্যাপনের দৃশ্য উপস্থাপন করছে। দক্ষিণ দেয়ালের উপরে প্রদর্শিত হচ্ছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে লেখকদের মাঝে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপস্থিতি। ভাষা আন্দোলনের অমর দিন একুশ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এবং নজরম্নল পরিবারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর একটি ছবিও স্থান পেয়েছে এই কক্ষে । কবি শামসুর রাহমানকেও পাওয়া যাবে এই কক্ষে ।
চতুর্থ কক্ষে রয়েছে রাজা রামমোহন রায়ের প্রতিকৃতি। আছে লন্ডনে তাঁর বাসগৃহের ছবি যেখানে লেখা আছে “Indian scholar and reformer lived here.” এই কক্ষে স্থান পেয়েছেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অনবদ্য অবদানকারী ঈশ্বচন্দ্র বিদ্যাসাগর। এখানে চোখে পড়বে কাশীধামের তারাকান্ত্ম বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তাঁর স্বহস্ত্মে লেখা চিঠি যা থেকে বিদ্যাসাগরের মাসিক দানের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ছাড়াও রয়েছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বহস্ত্মে লেখা মন্ত্মব্য। চতুর্থ কক্ষে প্রদর্শিত হচ্ছে মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্বহস্ত্মে লিখিত ছয়টি চতুর্দশপদী কবিতা যার একটি তিনি ঢাকার উদ্দেশে ঢাকায় বসে লিখেছিলেন। মাইকেলের ছবি ও তার সমাধির ছবিও রয়েছে এই কক্ষে। এ ছাড়াও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মীর মশাররফ হোসেন, আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দীনবন্ধু মিত্র, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, লালন শাহ ও হাসন রাজা বাংলা সাহিত্যের এমনই প্রথিতযশা ব্যক্তিবর্গের প্রতিকৃতি ও বিভিন্ন কীর্তি এবং তাঁদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য চতুর্থ কক্ষে উপস্থাপিত হয়েছে। এই কক্ষে বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন তথা চর্যাপদের বেশ কয়েকটি পঙতিও প্রদর্শিত হচ্ছে।
২০১২ সালে জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘরের আরো সম্প্রসারণ ঘটে। এই সম্প্রসারণের ফলে আরো দুটি কক্ষে নিদর্শন প্রদর্শিত হচ্ছে। এই দুটি কক্ষের প্রথম কক্ষে স্থান পেয়েছেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত, নবীনচন্দ্র সেন, প্যারিচাঁদ মিত্র, অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, দীনেশচন্দ্র সেন, কায়কোবাদ, রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, প্রমথ চৌধুরী ও সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত। এ ছাড়া আছেন ইসমাইল হোসেন সিরাজী, মওলানা মনিরম্নজ্জামান ইসলামাবাদী ও ফররুখ আহমদ, নওয়াব ফয়জুননেসা চৌধুরানী, রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেন ও বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ এবং সৈয়দ মুজতবা আলী, সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহ ও রশীদ করিম। একটি প্যানেলে পঞ্চ কবিদের স্থান দেয়া হয়েছে এবং প্রত্যেক কবির স্বকীয় বৈশিষ্ঠ্য তুলে ধরা হয়েছে। পঞ্চ কবিরা হচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রজনীকান্ত্ম সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, অতুলপ্রসাদ সেন ও কাজী নজরম্নল ইসলাম। আরেকটি প্যানেলে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত মুসলিম সাহিত্য সমাজের-এর অগ্রণী ব্যক্তিদের উপস্থাপন করা হয়েছে। তাঁরা হচ্ছেন কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হুসেন, কাজী মোতাহার হোসেন, আবুল ফজল ও আবদুল কাদির। বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমীর প্রাতিষ্ঠানিক ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে এই কক্ষে। বাংলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত কয়েকটি ঐতিহাসিক ঘটনার আলোকচিত্র দর্শকদের আকৃষ্ট করবে।
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ভাবমূর্তি গড়ে তোলায় যাঁদের ভূমিকা অবিস্মরণীয় তাঁদের তুলে ধরা হয়েছে দ্বিতীয় কক্ষে। তাঁরা হচ্ছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক, জাতীয় কবি কাজী নজরম্নল ইসলাম, জসীমউদ্দীন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সুফিয়া কামাল।
ছোট ছোট শিশু-কিশোর থেকে শুরম্ন করে তরম্নণ-তরম্নণী আর বয়োজ্যেষ্ঠরাও ঘুরে বেড়ান জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘরের এই অনবদ্য নিদর্শনগুলোর মাঝে। একজন পিতা তাঁর কিশোর পুত্রকে বললেন "তোমরা তো অনেক সৌভাগ্যবান! এখানে এসে তুমি যা দেখলে, তা আমাদের ঘেঁটে ঘেঁটে দেখতে অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। অথচ তোমরা এখন কত সহজেই গুরম্নত্বপূর্ণ ও দুর্লভ এই ছবিগুলো, এই পাণ্ডুলিপিগুলো এবং বিখ্যাত সাহিত্যিকদের এই কীর্তিগুলো দেখতে পারছ।"
লেখক : অনিক তরফদার
পাঠকের মতামত:
- দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা
- গৌরীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন সোমনাথ সাহা
- রাজারহাটে জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দ্দী বাপ্পি চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- দেবহাটায় আল ফেরদৌস আলফা, আশাশুনিতে জিএম মোস্তাকিম ও তালায় ঘোষ সনৎ কুমার নির্বাচিত
- দিনাজপুরে মিনিবাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে বাইসাইকেল আরোহী নিহত
- সালথায় ওয়াদুদ মাতুব্বর, মুকুল হোসেন ও মোরশেদা খানম নির্বাচিত
- নগরকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন কাজী শাহ্ জামান বাবুল
- কুমারখালীতে আব্দুল মান্নান খান, দৌলতপুরে বুলবুল আহমেদ চৌধুরী টোকেন ও মিরপুরে এ্যাড. আব্দুল হালিম চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- দিনাজপুরে বাবু, আফসার, বিপু ও ফারুক উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- দিনাজপুরে পৃথক ঘটনায় নারীসহ তিনজনের মৃত্যু
- আগৈলঝাড়ায় আনারস প্রতীকের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা
- আলফাডাঙ্গা আসাদুজ্জামান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ
- ভোটকেন্দ্রে হাতুড়ি প্রদর্শন, যুবক জেল হাজতে
- ফরিদপুরে বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্র পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার
- ‘শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জাল হলে কঠোর ব্যবস্থা’
- শ্রীমঙ্গলে হামলা ও বাড়ির প্রাচীর ভাঙার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- ধামরাইয়ে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ
- বাগেরহাটে ভোটকেন্দ্রে এজেন্টকে মারপিট, আ.লীগ নেতার কারাদণ্ড
- পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেলেন ফরিদপুরের ৪৮ প্রার্থী
- রাজবাড়ীর তিন উপজেলায় ভোটার উপস্থিতি কম
- চাটখিলে অনিয়মের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন, জুতা মিছিল
- দ্বিতীয় ধাপে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে: সিইসি
- সোনাইমুড়ীতে ৬ নির্বাচন কর্মকর্তা আটক, জাল ভোট দেওয়ায় ২ জনের কারাদণ্ড
- ‘কোরবানির ঈদের আগে ভোজ্য তেলের দাম বাড়বে না’
- সালথায় বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন ডিসি-এসপি
- সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- ‘দেশে চালের উৎপাদন ৪ গুণের বেশি বেড়েছে’
- ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার
- সাতক্ষীরার ৩ উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ
- নাশকতা মামলায় জামায়াত নেতা আজহারসহ ১১ জনের কারাদণ্ড
- লক্ষ্মীপুরে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
- সালথা উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ
- রাইসির মৃত্যুতে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক বৃহস্পতিবার
- ওয়ালটন নিয়ে অ্যাকশনধর্মী ধামাকা দেখালেন আমিন খান
- দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা
- বঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের আলোকিত প্রদীপ রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি
- রিকশা-ভ্যানের প্যাডেলে মুক্তিযোদ্ধার জীবনযুদ্ধ
- চাঁদপুরে উত্তাপের মাঠে নিরুত্তাপ ভোট
- জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত মুমিনের
- ‘নিপুণের পেছনে বড় শক্তি আছে’
- ‘বিয়ের পর আমার কাজের মান ভালো হয়েছে’
- ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি যে, শাস্তি পেতে হবে’
- ‘ভিসানীতির অধীনে আজিজ আহমেদকে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র’
- ‘আমরা যেন হাল না ছাড়ি, বুকে বল নিয়ে চলি’
- চুয়াডাঙ্গার দুটি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে, ভোটার উপস্থিতি কম
- লক্ষ্মীপুরের দুই উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে
- আজ লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, দ্বিমুখী লড়াইয়ের আভাস
- নড়াইল সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস
- প্রথমবার এলপিএলে মোস্তাফিজ, খেলবেন ডাম্বুলার হয়ে
- শ্রীনগরে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দোয়াতকলমের নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !