E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘মালালা ইউসুফজাই’ পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশি লুনা

২০১৬ জুলাই ১৪ ১৮:৩০:৩৬
‘মালালা ইউসুফজাই’ পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশি লুনা

নিউজ ডেস্ক : প্রথমবারের মতো ‘মালালা ইউসুফ জাই অ্যাওয়ার্ডের স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত এক তরুণী।

নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সম্পৃক্ত সংগঠক ও সংগঠনের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার পান বাংলাদেশি লুনা রহমান।

উল্লেখ্য, ১২ জুলাই বিশ্বে বেশ ঘটা করেই পালিত হয় পাকিস্তানের নোবেল জয়ী তরুণী মালালা ইউসুফজাইয়ের জন্মদিন। এবার সে জন্মদিন একটু অন্যভাবে পালন করল বিশ্বের রাজধানী হিসেবে পরিচিত শহর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক।

নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাজিওর স্ত্রী কারলিন ম্যাকরে একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে পরিচিত। তারই উদ্যোগে এবার প্রথমবারের মতো এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয় নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের নামে।

মঙ্গলবার নিউইয়র্ক শহরের সিটি হলে ‘মালালা ইউসুফ জাই অ্যাওয়ার্ড গিভিং সেরিমনি’ অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক ছিল ‘কমিশন অন জেন্ডার ইকুয়িটি ও এনওয়াইসি ফার্স্ট লেডি কারলিন ম্যাকরে’।

পুরস্কার পাওয়া সেরা তিনজনের মধ্যে অন্যতম ছিলেন লুনা। পুরস্কার গ্রহণের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি বলেন, ‘এ পুরস্কার আমাকে বহুদূর নিয়ে যাবে।’

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষা, মুসলিম ও অভিবাসী নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গিকারও করেন লুনা।

কুইন্সের রিচমন্ড হিলের বাসিন্দা লুনা রহমান হাইস্কুল গ্রাজুয়েট সম্পন করেছেন। এরইমধ্যে নারী অধিকার আন্দোলন কর্মী হিসেবে তার সফলতার পুরস্কার গ্রহণ নতুন স্বপ্ন জাগিয়ে তুলেছে। সাউথ এশিয়ান ইয়্যুথ অ্যাকশন-সায়া, ডেসিস রাইজিং আপ অ্যান্ড মুভিং, টার্নি পয়েন্ট ফর ওমেন ও এশিয়ান ওমেনস সেন্টারের হয়ে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এই কৃতিত্ব অর্জন করেন লুনা।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় তালেবান জঙ্গিদের এলাকায় বসে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার পক্ষে ব্লগে লেখালেখি করে মালালা যখন পশ্চিমা বিশ্বের নজর কাড়েন, তখন তার বয়স মাত্র ১১। কিন্তু নারী শিক্ষার পক্ষে কথা বলায় তাকে প্রাণনাশের হুমকির মুখে পড়তে হয়।

২০১২ সালের ৯ অক্টোবর সোয়াত উপত্যকার মিনগোরাত এলাকায় মালালা ও তার দুই বান্ধবীকে স্কুলের সামনেই গুলি করে তালেবান জঙ্গিরা। পাকিস্তানে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করে বুলেট সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হলেও পরে যুক্তরাজ্যের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ওই ঘটনা বিশ্বেজুড়ে আলোড়ন তোলে, মালালার স্বপ্ন সফল করতে ২০১২ সালের ১০ নভেম্বরকে ‘মালালা দিবস’ ঘোষণা করে জাতিসংঘ।

তার সে কাহিনী বিশ্বজুড়ে প্রচারিত হলে পিছিয়ে পড়া নারীদের মনোবল বৃদ্ধির প্রতীক হয়ে উঠেন মালালা। এরপর ২০১৪ সালে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে শান্তিতে নোবেল জয় করেন তিনি।

(ওএস/এএস/জুলাই ১৪, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test