E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পলাশবাড়ীতে আলু চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক

২০১৮ মার্চ ০১ ১৮:২০:৫৮
পলাশবাড়ীতে আলু চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : পলাশবাড়ীতে ভার্মি কম্পোষ্ট ও সবুজ সার প্রয়োগ করে আলু চাষ করায় বাম্পার ফলনে লাভবান হচ্ছেন কৃষক।  

জানা গেছে, পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীমারী গ্রামের কৃষক হাসেম আলী তার ৬৫ শতাংশ একটি পতিত জমিতে গত অগ্রহায়ণ মাসে কাটিলাল জাতের আলু চাষ করেন।

সে জমি তৈরির সময় রাসায়নিক সার প্রয়োগ না করে ওই জমিতে অনেক আগে সবুজ সারের জন্য ধইঞ্চা বীজ বপন করেন। জমিতে আলু লাগানোর আগে ধইঞ্চা সবুজ সারের জন্য মাটিতে মিশিয়ে দেন।

এছাড়াও তার নিজস্ব তৈরি করা ভার্মি কম্পোষ্ট সার ও গোবর সার জমিতে চাষের পূর্বে ছিটিয়ে দেন। আলু বীজ রোপণের পরপরই চারা গাছ আকর্ষণীয় ও বড় হয়ে ওঠে। কিছুদিন পর সেচ দিয়ে জমিতে সামান্য ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা হয়। এতেই আলুর গাছ পরিপক্ষ হয়ে ওঠে।

আলুর গাছ এত বড় হয় যে, আশেপাশের গ্রামের কৃষকরা ওই জমি দেখার জন্য ভিড় জমায়। এই প্রযুক্তিতে পলাশবাড়ী উপজেলায় কয়েকশ’ কৃষক আলু চাষ করেন। ফলনও ভালো হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হয়েছে।

কৃষক হাসেম আলী জানান, উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শে আলু চাষ শুরু করি। কোন রকম রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই আবাদ করেছি। ফলন ভালো হওয়ায় আমি খুশি। ইতিমধ্যে জমি থেকে আলু উত্তোলন করা হয়েছে। প্রতিটি আলু ২শ’ থেকে ৪শ’ গ্রাম পর্যন্ত ওজন হয়েছে। ৬৫ শতাংশ জমিতে আলু হয়েছে প্রায় ২শ’ মণ। ওই জমিতে আলুর চাষাবাদ করতে বীজ, ভার্মি কম্পোষ্ট সার, গোবর সার ও সবুজ সার এবং পরিচর্যা বাবদ ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা।

বর্তমানে উৎপাদিত আলুর বাজার দর হিসেবে দাম প্রায় ১ লাখ টাকা। মাত্র স্বল্প টাকায় অল্প দিনে ৭৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। এছাড়াও ওই জমিতে আলু চাষের আগে আরও ৩টি ফসলের আবাদ করা হয়েছিল। এ থেকেও লাভবান হয়েছি।

কৃষক হাসেম আলী আরও জানান, তার এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করায় এলাকার অনেকেই এই প্রযুক্তি গ্রহণের জন্য এসে পরামর্শ নিচ্ছেন। নতুন নতুন প্রযুক্তিতে চাষাবাদ করায় গত ০৬/০৭/২০১৭ইং তারিখে আমির আলীকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক প্রদান করেছেন।

(এসআইআর/এসপি/মার্চ ০১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test