E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দিনাজপুরে সবুজ ধানে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন

২০২১ এপ্রিল ১৯ ১৬:৪৯:০৮
দিনাজপুরে সবুজ ধানে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : দিনাজপুরে সবুজ ধানে কৃষকরের স্বপ্ন দোল খাচ্ছে। আমনের ভালো দাম পাওয়ায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতেও দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলে ধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের। বোরো ফসলে সেচ ও পরিচর্য়া নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। দিগন্ত জুড়ে এখন শুধু বোরো ধানের বাড়ন্ত ক্ষেত। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবং সার ও সেচ নিশ্চিত হলে করোনা পরিস্থিতিতেও বোরো’র ভালো ফলনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দিনাজপুরে এখন দিগন্ত বিস্তৃত সবুজের সমারোহ বাড়ন্ত বোরো ক্ষেত। যেদিকে দু’চোখ যায়,সবুজ আর সবুজ।বোরো ফসলে সেচ ও পরিচর্য়া নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবং সার ও সেচ নিশ্চিত হলে করোনা পরিস্থিতিতেও বোরো’র ভালো ফলনের আশা করছেন তারা।

তবে, করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক কৃষক না পারছে,সময় মতো ক্ষেতে সেচ দিতে,না পারছে পরিচর্য়া করতে।উঠতি এ বোরো ধান নিয়ে তারা এক প্রকার বিপাকেই পড়েছেন।

ডবরল উপজেলার পুরিয়া গ্রামের কৃষক মো.মতিয়ার রহমান জানান, ‘আর মাত্র এক মাসের মধ্যেই বোরো ধান ঘরে উঠবে। এই সময় করোনায় লকডাউনের কারণে ঘরে বসে থাকলে চরম ক্ষতি হবে আমাদের। ধান ঘরে উঠাতে না পারলে অনেক কৃষক পরিবারকে সারাবছর এর খেসারত দিতে হবে। তাই করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকটে এখন অনেক কৃষক পরিবারের সদস্যরা নিজেরাই বাধ্য হয়ে ফসল পরিচর্যায় মাঠে নেমেছেন, তারা নিজেরাই মাঠে কাজ করছেন।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এস.এম.আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, দিনাজপুর জেলায় চলতি মৌসুমে এক লাখ ৭১ হাজার ৪’শ হেক্টও জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। কিন্ত চাষ হয়েছে আরো বেশি জমিতে।

চাষ করা হাইব্রিড এবং উফশি জাতের মধ্যে রয়েছে হাইব্রিড ধানি গোল্ড, তেজগোল্ড, হিরা-২ ও উফশী ব্রিধান-২৮, ২৯, ৫০, ৫৮, ৫৯, ৬১, ৬৩, বিনা ধান-১৪, সম্পা কাটারি এবং জিরাশাইল। এই বোরো থেকে এবার ৭ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।

করোনা পরিস্থিতিকে নজরদারিতে রয়েছে জেলার কৃষি সেক্টর। এ বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে দাবী কৃষি বিভাগের।

দিগন্ত বিস্তৃত এই ফসলেই জানান দিচ্ছে, এবার এ অঞ্চলে বোরো চাষাবাদ ভালোই হয়েছে।সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে, সার ও সেচ নিশ্চিত হলে এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার এ অঞ্চলে রোরো ধানের ভালো ফলন হবে বলে মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্টরা।

(এস/এসপি/এপ্রিল ১৯, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test