E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আঁধারেও আশা আউশের বাম্পার ফলনে

২০২১ আগস্ট ০৬ ১৮:৩৮:০৫
আঁধারেও আশা আউশের বাম্পার ফলনে

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে পাকা ধান কাটা। এ বছর ধানের বাজার দরও ভালো। 

করোনার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আউশের কাঙ্খিত ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। দুর্যোগের মাঝেও সোনালী ধানের সুগন্ধ কৃষকদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আশা জাগায়। বিষাদের সুর ছাপিয়ে প্রতিটি ধানের সোনালী শীষ থেকে আশার আলো ঠিকরে বেরোচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বোরো ধান কাটার পর ও রোপা আমন রোপণের মধ্যবর্তী সময় উপজেলার বেশির ভাগ জমি পতিত থাকতো। এসব জমিতে হারিয়ে যাওয়া আউশ ধান নতুন রূপে কৃষকের মাঝে ফিরে এসেছে কৃষি বিভাগের তৎপরতায়। এ বছর উপজেলার রের্কড পরিমাণ ৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। কৃষকদের কম সময়ে অধিক ফলন হয় এমন জাতের ধান চাষের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের জাতের মধ্যে রয়েছে ব্রি ধান-৪৮, ব্রি ধান-৮২ ও বিনা- ১৯ জাতের ধান। এ ধান রোপণের প্রায় ১১০ দিনে ফসল কাটার জন্য উপযোগী হয়ে উঠে। তাই আগামীতে আউশের আবাদ আরো বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলার বানিয়াগ্রামের কৃষক নাজির হোসেন জানান, তিনি ৩৫ শতাংশ জমিতে ব্রি-৪৮ জাতের আউশ ধানের চাষ করেছেন। এতে তাঁর খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা। জমিতে ধান পেয়েছেন প্রায় ১৫ মণ। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সে হিসেবে ভালো লাভের প্রত্যাশা করছেন। তিনি আরোও জানান, আউশ কাটার পর একই জমিতে রোপা আমন রোপণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আচমিতা গ্রামের কৃষক আসাদ মিয়া বলেন, আউশ ধানের ক্ষেতে আলাদা সেচের প্রয়োজন হয় না। এছাড়া পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় উৎপাদন খরচও কম। এবার ফলন প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়েছে।

উপজেলার বানিয়াগ্রাম ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল হক বলেন, এ বছর আউশ ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক কৃষকের জমিতে গিয়ে ফসলের তদারকি করেছি। পাশাপাশি মাঠ দিবস, প্রশিক্ষণ, উঠান বৈঠকসহ কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মুকশেদুল হক জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ও কৃষি মন্ত্রীর তৎপরতায় সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে কৃষি কার্যক্রম। ফলন ভালো, উৎপাদন খরচ কম ও অব্যাহত সরকারী প্রণোদনার ফলে আউশ ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। এ বছর উপজেলায় রের্কড পরিমাণ জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে, ফলনও হয়েছে ভালো। ফলে আউশ চাষে কৃষকেরা লাভবান হবেন।

(ডিডি/এসপি/আগস্ট ০৬, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test