E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঠাকুরগাঁওয়ে বোরো বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা

২০২২ জানুয়ারি ০৯ ১৩:৩১:১০
ঠাকুরগাঁওয়ে বোরো বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : গত ৮-৯ দিন ঠাকুরগাঁওয়ে টানা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলা নষ্টের উপক্রম হয়েছে। এছাড়াও কুয়াশা পড়ার কারনে বীজতলায় ঠান্ডা পানি জমছে। এই পানির কারণে চারা তুলনামুলকভাবে বড় হচ্ছে না। মৌসুমের শুরুতেই এমন হওয়ায় কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় পরেছেন।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এবছর সতর্কতামুলক ব্যবস্থা হিসেবে বীজতলা প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে করে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে বলে ধারণা করছেন তারা। ঠাকুরগাঁওয়ে বেশ কয়েকদিন থেকে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাপমাত্রা ৮ থেকে ২৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। এ অবস্থায় জেলার কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা নষ্টের আশংকা করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, ইতিমধ্যে কৃষকদের শুকনো, ভেজা, ভাসমান তিন ধরনের বীজতলার বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। বীজতলা তৈরীতে স্থান, জমি তৈরী, শেড তৈরী, সার প্রয়োগ, বীজ বপন, বীজ জাগ দেয়াসহ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে কৃষকদের। এছাড়াও শুকনো বীজ একটানা কত ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং কোন জাতীয় স্থানে রাখতে হবে সে বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য তাদের প্রদান করা হয়। পাশাপাশি ভাল চারা উৎপাদনের জন্য বীজের ভ্রুণজাগরিত বিষয়ে দিক নির্দেশনা নিয়মিত প্রদান করা হয়।

সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের লস্করা গ্রামের কৃষক হরেন জানান, প্রত্যেক বছর কমপক্ষে আড়াই বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগান। এ বছরও তিনি বোরো ধানের বীজতলা তৈরী করেছেন। তীব্র শীতে চারা মারা যাওয়ার আশংকা করছেন। তবে শীতের প্রকোপে চারাগুলি বড় হচ্ছে না বলে জানান তিনি। শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেলে চারা আরও ক্ষতিগ্রস্তহবে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাসেল ইসলাম জানান, এ বছর ঠাকুরগাঁওয়ে বোরো বীজতলার জন্য ২ হাজার ৭৯২ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৮১৫ হেক্টর জমিতে। অন্যদিকে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয় ৫৯ হাজার ১১৪ হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৩ মেট্রিক টন। যা গত বছরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৯০ মেট্রিক টন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, কৃষি বিভাগ থেকে ইতিমধ্যে কৃষকদের বিভিন্ন তথ্য প্রদানসহ সহযোগিতা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত শীতের কারণে কোল্ড ইনজুরিতে বোরো বীজতলার তেমন একটা ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তিনি জেলার কৃষকদের প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দেওয়ার প্রশংসা করে জানান, বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমনের মত বোরো ধানেরও বাম্পার ফলন হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।

(এফআইআর/এএস/ ডিসেম্বর ৯, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test