E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সালথায় কুল চাষ করে সফল নাসিম মিয়া

২০২২ জানুয়ারি ১০ ১৬:১৪:৫৬
সালথায় কুল চাষ করে সফল নাসিম মিয়া

আবু নাসের হুসাইন, সালথা : ফরিদপুরের সালথায় ৬ একর জমিতে কুল চাষ করে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন খন্দকার ওয়ালিউর রহমান নাসিম মিয়া ও তার পরিবার। প্রথম বছরে কুলের ফলনও হয়েছে ভালো। বাজারে কুলের ব্যাপক চাহিদা ও ভাল দাম পাবে। তাই হাসি ফুটে উঠেছে বাগান মালিকদের মুখে। এ অঞ্চলে দিন দিন বাড়ছে কুল চাষ।

কুল চাষ করেছেন উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের মিয়ার গট্টি গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মিয়া বাড়ির সন্তান নাসিম মিয়া। তিনি একটি বায়িং হাউজে চাকুরী করেন। চাকুরীর পাশাপাশি তিনি ৬ একর জমিতে গড়েছেন কুলের বাগান।এসব বাগান দেখাশুনা করেন ছোট ভাই খন্দকার আনিছুর রহমান ও খন্দকার সিদ্দিকুর রহমান আরিফ মিয়া।

৬ একর জমিতে রয়েছে সাড়ে ৪হাজার বল সুন্দরী, কাশ্মিরি আপেলসহ বিভিন্ন জাতের কুলে ভরে আছে বাগান। আর, এসব বাগান থেকে কুল কিনতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি কেজি কুল প্রকার ভেদে ৭০টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হবে।

সম্প্রতি মিয়ার গট্টি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, একটি বাগানে সারি সারি কুলগাছ। আকারে ছোট। বড়জোর চার থেকে পাঁচ ফুট। কুলের ভারে নুয়ে পড়েছে গাছগুলো। বাঁশ দিয়ে ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে। বাগান থেকে কুল তুলছিলেন বাগানের মালিক খন্দকার ওয়ালিউর রহমান নাসিম মিয়ার ছোট ভাই খন্দকার সিদ্দিকুর রহমান আরিফ মিয়া। এসময় উপজেলা কৃষি অফিসার জিবাংশু দাস, উপসহকারী কৃষি অফিসার আনন্দ কুমার দাস কুল বাগান পরিদর্শনে যান।

কুল চাষে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। খন্দকার সিদ্দিকুর রহমান আরিফ মিয়া জানান, চলতি মৌসুমে বারো বিঘা জমিতে উন্নতজাতের বলসুন্দরী ও কাশ্মীরি কুলের চাষ করেছেন। সব কুলে তিনি বিঘাপ্রতি ১৫০ থেকে ২০০ মণ হারে ফলন পাবেন বলে আশা করছেন। এ কুল বাগান রোপণ ও পরিচর্যায় প্রতি বিঘায় তাঁর গত এক বছরে খরচ হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হয়েছে।

বিঘাপ্রতি ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা করে কুল বিক্রি হবে। এবার লাভ কিছুটা কম হলেও আগামী বছর লাভ বেশি হওয়ার আশা করছেন তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জীবাংশু দাস বলেন, বর্তমানে এ উপজেলায় বিঘাপ্রতি ১৫০ থেকে ২০০ মণ কুল উৎপাদন হয়। প্রতিবছর কুলচাষি বাড়ছে। কুল চাষে সবজির চেয়ে বেশি লাভ হয়। তা ছাড়া কুল চাষ পতিত জমিতেও হয়। এ জন্য কৃষকেরা বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষে ঝুঁকছেন।

(এন/এসপি/জানুয়ারি ১০, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test