E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সালথায় পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত চাষিরা

২০২৩ আগস্ট ১০ ১৭:৪৭:০৬
সালথায় পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত চাষিরা

আবু নাসের হুসাইন, সালথা : ফরিদপুরের সালথায় পাটের আঁশ ছাড়ানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। সকাল থেকে সারাদিন চাষিরা নদী-নালা ও খাল-বিলে পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছেন। বৃষ্টি ও পানি না থাকায় পাট কাটা ও জাগ দেওয়া নিয়ে শংসয় কিছুটা কমলেও পাটে খরচের পরিমাণ বেড়ে গেছে। তারপরও স্বপ্নের সোনালী আঁশ দেখে চাষিদের স্বস্তি ফিরে এসেছে।

জানা যায়, এই উপজেলার মানুষের আয়ের প্রধান দুটি অর্থকরী ফসল হচ্ছে পাট ও পেয়াজ। পাট ও পেঁয়াজ চাষ করে অধিকাংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। এবছর এই উপজেলায় ১২ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। বর্তমান চলছে পাট কাটা ও পাটের আঁশ ছাড়োনোর কাজ। এবছর পাট উৎপাদণে চাষিদের অনেক কষ্ট পোহাতে হয়েছে। প্রথমদিক থেকেই ছিলো না তেমন কোন বৃষ্টি, সেচের মাধ্যমে বেড়ে ওঠে পাট গাছ। পাট কর্তনের শুরুতে ও পাট পঁচানোর সময় নেই কোন পানি। অল্প কয়েকদিন ধরে নদী-নালা ও খাল-বিলে কিছু পানি এসেছে। এই পানিতেই পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছেন চাষিরা।

উপজেলার কাইয়ুম মোল্যা ও সিরাজুল ইসলাম নামে দুই পাটচাষি বলেন, পাট কাটার সময় কোন পানি ছিলো না। তাই পাট কেটে যানবাহনে করে খালে ও নদীতে পাট জাগ দেওয়া হয়েছে। আবার কিছু পুকুরে পানি দিয়ে পাট জাগ দেওয়া হয়। এতে করে খরচ বেড়ে গেছে। সেই তুলনায় পাটের দাম বাড়ানোর দাবী করছেন চাষিরা।

উপজেলা উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল বারী বলেন, প্রথমে বৃষ্টি না থাকায় পাটচাষিদের সেচ বেশি লেগেছে। আবার পাট কাটার সময় জমিতে পানি নেই। পাট কেটে অন্যত্রে নেওয়া লাগছে। সেই হিসেবে পাটের খরচ কিছুটা বেশি হয়েছে। এখন পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার সুদর্শন শিকদার বলেন, এবার উপজেলায় ১২ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পাট আবাদের শুরু থেকেই চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এখন চলছে পাট কর্তন ও পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ। পাটের ফলনও ভালো হচ্ছে।

(এএন/এসপি/আগস্ট ১০, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test