E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

তাপমাত্রা ৭.৫ডিগ্রী

রাজারহাটে ঘন কুয়াশায় ইরি-বোরো বীজতলার চারা বিবর্ণ, দুঃশ্চিন্তায় কৃষক

২০২৪ জানুয়ারি ২৩ ১৫:৫০:৩২
রাজারহাটে ঘন কুয়াশায় ইরি-বোরো বীজতলার চারা বিবর্ণ, দুঃশ্চিন্তায় কৃষক

প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট : কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মানুষ মাঝারি শৈত প্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে। মাঘের শীতে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে জনজিবন। ঘন কুয়াশা ও শীতের দাপটে ইরি-বোরো আবাদ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। এবারে চলতি ইরি-বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১২ হাজার ২৪ হেক্টর। এর বিপরীতে বীজ তলা তৈরি করা হয়েছে ৭৫২ হেক্টর। কিন্তু ঘন কুয়াশায় অনেকের বীজতলার চারা বিবর্ণ ধারণ করেছে। ঘন কুশায়ার কারণে কোন কীটনাশকও কাজ করছে না। তাই হীমের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে স্বচ্ছ সাদা রঙের প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখছেন বীজতলা। আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতিতে জমিতে চারা রোপনের সাহস পাচ্ছে না কৃষকেরা।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গত সোমবার এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
জীবন-জীবিকার তাগিদে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছে শ্রমজীবি মানুষজন। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিস্তা ও ধরলার নদীর পাড়ের চরাঞ্চলের মানুষজন।
ঘন-কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। প্রচন্ড ঠান্ডায় মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন।

জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট,সর্দিকাশিসহ শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে থাকায় গত বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রয়েছে জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের প্রায় ২শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এদিকে রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের চাকিরপশার তালুক ব্যাপারি পাড়া গ্রামের কৃষক হানিফ বলেন, ঘন কুয়াশায় ইরি-বোরো বীজতলার চারা হলুদ বর্ণ হয়েছে। কীটনাশক দিয়েও কোন লাভ হয় নাই।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাস জুড়েই তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ২৫ জানুয়ারীর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও আবার হ্রাস পেতে পারে।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুন্নাহার সাথী বলেন, এবারে চলতি ইরি-বোরো লক্ষ্যমাত্র নির্ধারন করা হয়েছে ১২ হাজার ২৪৫ হেক্টর। ৭৫২ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে অনেক বীজতলার চারা বিবর্ণ হয়েছে। সে সকল কৃষকদের জীপসাম স্প্রে করতে বলা হয়েছে। তবে রোদ হলে স্বাভাবিক হতে পারে।

(পিএস/এসপি/জানুয়ারি ২৩, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৮ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test