ভৈরবে বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষক
.jpg)
সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : ভৈরব উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাড়ির আঙ্গিনাসহ অনাবাদি জমিতে বস্তায় আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। এ বছর কালিকাপ্রসাদের ঝগড়ারচর, আতকাপাড়া, বাঁশগাড়ি, গজারিয়া ও মানিকদী ইউনিয়নে ৬ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছেন ওই এলাকার কয়েকজন কৃষক।
এ পন্থায় আদা চাষে ব্যাপক লাভবান হবে কৃষক। বস্তা প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা খরচ হয়। প্রতি বস্তায় গড়ে এক থেকে দেড় কেজি আদা উৎপাদন হয়। সে হারে ১শত টাকা দরে বিক্রি করলেও অনেক টাকা লাভ হবে এমনটাই মনে করছেন আদা চাষীরা। কিন্তু আদার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে যায়। তাই লাভের সংখ্যাও বেশী হবে। বস্তায় আদা চাষ বৃদ্ধি পেলে এক সময় আমাদের দেশ থেকেও আদা বিদেশে রপ্তানী করা সম্ভব হবে বলছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের মধ্যে সারি সারি বস্তা দিয়ে সাজানো রয়েছে আদার বস্তা। বস্তায় আদার ফলনও শুরু হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে এ বছর বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাদের পতিত জমি, বসতবাড়ির আঙ্গিনা, কিংবা সুউচ্চ ভবনের ছাদেও আধুনিক পদ্ধতিতে বস্তায় আদা চাষ করছেন। এ বছর কালিকাপ্রসাদ, গজারিয়া ও শিবপুর ইউনিয়নের প্রায় ৬ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছেন।
এ ভাবে আদা চাষ করলে তুলনামূলক ভাবে রোগ বালাই হয়না এবং খরচও অনেক কম হয়। চাষের জায়গাটি ছায়াযুক্ত হওয়ায় ফলনও ভালো হয়। প্রতি বস্তায় সাধারণত ১২-১৫ গ্রাম ওজনের ১-২টি কুঁড়ি বিশিষ্ট ৩টি করে কন্দ লাগানো যায়। এসব কন্দ থেকে প্রতি বস্তায় ১ কেজি করে হলেও ৬ হাজার কেজি আদা উৎপাদন হবে। যদিও একেকটি বস্তায় দেড় থেকে ২ কেজি আদা হওয়া সম্ভব। বস্তায় আদা চাষ দেখে অনেকেই বাসা বাড়ির ছাদ, বাড়ির আঙ্গিনা, অনাবাদি পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষ করছে। তা দেখে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মাঝেও আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। বস্তায় উৎপাদিত আদা পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও বাণিজ্যিক ভাবে বাজার জাত করতে পারলে আয় হবে লক্ষ লক্ষ টাকা। এতে করে দেশে আদার চাহিদা কিছুটা হলেও পুরণ হবে। বস্তায় আদা চাষে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়াতে উঠান বৈঠক ও পরামর্শ দিতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ।
এ বিষয়ে কথা হয় কৃষক এনামুল হক, আব্বাস মিয়া ও আল আমিন এর সাথে। তারা বলেন, আমরা কৃষি অফিসের পরামর্শে আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায় পতিত জমিতে বস্তার মাঝে আদা চাষ করেছি। প্রথমে ভেবেছিলাম বস্তায় আদা চাষ করে আবার না লোকশানে পড়ি। এখন দেখছি ফলন ভাল হচ্ছে। একেক বস্তায় মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ টাকা খরচ হয়। ফলন হয় একেক বস্তায় কম করে হলেও এক থেকে দেড় কেজি আদা। আমরা প্রায় ২ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছি। উৎপাদন ভালো হলে আমাদের অনেক টাকা আয় হবে।
বস্তায় আদা চাষ করা যায় খরচও কম এমনটা জানতে পেরে আগ্রহ বেড়েছে ভৈরবের একজন চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান কবিরের। কথা হয় তার সাথে তিনি বলেন, আমি পেশায় একজন চিকিৎসক। আমার চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি কৃষির প্রতি আমার অনেক আগ্রহ ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ কারো বাড়ির আঙ্গিনা এমনকি অনাবাদি জমি যেন খালি না রাখে। কিছু একটা হলেও যেন আবাদ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমার অনাবাদি জমিসহ বাড়ির আঙ্গিনাতেও বিভিন্ন সবজি বাগান আর ফলদ গাছও লাগিয়েছি। বস্তায় আদা চাষ এটা আমার কাছে নতুন পদ্ধতি বলে মনে হয়েছে। কৃষি অফিসার আকলিমা বেগমের পরামর্শ নিয়ে আমার বাড়ির আঙ্গিনাতে ১ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছি। খরচ মাত্র বস্তা প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। ১ হাজার বস্তায় কম করে হলেও আশা করছি প্রায় দেড় থেকে ২ হাজার কেজি আদা উত্তোলন করা যাবে। এটা সম্পূর্ণ দেশি জাতীয় আদা।
এ আদা দিয়ে আমার নিজের চাহিদা পুরণ করেও আশা করছি আমার এলাকার চাহিদাও পুরণ করতে পারব। তাছাড়া কৃষির প্রতি আমার আগ্রহ আরো বিভিন্ন ভাবে। আমার বাড়িতে বাকি আরো কিছু জায়গা ছিল। সে জায়গাতে আমি বিভিন্ন সবজি বাগান ও ফলদ গাছ লাগিয়েছি। সেখান থেকে ভাল ফলন পাচ্ছি। সেগুলো নিজের পরিবারের চাহিদা পুরণ করে প্রতিবেশিদের মাঝেও দিতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।
উপজেলা কৃষি অফিসার আকলিমা বেগম বলেন, এ বছর ভৈরবে প্রায় ৬ হাজার বস্তায় আদা চাষ হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের পরামর্শ ও ঊঠান বৈঠকসহ সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে বস্তায় আদা চাষে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে আগ্রহ বাড়াতে কাজ করছেন। এ বছর উপজেলার কালিকাপ্রসাদ, শিবপুর, গজারিয়া, বাঁশগাড়ি, মানিকদী গ্রামে অধিক পরিমানে বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে। এ ভাবে আদা চাষ করতে কৃষকদের মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ টাকা খরচ হয়। একেকটি বস্তায় এক থেকে দেড় কেজি আদা পাওয়া যায়। এভাবে আদা চাষ করলে ফলন ভাল হয়। পোকা মাকড়ের উপদ্রব হয়না। এতে করে কৃষকরা অনেক লাভবান হতে পারবে।
এ আদা পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও বাণিজ্যিক ভাবে বাজারে বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হবে আদা চাষীরা। বর্তমান সময়ে বস্তায় আদা চাষ বাণিজ্যিক কৃষিতে চলে যাচ্ছে। বস্তায় আদা চাষ বৃদ্ধি পেলে আমাদের দেশে বাহির থেকে আদা আমদানী অনেকটাই কমে যাবে। বস্তায় আদা চাষ বৃদ্ধি পেলে এক সময় আমাদের দেশ থেকেও আদা বিদেশে রপ্তানী করা সম্ভব হবে। আমরা আশা করছি এবছরের তুলনায় সামনের বছরে বস্তায় আদা চাষ বহুগুন বৃদ্ধি পাবে।
(এসএস/এএস/জুলাই ০৯, ২০২৪)
পাঠকের মতামত:
- ‘রাজউককে রাজনৈতিক চাপে রাখা যাবে না’
- পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’ অনুষ্ঠিত হয়
- টানা রেকর্ডের পর কমলো স্বর্ণের দাম
- চাটমোহরে পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি
- ‘গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’
- চাটমোহরে জি আর চাল বরাদ্দে অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন
- ঈশ্বরদীতে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন
- বিনামূল্যে ৪০৬ চক্ষু রোগীকে চিকিৎসা, ৩৫ জনের ছানি অপারেশন
- ‘দেশের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’
- ৮ বছর ধরে ভোগান্তিতে স্কুল শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী
- ঈশ্বরগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন সড়ক অবরোধ
- গাংনীর ইউএনও’র বদলি আদেশ বাতিলের দাবিতে এবার মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন
- মহম্মদপুরে প্যানেল চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন
- টাঙ্গাইল জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি মোশারফ হোসেন
- মহম্মদপুরে নহাটা আর পিপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সভাপতির পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্যান প্রদান
- পলাশবাড়ীতে ময়লা-আবর্জনার মধ্যেই রাতারাতি গড়ে উঠছে আদর্শ বিদ্যাপীঠ
- ফুলপুরে ৩ মাদককারবারি গ্রেপ্তার
- র্যাবের গুলিতে কলেজ ছাত্র নিহত, স্কুলছাত্র গুলিবিদ্ধ
- সাতক্ষীরায় কেমিকেল মিশিয়ে ঢাকায় পাঠানোর সময় ৫ ক্যারেট আম জব্দ
- ‘সমালোচনা থেকে শেখার চেষ্টা করছি’
- আশাশুনির ভূমিহীন পল্লীতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, ১৬ আসামি জেল হাজতে
- অর্থপাচারকারী ৭০ ভিআইপি শনাক্ত
- ঝর্না বেগমের খপ্পরে পরে স্বর্বশান্ত অনেক অসহায় পরিবার
- চাপ দিয়ে কুয়েট উপাচার্যকে অপসারণ করলে মানবে না শিক্ষক সমিতি
- ‘মার্কিন সহায়তা হ্রাসে রোহিঙ্গা সংকট আরও জটিল হয়েছে’
- জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় পুরোদমে শুরু হচ্ছে না কাজ, চরম ভোগান্তি
- সাংবাদিকের ওপর হামলা, বাড়িতে ভাঙচুর লুটপাট
- ঝিনাইদহে ছাত্রদলের সাবেক বর্তমান নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থীদের ঈদ পুর্নমিলনী
- জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের মার্কিন সম্মানজনক পুরস্কার, যা বললেন ট্যামি ব্রুস
- ঝিনাইদহে ৩’শ আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ
- প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফল ১৪ ডিসেম্বর
- টানা রেকর্ডের পর কমলো স্বর্ণের দাম
- মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে যোগ দিলেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা
- ‘দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে’
- নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২২ গজে নাসির
- পরীক্ষাকেন্দ্রে ১৪৪ ধারা, কোচিং-ফটোকপি বন্ধসহ একগুচ্ছ নির্দেশনা
- টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে খুলেছে অফিস-আদালত
- বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্কের আকাঙ্ক্ষা মোদির
- গরমকালে জন্ডিস রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি রোধে সতর্কতা প্রয়োজন
- ঈদের আনন্দ নেই ঈশ্বরদী জংশন ষ্টেশনের ভাসমান মানুষের জীবনে
- ১৭ মার্চ
- পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা
- গোল ‘চুরি’ করে সতীর্থের কাছে ক্ষমা চাইলেন রাফিনহা
- ‘পূর্ব পাকিস্তানের অরাজকতার জন্য শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগ দায়ী’
- ‘হাসিনার প্রেতাত্মারা দেশে অরাজকতা-বিশৃঙ্খলা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’