E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রায়পুরের সমবায়ী কৃষকরা ঋণ পাচ্ছে না

২০১৪ ডিসেম্বর ২৯ ১৭:৩৩:৪১
রায়পুরের সমবায়ী কৃষকরা ঋণ পাচ্ছে না

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : রায়পুর উপজেলায় চাহিদার তুলনায় কম তহবিল হওয়ায় ঋণ ৯৫ ভাগ সমবায়ী কৃষক তাদের সমিতি থেকে কৃষি ঋণ পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) আওতাধীন রায়পুর কেন্দ্রীয় সমিতিতে সুদের হার বার্ষিক শতকরা ১১টাকা হওয়ায় কৃষকরা এর সুফল পাচ্ছিলো। ঋণ না পাওয়ার কারণে অধিকাংশ সমবায়ী কৃষক মহাজনসহ বিভিন্ন এনজিও হতে বার্ষিক শতকরা ৩০ থেকে ৪০ ভাগ পর্যন্ত চড়া সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছে।

আর সুদের ভার বইতে গিয়ে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেক কৃষক। ক্ষেতে বাম্পার ফলন হলেও অনেক কৃষকের মুখে হাসি নেই। ক্ষেত থেকেই শোধ করতে হচ্ছে তাদের ধার-দেনা। বিআরডিবির রায়পুরে বর্তমান সমিতির তহবিলে ৩৩ লক্ষ টাকা আছে। এ টাকা আবর্তক ঋণ হিসেবে ৫ ভাগ সমবায়ী কৃষকদের মাঝে প্রদান করায় ৯৫ ভাগ কৃষক এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত বলে তারাও স্বীকার করেছেন। বিআরডিবি সূত্র জানিয়েছে ৩৮ লক্ষ টাকা খেলাপী থাকায় এবং চাহিদার তুলনায় কম তহবিল হওয়ায় সবাইকে ঋণ দেয়া যাচ্ছেনা ।

জানা যায়, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) আওতাধীন রায়পুর কেন্দ্রীয় সমতি লিমিটেডের নিবন্ধনকৃত কৃষি সমবায় সমিতির সংখ্যা ১০৮টি। কৃষকদের নিয়ে গঠিত ওই সমিতিগুলোর সদস্য সংখ্যা ৬ হাজারের অধিক। ৯৮ সন থেকে কৃষকদের মাঝে বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকার খেলাপি অবস্থায় পড়ে আছে। ঋণ মওকুফের আশায় অনেক সমবায়ী কৃষক পূর্বের নেওয়া ওই ঋণের টাকা বর্তমানেও পরিশোধ করতে গড়িমসি করছে। যার জন্য কেন্দ্রীয় সমিতির তহবিলে অর্থ সংকটের কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ৯৫ ভাগ কৃষকের মাঝে কৃষি ঋণ দেওয়া যাচ্ছে না।


দেবীপুর গ্রামের কৃষক থছলিম উদ্দিন জানান, মহাজনসহ বিভিন্নস্থান হতে বার্ষিক শতকরা ৩০ থেকে ৪০ ভাগ পর্যন্ত সুদে ঋণ নেওয়ায় আগাম ফসল বিক্রি করে ওই টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে তাদের ফসল উৎপাদনে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ কারণে অনেক তারা মুলধন হারিয়ে পথে বসেছেন। দেনার ভয়ে হতাশ হয়ে অনেকেই এলাকার বাহিরে গিয়ে অন্যের জমিতে কাজ করে দিন কাটাচ্ছেন।

রায়পুর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুল ফজল মোহাম্মদ মিরন বলেন, ঋণ মওকুফের আশায় অনেক সমবায়ী পূর্বের নেওয়া তাদের ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় এখনও ৩৮ লক্ষ টাকার মতো মাঠ পর্যায়ে ঋণ খেলাপি অবস্থায় পড়ে আছে। বর্তমানে সমিতির তহবিলে ৩৩ লক্ষ টাকা আছে। এ টাকা আবর্তক ঋণ হিসেবে ৫ ভাগ সমবায়ী কৃষকদের মাঝে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে।

রায়পুর কেন্দ্রীয় সমিতির চেয়ারম্যান মাষ্টার ছৈয়দুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, ঋণ না পাওয়ায় অধিকাংশ সমিতির কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। বাহির হতে চড়া সুদে নেওয়ায় ঋণ পরিশোধ ও আগাম ফসল বিক্রি করে কৃষকদেরকে ফসল উৎপাদনে বড় ধরনের লোকসান দিতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সমিতির তহবিলে সরকার অর্থ বরাদ্দ দিলে কৃষকরা স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে উপকৃত হবে।

(পিকেআর/এএস/ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test