E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আগাম বোরো ধান কাটা শুরু , হতাশা কৃষক

২০১৫ এপ্রিল ২১ ১৫:১৭:১০
আগাম বোরো ধান কাটা শুরু , হতাশা কৃষক

বরিশাল প্রতিনিধি :  প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবল থেকে রক্ষা পেলে গত কয়েক বছরের ন্যায় চলতি মৌসুমেও আগৈলঝাড়াসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। শষ্য ভান্ডার বলেখ্যাত আগৈলঝাড়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় ইতোমধ্যে আগাম রোপিত বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। এছাড়া ব্লকের জমিতে সদ্য প্রস্ফুটিত ধানের ছড়ার মিষ্টি ঘ্রাণে এখন মৌ-মৌ করছে দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ। উঠতি ফসলের দাম কম হওয়ায় কৃষকদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ যাবৎ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আগাম বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। ফলে কৃষক পরিবারের সদস্যরা ধান কাটায় এখন মহাব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। উপজেলার রাজিহারসহ বিভিন্ন হাট বাজারে হাইব্রিড (মোটা) ধান প্রতি মন বিক্রি হয়েছে ৫শ টাকা ও ব্রি-২৯ ধান (চিকন) বিক্রি হয়েছে মাত্র ৬শ টাকায়। উঠতি ফসলের ভাল দাম না পাওয়ায় কৃষক পরিবারগুলোর মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। সরকার বাজার মূল্য নির্ধারিত করলেও সরকারীভাবে ধান ক্রয় শুরু না হওয়ায় উৎপাদিত ফসলের বাজার মূল্য নিয়ে কৃষকেরা চরম হমাল মধ্যে রয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বোরো ফসলের সবুজ মাঠে পাকা ধানে এখন ক্রমেই সোনালী হয়ে উঠেছে। কোনো কোনো স্থানে আগাম রোপিত বোরো ধান কাটাও শুরু হয়েছে। রাজিহার গ্রামের কৃষক চিত্ত রঞ্জন রায় জানান, বোরো জমিতে এবার পোকার আক্রমন তেমন ছিলনা। সরকার সময় মতো সার, বীজ ও সেচকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় গত কয়েক বছরের ন্যায় এবারও বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা প্রকাশ করছেন।
ব্লক ম্যানেজার আলাউদ্দিন হাওলাদার জানিয়েছেন, গুটি ইউরিয়া সার প্রয়োগের মাধ্যমে আগাম চাষ করে তারা দুই শতকে দেড় মন করে ফলন পেয়েছেন। নমুনা কর্তনের পর এবার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর থেকে হেক্টর প্রতি ৭ মেট্রিক টনেরও অধিক ফলন ঘোষণা করা হয়েছে। যা গত বছরে তুলনায় অনেকগুন বেশি। আগৈলঝাড়া উপজেলার জোবারপাড় গ্রামের কৃষক জগদীশ বৈরাগীর বোরো ক্ষেতের ব্রি ধান-৫৯ কর্তন করে মঙ্গলবার সকালে কৃষক মাঠ দিবস পালন করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে মাঠ দিবসের উদ্বোধন করেন বরিশাল বিডিএস’র উপ-নির্বাহী কর্মকর্তা জেমস পি. বিশ্বাস। তিনি জানান, সিসা বিডি প্রকল্পের আওতায় আধুনিক কৃষি উন্নয়নের জন্য তারা বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলার ২৫টি উপজেলায় কাজ করছেন। তিনি আরো জানান, চলতি মৌসুমে ব্রি-৫৯ ধানের ফলন হয়েছে প্রতি হেক্টরে ৭.২ মেট্রিক টন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাসির উদ্দিন জানান, কোন প্রকার প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে চলতি বছর বোরো ধানের রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন হবে বলেও তিনি আশা করছেন। এছাড়াও তিনি বোরো ধান সাধারনত ৮০ ভাগ পাকলেই কেটে ফেলার জন্যও কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন। অন্যথায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ইরি-বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি বয়ে আনতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

(টিবি/পিবি/ এপ্রিল ২১,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test