E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শেরপুরে প্রদর্শনী প্লটের শস্য কর্তন

২০১৪ মে ১৪ ১৫:৫৫:৫৪
শেরপুরে প্রদর্শনী প্লটের শস্য কর্তন

শেরপুর প্রতিনিধি : গুটি ইউরিয়া ব্যবহারে সার কম লাগে, ধানের ক্ষেতে আগাছা ও পোকা মাকড়ের আক্রমণও কম হয়, ফলনও বাড়ে। ফলে উৎপাদন খরচও কম হয়। এতে অধিক ফলন পাওয়ায় কৃষকরাও লাভবান হন।

শেরপুরের গুটি ইউরিয়া প্রদর্শনী প্লটের শস্য কর্তন ও মাঠ দিবসের এক কৃষক সমাবেশে কৃষি বিশষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। ১৪ মে বুধবার ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা এলাকায় আইএফডিসির সহায়তায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণ প্রকল্প-আপি‘র আয়োজনে এ শস্যকর্তন মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
মাঠ দিবসে ওই এলাকার কৃষক হেজবুল্লাহ মিয়ার প্রদর্শনী প্লটের বিআর-২৯ জাতের ধান কাটা হয়। এতে গুড়া ইউরিয়া ব্যবহারে যেখানে একর প্রতি ফলন হয়েছে ৭৬ মণ। সেই একই একই জমিতে গুটি ইউরিয়া ব্যবহারে ফলন মিলেছে একর প্রতি ৮১ মণ ধান। কৃষক হেজবুল্লাহ মিয়া বলেন, গুটি ইউরিয়ার জমিতে কোন আগাছা হয়নি। ধান রোপনের পর মাত্র একবার সার দিতে হয়েছে। পোকামাকড়ের আক্রমনও ছিলোনা। সেচ খরচও অনেক কম লেগেছে। এতে ইউরিয়া ও পানির অপচয়ও রোধ হয়েছে।
শস্য কর্তন মাঠ দিবসে ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কোরবান আলী প্রধান অতিথি এবং আইএফডিসি প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ আবুল হোসেন মোল্লা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় কৃষক আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষক হেজবুল্লাহ মিয়া, সাংবাদিক আমিরুজ্জামান লেবু, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মজিবর রহমান, ফিল্ড মনিটরিং কর্মকর্তা কৃষ্ণ গোপাল বিশ্বাস প্রমুখ। এ শস্যকর্তন মাঠ দিবসে এলাকার শতাধিক কৃষক-কৃষানী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃষকদের মধ্যে গুটি ইউরিয়ার ব্যবহার সংক্রান্ত ক্যুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ী তিনজন আদর্শ কৃষককে আইএফডিসির পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয়।
(এইচবি/এএস/মে ১৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test