E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

'রাসায়নিক সার নয়, জৈব সার প্রয়োগে অধিক ফলন পাওয়া যায়'

২০১৬ মার্চ ০৪ ২১:২৪:৩০
'রাসায়নিক সার নয়, জৈব সার প্রয়োগে অধিক ফলন পাওয়া যায়'

কাপাসিয়া (গাজীপুর)প্রতিনিধি :অধিক মূল্যে ফসলের রাসায়নিক সার প্রয়োগ না করে, বিকল্প হিসেবে অল্প খরচে জৈব সার প্রয়োগে অধিক ফলন পাওয়া যায়। মানুষের দৈনন্দিনের পরিত্যাক্ত এবং অব্যবহৃত সম্পদ সমূহের প্রক্রিয়াকরণ, ব্যবহারের মাধ্যমে মূল্যবান সম্পদ যেমন বায়োগ্যাস, জৈব সার, মৎস, মুরগী ও পশু খাদ্য উৎপাদন করা যায়। এই সম্পদগুলো উৎপাদন ও বিপননে বিপুল সংখ্যক কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থান এবং সম্পদ সমূহের কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব অবস্থা বজায় রাখা সম্ভব।

দীর্ঘদিন গবেষণা করে এ ধারণাটি উদ্ধভাবন করেছেন বিজ্ঞানী মাহফুজুল কাদের এবং তিনি এর নাম দিয়েছেন শ্যামল বাংলা জৈব সার। তিনি বর্তমানে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব হিসেবে কর্মরত।

তিনি জানান, দেশের প্রায় ৮২ লক্ষ হেক্টর জমি চাষাবাদের জন্য বার্ষিক ৩৫ লক্ষ টন রাসায়নিক সার, ৫ লক্ষ টন বালাইনাশক এবং সমপরিমাণ আগাছানাশক এবং ছত্রাকণাশক ব্যবহৃত হয় থাকে। এ সকল ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ প্রকৃতির সকল উপাদান তথা মাটি, পানি এবং বাতাসকে দূষিত করে জীববৈচিত্রসহ পরিবেশে বহুবিধ বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে। তাই জীব প্রযুক্তিতে অনুজীবের খাদ্য হিসাবে বিশেষ মানের জৈব সার প্রয়োগ করে মাটিতে নির্ধারিত অনুজীবের বংশ বিস্তার করে। যারা মাটির খাদ্যোপাদানকে ভেঙে পানিতে দ্রবণীয় এবং উদ্ভিদের গ্রহণীয় খাদ্যরূপে রূপান্তর করে থাকে।

বিজ্ঞানী মাহফুজুল কাদের গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলে জানান, হেক্টর প্রতি ২৫০ কেজি শ্যামল বাঙলা জৈবসার প্রয়োগে ফসলের উৎপাদন ২৫-৫০% বেশী এবং জৈব সারের খরচ রাসায়নিক সারের চাইতে ৩৫% কম। রাসায়নিক সার এবং কীটনাশকের কারণে সৃষ্ট পরিবেশ দূষণকে জৈব সার প্রতিরোধ করে এবং মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে থাকে। দেশে প্রাপ্ত পরিত্যাক্ত এবং অব্যবহৃত জৈব ও অজৈব সম্পদের ৫/১ অংশে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের বার্ষিক সারের যোগান দেয়া সম্ভব এবং ৫ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান করা সম্ভব।

আজ শুক্রবার সকালে কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে শ্যামল বাংলা জৈব সারের কার্যকর ও লাভজনক প্রয়োগ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিজ্ঞানী মাহফুজ কাদের এ তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি। অন্যন্যদের মাধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক জামিল আহমেদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা, মুক্তিযোদ্ধা সামসুদ্দিন খান, উপজেলা মৎস্য অফিসার গোলাম কিবরিয়া, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় কুমার পাল, নাগরিক কমিটির কামাল উদ্দিন আহমেদ নান্নু প্রমুূখ। উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা।




(এসডি/এস/ফেব্রুয়ারি০৪,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test