E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পলাশবাড়ীতে কচুর ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

২০১৬ আগস্ট ২৯ ১৫:৩৬:২৯
পলাশবাড়ীতে কচুর ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে এই মৌসুমে কচুর ভলন ভাল হওয়ার কৃষকের মুখে হাসির ঝলক দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে এ উপজেলার সবজি খ্যাত এলাকার সদরের কালুগাড়ী ও কাশিয়াবাড়ী।

উপজেলায় আলু, পটল, করলা ও হলুদ সহ বিভিন্ন ধরণের মৌসুম ফসলের পাশা-পাশি এবারে এই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে চাষ করা হয়েছে বইকচু। গত বছরের তুলনা এবার কচুর চাষাবাদ অনেকটাই বেড়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। বাজারে বেড়ে গেছে কচুর কদর। এর ফলে কচু আবাদ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন পলাশবাড়ীর কৃষকেরা।

উপজেলার গোপালপুরের গ্রামের কচু চাষী হাবিবুর জানান, মৌসুমের শুরুতে কেজি প্রতি কচু ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে। এরপরও অন্য ফসলের তুলনায় লাভ থাকছে তাঁদের। তাই কচু চাষীদের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।

কেত্তারপাড়া গ্রামের কৃষক হালিম প্রধান জানান, বিঘাপ্রতি ৮ হাজার টাকা খরচ করে কচুর ফলন পাওয়া গেছে ৪৫ থেকে ৫৫ মণ। জমি থেকেই কচু নিয়ে বাজারে বিক্রি করছেন পাইকারেরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলাতেও পাঠানো হচ্ছে।

এলাকার গিয়ে দেখা যায় কৃষকরা নিজে ও স্ত্রী সন্তানদের সহ অনেকেই কচু পরিচর্যা করছেন। তারা বলেন এই এলাকা কচু আবাদে বিখ্যাত। আমরা কচু চাষীদের শ্রমিক হিসেবে কাজ করে দিনাতিপাত করি।

সদরের হিজলগাড়ী গ্রামের আজাদ অভিযোগ করেন বলেন, কৃষি বিভাগের কোন কর্মকর্তা আমাদের কোন পরামর্শ দেন না। আামাদের এলাকায় বিভিন্ন ধরণের সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ কিংবা কোন সহায়তা পেলে আরও লাভবান হওয়া সম্ভব।

সাদুল্যাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল সলাম বলেন, কচুর দাম বাজারে তুলনামূলক ভালো থাকায় কৃষকেরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। কচুর আবাদ নিয়ে কৃষি বিভাগ কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

(এসআইআর/এএস/আগস্ট ২৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test