E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

খরার কবলে ফুলবাড়ীর রোপা আমন ক্ষেত

২০১৬ আগস্ট ৩০ ১৭:৪৪:০৪
খরার কবলে ফুলবাড়ীর রোপা আমন ক্ষেত

দিনাজপুর প্রতিনিধি : খরার কবলে পড়েছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার রোপা আমন। আমন চাষ মৌসুমে কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায়সহ অব্যাহত খরার কারণে রোপা আমন ক্ষেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন উপজেলার চাষিরা।

ইতোমধ্যে খরার হাত থেকে জমি রক্ষায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪হাজার সেচ পাম্প দিয়ে সেচ দেয়া হচ্ছে জমিতে। তবে অবস্থা সম্পন্ন চাষিরা রোপা আমন ক্ষেত রক্ষায় জমিতে শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ ব্যবস্থা করলেও প্রান্তিক চাষিরা অপেক্ষার প্রহর গুণছেন আকাশের বৃষ্টির জন্য। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে উপজেলার আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়া নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন চাষ মৌসুমে উপজেলার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৭হাজার ৬৬ হেক্টর জমি। কিন্তু চাষিরা ইতোমধ্যে চাষ করেছেন ১৭হাজার ২৬০ হেক্টর জমি।

উপজেলার চকচকা গ্রামের আদর্শ কৃষক মো. জিল্লুর রহমান, উত্তর রঘুনাথপুর গ্রামের মহিদুল ইসলাম, গোপালপুর গ্রামের সুবাস রায়, আলাদিপুর গ্রামের তারাপদ রায় ও তেতুলিয়া গ্রামের তোজাম্মেল হক বলেন, আমন আবাদ মৌসুমে কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অবস্থা সম্পন্ন চাষিরা শ্যালো মেশিনে সেচ দিয়ে আমন চারা পোরণ করেছেন। আর প্রান্তিক চাষিরা মাঝেমধ্যে ছিটেফোটা বৃষ্টি হওয়ায় সেই পানিতে কোনমতে চারা রোপণ করেছেন। কিন্তু খরার কারণে রোপা আমন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। পানির অভাবে জমিতে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে পারছেন না। গাছ বাড়ছে না, পানির অভাবে ক্ষেত শুকিয়ে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। খাস দিয়ে ছেয়ে যাচ্ছে ক্ষেত, পানি হলে এতো খাস হতো না, আমন চারাও বেড়ে উঠতো তারাতাড়ি। অবস্থা সম্পন্ন চাষিরা শ্যালো দিয়ে জমিতে সেচ দিতে গিয়ে তাদের আবাদ খরচ বেড়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ। কিন্তু প্রান্তিক চাষিদের প্রহরগুণতে হচ্ছে বৃষ্টির পানির অপেক্ষায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এটিএম হামিম আশরাফ বলেন, প্রচন্ড রোদের কারণে উঁচু জমিগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়েছে। ইতোমধ্যে বিএমডিএ ও বিএডিসি কর্তৃপক্ষকে আমন ক্ষেতগুলোতে দ্রুত সেচ ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে। তবে কৃষকরা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিতে শুরু করেছেন। উপজেলায় প্রায় ৪হাজার ছোটবড় সেচ পাম্প চালু করা হয়েছে। এ সময় সেচ না দিলে ধান গাছের গোড়া থেকে নতুন চারা গজাবে না। এতে ফলন কমে যাবে, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়া নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিবে। তবে বাড়তি সেচ দিতে গিয়ে কৃষকদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে।

(এসিজি/এএস/আগস্ট ৩০, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test