E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঈশ্বরদীতে নুরুন্নাহারের খামারে লাউয়ের বাম্পার ফলন

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২৭ ১৩:১৩:৪৫
ঈশ্বরদীতে নুরুন্নাহারের খামারে লাউয়ের বাম্পার ফলন

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম বিশ্বাসের স্ত্রী নুরুন্নাহারের খামারে লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে।

এবারে তার খামারের ৪ বিঘা জমিতে লাউয়ের বাম্পার ফলন এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। গাছ জুড়ে ঝুলে আছে শুধু লাউ আর লাউ। খামারের উৎপাদিত লাউ ইতোমধ্যে আড়াই লক্ষ টাকা বিক্রি করেছেন বলে নুরুন্নাহার জানিয়েছেন। এছাড়াও এখনো গাছে ঝুলে আছে অসংখ্য লাউ। গ্রাম্য বধূ নুরুন্নাহার কৃষি কাজে এখন দেশের একজন মডেল।

গ্রাম্য বধূ হিসেবে যার চার দেয়ালের গন্ডির মধ্যে নিরিবিলি জীবন-যাপন করার কথা। কিন্তু সেই তিনি এখন সমাজ উন্নয়ন কর্মীর দায়িত্ব পালন করছেন। নিবিড় সবজি, ফলমূল, পোল্ট্রি ও গাভীর খামার করে এলাকার নারীদের কৃষি কাজে এগিয়ে আসার জন্য অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।

নুরুন্নাহার জানান, স্বামী কাজে বেরিয়ে গেলে ঘরের কাজকর্ম শেষ করে অলসভাবে বসে থাকা তার ভালো লাগতো না। তাই ২০০৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শায়েখ সিরাজের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান দেখে বসতবাড়ির আশপাশে শাক-সবজি ও ফলমূলের বাগান গড়ে তোলার ইচ্ছে জাগে । এরপর আর থেমে থাকেননি নুরুন্নাহার। লালশাক, পুঁইশাক, বেগুন, গোল আলু, পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচ, যা কিছু তিনি বাড়ির আঙ্গিনায় চাষ করেন। এতে পরিবারের সারা বছরের সবজির চাহিদা মেটানোর পর বাড়তি কিছু আয় হতে থাকে। শুরুর দিকে স্বামী তার এই কাজে কিছুটা বিরক্ত হতেন। কিন্তু তারপরও পরিশ্রম, ধৈর্য্য, অধ্যাবসায়, সাহস ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি সাহসীকতার সাথে কৃষি খামার করে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা ও খামারী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

দেশের সকল নারী কৃষককে ডিঙ্গিয়ে ২০১০ সালে সিটি গ্র“প জাতীয় পুরষ্কার, ২০১১ সালে দেশের সেরা নারী কৃষক হিসেবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি ব্রোঞ্জ পদক ও ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি স্বর্ণ পদক পেয়ে তিনি দেশের মানুষকে তাক লাগিয়ে দেন। জয়বাংলা নারী উন্নয়ন মহিলা সমবায় সমিতি ও এনসিডিপি গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভানেত্রী নারী উদ্যোক্তা নুরুন্নাহার এযাবত হাজারের বেশি নারীদের সংগঠিত করে তাদের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রওশন জামাল বলেন, পরিশ্রম মানুষকে যে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়, তার বাস্তব প্রমাণ হলো নুরুন্নাহার কৃষি খামারের স্বত্তাধিকারী কৃষাণী নুরুন্নাহার বেগম। নুরুন্নাহার বেগমের সফলতা দেখে ছলিমপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের নারীরাও রীতিমতো প্রতিযোগিতামূলকভাবে কৃষি কাজে এগিয়ে এসেছেন। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, সবজি, ফলমূল, পোল্ট্রি, ও গাভি চাষি নুরুখামারটি পরিপাটি ভাবে সাজানো গোছানো।

(এসকেকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test