‘আমরা একটি দেশ চাই, নাগরিকত্ব চাই’
নিউজ ডেস্ক : মিয়ানমারের সব পাহাড়গুলো জীর্ণ-শীর্ণ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকে আড়াল করেছে। কাঠের পোস্ট ও কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে বাংলাদেশের ভেতরে আসলে দেখা মেলে রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রের।
দুই দেশের সীমান্তের শূন্য রেখায় এখনো অনেকেই আটকা আছেন। শূন্য রেখায় আটকা পড়েও তারা নিরাপদবোধ করছেন। কারণ পেছনে ফেলে আসা সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ও ত্রাসের স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাদের।
নদীতে স্রোতের ধারায় খেলছে কয়েক ডজন শিশু; যা আরেক বিভাজন তৈরি করেছে। এই বিভাজন নিরপেক্ষ ভূমি এবং বাংলাদেশের মধ্যে।
১২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা এখনো সীমান্তে আটকা আছে। সীমান্তের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা তাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দিতে চাই না। অনির্দিষ্ট সময় ধরে তারা এখানে আটকা আছে।
বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা চট্টগ্রামে রোহিঙ্গাদের প্রবেশের অনুমতি নেই। তবে যারা নিরাপত্তাবাহিনীর চোখ গলে চট্টগ্রামে ঢুকে পড়েছে; তাদেরকে আটকের পর পুনরায় কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে।
গত আগস্টের শেষের দিকে রাখাইনে অস্থিরতা শুরুর পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের দিকে রোহিঙ্গাদের স্রোত চার লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
রোহিঙ্গা পুরুষ আনোয়ার উল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে তার জন্মভূমি। এই দুই কিলোমিটার দূরত্ব এখন তার কাছে কল্পনাতীত হয়ে দেখা দিয়েছে। তাদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। লোকজনকে জিম্মি অবস্থায় রেখেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
আনোয়ার বলেন, তার ছোট ভাইকে চোখের সামনেই সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে। বাড়িতে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা তার কাছে এখন অনিরাপদ এবং একটি দুঃস্বপ্নের মতো।
তিনি বলেন, ‘অন্যরা যেখানে যাবে আমরাও সেখানে যাব। আমরা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই। তবে সেখানে যখন শান্তি ফিরে আসবে শুধুমাত্র তখনই।’
সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া রোহিঙ্গাদের ‘জরুরি পুনর্বাসনের’ লক্ষে মিয়ানমার সরকার একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করেছে। দুই দেশের সরকারের মধ্যে ১৯৯৩ সালে সাক্ষরিত একটি চুক্তির আওতায় রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের এই পদক্ষেপ নিয়েছে মিয়ানমার।
বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও ঠিক কী পরিমাণ রোহিঙ্গা এই পদক্ষেপের আওতায় ফিরে যাবেন তা এই মুহূর্তে পরিষ্কার নয়। কিন্তু একই চুক্তির আওতায় গত দুই দশকে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার সংখ্যাও খুবই কম।
নিজের মাতৃভূমি আবারও দেখতে চাওয়াদের একজন আব্দুস সালাম। ১৯৯৩ সাল থেকে দেশে ফেরার অপেক্ষা করছেন তিনি। বাংলাদেশে তার দীর্ঘমেয়াদী দুর্দশা লাঘবে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সরকারের ‘জরুরি পুনর্বাসন’ শব্দটি এখন তার কাছে আশাব্যাঞ্জক নয়।
১৯৯২ সাল থেকে কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে পরিবারসহ বসবাস করছেন ৬০ বছর বয়সী সালাম। নিবন্ধন কার্ড রয়েছে তার। তবে কার্ড ঘিরেই তার হতাশা। সালাম বলেন, ‘যদি মিয়ানমার সরকার আমাদেরকে নাগরিক অধিকার দেয় তাহলে আমি আজই ফিরে যাব।’
‘আমরা একটি দেশ চাই, আমরা নাগরিকত্ব চাই।’ রোহিঙ্গা সঙ্কটে অতীতে অনেক রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে। তবে ভয়াবহ আকার ধারণ করা এই সঙ্কটের সমাধান যে খুব শিগগিরই হবে সেই আশাও এখন ক্ষীণ হয়ে আসছে সালামের।
‘আমাদের দাবি পূরণের মাধ্যমে আমাদের কিছু মানুষকে অতীতে ফেরত নেয়া হয়েছে; কিন্তু সেই দাবি অধরা রয়ে গেছে। এর বদলে মানুষকে গলা কেটে হত্যা করা হচ্ছে। অগ্নিসংযোগ ও হত্যা এখনো বন্ধ হয়নি।’
রাখাইনে আমূল পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের অনেকেই ফিরতে চান না। জাফর উল্লাহ বলেন, তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। নিজ গ্রামে ফিরে যাওয়ার চেয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় পাওয়াই এখন তার কাছে প্রধান বিষয়।
‘আমি দেখেছি, আমাদেরকে গ্রামকে একেবারেই বিরানভূমিতে পরিণত করেছে...সেখানে কোনো ঘর-বাড়ি অবশিষ্ট নেই।’
‘আমার ভাই-বোনদের ওপর নিপীড়ন চালাতে দেখেছি। তাদের হাত শক্ত করে পেছনে বাধা হয়। তাদেরকে ঘরের ভেতরে ঢুকিয়ে অাগুন লাগিয়ে হত্যা করা হয়।’
রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পোড়া মাটি নীতির গল্প। রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে সেনারা; এখনো রাখাইনের আকাশে উড়ছে ধোঁয়া। রাখাইন থেকে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের ফের প্রবেশে ঠেকাতে সীমান্ত মাইত পুঁতেছে সেনাবাহিনী।
(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭)
পাঠকের মতামত:
- রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মাইক মার্কার ব্যাপক প্রচারণা
- কেন্দুয়ায় অভ্যন্তরিন বোরো সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন
- কেন্দুয়ায় বোরোর বাম্পার ফলন, দামে অখুশি, ফলনে খুশি কৃষক
- ‘সার্বজনীন পেনশন স্কীমের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে হবে’
- কাপাসিয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- নহাটা শ্মশান কালীবাড়িতে বৈশাখ মাসব্যাপী প্রভাতী কীর্তন সম্পন্ন
- জাতীয় শিশু-কিশোর ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- হাজীগঞ্জে আগুনে পুড়লো ৮ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
- ফরিদগঞ্জে ঋণের ভার সইতে না পেরে সিনিয়র সিটিজেনের আত্মহত্যা
- 'প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যাওয়ার মত পরিবেশ ইসি করেছে'
- এসএসসি পরীক্ষায় শ্যামনগর উপজেলা পর্যায়ে প্রথম হলেন মহুয়া রানী গায়েন সৃষ্টি
- 'ফসলের নিবিড়তা ও উৎপাদন বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে’
- তারাকান্দায় নির্যাতিত ও অসহায় পরিবারের পাশে ওসি ওয়াজেদ
- টাঙ্গাইলে ফারাক্কা লংমার্চের ৪৮তম দিবসে আলোচনা সভা
- কালিয়াকৈরে মোটরসাইকেলের কর্মীকে মারধরের অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- হোসেনপুরে তীব্র গরমে ক্লাসেই অসুস্থ ৩০ শিক্ষার্থী
- কাপাসিয়ায় মাদকের বিরুদ্ধে সেমিনার
- শ্যামনগরে রোগীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ
- ফরিদপুরে ডিবির হাতে ৬ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- সুন্দরবনে বার বার আগুনের নেপথ্য কাহিনি
- গোপালগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার আন্দোলনে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
- ‘ডোনাল্ড লুর বক্তব্যের পর ফখরুলের কথার দাম নেই’
- সালথার জয়ঝাপ স্কুলে ওয়াদুদ মাতুব্বরের পক্ষে নির্বাচনী পথসভা
- প্রতিকার না পেয়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা আনারস প্রতীকের প্রার্থীর
- বিশ্বের একমাত্র ভাসমান এনপিপিতে পিয়ার রিভিউ মিশন সম্পন্ন
- সাবেক যুব মহিলা লীগ নেত্রী স্বপ্না খন্দকারের সংবাদ সম্মেলন
- মাদারীপুরে রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগে স্থানীয় ও ঠিকাদারের সাথে হাতাহাতির ভিডিও ভাইরাল
- ‘প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে’
- গোয়ালন্দে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান
- শায়েস্তাগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে মুখোমুখি দুই সাংবাদিক
- পর্যটন খাতে তুরস্ককে বিনিয়োগের আহ্বান
- বোয়ালমারীতে হাসামদিয়া গণহত্যা দিবস পালন
- মহম্মদপুরে চায়না ৩ সিডলেস লেবু চাষে সফল রিয়াজুল ইসলাম
- ১০ প্রকল্পেই বরাদ্দ ৫২ হাজার কোটি টাকা
- ঈদ উপলক্ষে ওয়ালটনের নতুন মডেলের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পণ্য উন্মোচন
- ফরিদপুরে মৎস্য উৎপাদনে বার্ষিক পর্যালোচনা বিষয়ক কর্মশালা
- কোরবানির পশুর কোন সংকট হবে না : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- গোপালগঞ্জে ৫ দিনের নারী শিল্প উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু
- বিদেশি ঋণনির্ভর প্রকল্পের অগ্রগতি জানানোর নির্দেশ
- নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে গোপালগঞ্জের হোটেল রেস্তরাঁর খাবারের নমূনা সংগ্রহ শুরু
- আগামীতে জেলাভিত্তিক প্রকল্প নেওয়া হবে : পরিকল্পনামন্ত্রী
- বরিশালে ৩ লাখ রেনু পোনা জব্দ, ৯ জেলে আটক
- খালি হাতে বিদেশ ফেরত যুবকদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচি
- জামালপুরে অভ্যন্তরীণ ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন
- অতীত ভুলে সামনে তাকাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
- দেশে অকালমৃত্যুর অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ, প্রয়োজন সতর্কতা
- আচরণবিধি লঙ্ঘন: চেয়ারম্যান প্রার্থী রানা সরদারকে শোকজ
- আত্মকর্মসংস্থান তৈরিতে দুই বোনের স্ট্রিট ফুডের ব্যবসা
- আজ থেকে বাজারে মিলবে চুয়াডাঙ্গার আম
- নড়াইলে ডাকাতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !