E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রোহিঙ্গা সংকট

বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস জাপানের, ত্রাণ পাঠাল চীন

২০১৭ সেপ্টেম্বর ২৭ ১৩:৪৬:২৪
বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস জাপানের, ত্রাণ পাঠাল চীন

নিউজ ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ জঙ্গিদের নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাপান। সেইসঙ্গে এই সংকট নিরসনে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে দেশটি।

আজ (বুধবার) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক শেষে জাপানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইওয়াও হরি এ আশ্বাস দিয়েছেন।

বৈঠক শেষে শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন ও শরণার্থী সমস্যার টেকসই সমাধানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ জাপানকে পাশে চায় বলে জাপানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইওয়াও হরিকে জানিয়েছেন তিনি। এ সময় জাপানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।

বুধবার সকালে ঢাকায় পৌঁছান জাপানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইওয়াও হরি। এর পর তিনি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ত্রাণের জন্য হাহাকার

৫৭ টন ত্রাণ পাঠাল চীন

এদিকে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ৫৭ টন ত্রাণ পাঠিয়েছে চীন। আজ সকাল সাড়ে ৮টায় চীনের ত্রাণবাহী একটি কার্গো বিমান চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হাবিবুর রহমান বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে ত্রাণগুলো গ্রহণ করেন। এ সময় চীন দূতাবাসের কর্মকর্তা জং জিয়াজু তার হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন।

মো. হাবিবুর রহমান জানান, ‘চীন সরকারের পাঠানো ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে দুই হাজার ২০০ পিস তাবু রয়েছে। তারা আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আরও ত্রাণ সামগ্রী পাঠাবে। ওই ত্রাণসামগ্রীতে তাঁবু এবং কম্বল থাকবে বলে চীন দূতাবাসের কর্মকর্তা জানিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে কথিত হামলাকে কেন্দ্র করে দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ জঙ্গিরা। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) এক বিবৃতিতে বলেছে, মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকারের লঙ্ঘনের গুরুতর বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড, মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ, নির্যাতন ও অপব্যবহার, যৌন সহিংসতা, লোকজনকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা, দুই শতাধিক রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া, সেখানে তাণ্ডব চালানোর মতো বিষয়গুলো রয়েছে। অন্তত ১০ হাজার ঘরবাড়ি এই অগ্নিসংযোগ ও তাণ্ডবের শিকার হয়েছে।

ইউএনএইচসিআর’র বিশেষজ্ঞরা বলেন, ১৯ সেপ্টেম্বর দেওয়া ভাষণে মিয়ানমারের পরিস্থিতি অনুধাবনের জন্য সু চি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অথচ গত কয়েক সপ্তাহেই চার লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test