E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিক্ষার পরিবেশ ও অবকাঠামো উন্নয়নে বড় উদ্যোগ

২০১৮ জানুয়ারি ১৬ ১৫:২১:২৪
শিক্ষার পরিবেশ ও অবকাঠামো উন্নয়নে বড় উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষার পরিবেশ ও অবকাঠামো উন্নয়নে বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। সারা দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩ হাজার স্কুলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। এজন্য সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এক প্রকল্পের অনুমোদন করা হয়েছে।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পসহ মোট ১৪ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৮ হাজার ৪৮২ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়।

একনেক সভা শেষে প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

‘নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। এটি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুন থেকে ২০২০ পর্যন্ত মেয়াদকালে বাস্তবায়িত হবে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৩০০০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনসহ অন্যান্য ভবন নির্মাণ এবং ৩০০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবাবপত্র সরবরাহ করা হবে।

মুস্তফা কামাল বলেন, এর মাধ্যমে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বর্ধিত চাহিদা পূরণ ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এর বাইরে উপস্থাপিত ১৪টি (নতুন ও সংশোধিত) প্রকল্পের মোট ব্যয় সরকারি অর্থায়ন থেকে করা হবে ১৬ হাজার ৩৭০ কোটি ৮১ লাখ টাকা ও প্রকল্প সাহায্য ২ হাজার ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় হবে ৯৫ কোটি টাকা।

একনেকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো- বন্যা প্রবণ ও নদী ভাঙন এলাকায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্প, জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় মহানন্দা নদী ড্রেজিং ও রাবার ড্যাম প্রকল্প, বৃহত্তর চট্টগ্রাম গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩, বৃহত্তর ফরিদপুর চরাঞ্চন এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন ও দুগ্ধের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিতকরণ কারখানা স্থাপন প্রকল্প, অগ্রাধিকারমূলক গ্রামীণ পানি সরবারাহ প্রকল্প, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প, বগুড়া উপজেলার সাথে সংযুক্ত চাপাপুরা-বগুড়া, নিমসার-বরুড়া এবং খাজুরিয়া-বরুড়া জেলা মহাসড়ক তিনটি যথাযথ মানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরন প্রকল্প, সাতটি র্যাব কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তিপক্ষের বহুতল অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্প, এ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রোডিয়েন্ট (এপিআই) শিল্প পার্ক প্রকল্প, জরুরী ২০০৭ ঘূর্ণিঝড় পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন প্রকল্প, এমারজেন্সি ২০০৭ ঘূর্ণিঝড় পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন এবং প্রজেক্ট করডিনেশন এন্ড মনিটরিং ইউনিট প্রকল্প (তৃতীয় সংশোধিত)।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম, সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগের সদস্য ড. শামসুল ইসলাম প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test