চট্টগ্রাম কাস্টম সার্ভারের সমস্যা যেন নিত্যসঙ্গী

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : সার্ভার ত্রুটি যেন পিছু ছাড়ছে না চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের। গেল এক মাস এ সমস্যা চরমে পৌঁছেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আমদানি-রপ্তানি পণ্যের সঠিক সময়ে শুল্কায়ন করতে না পারায় বাড়তি মাশুল গুণতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের।

সোমবারও সকাল থেকে সার্ভারের ত্রুটি থাকায় আমদানি-রপ্তানি পণ্যের শুল্কায়ন ও বন্দর এলাকা থেকে পণ্য খালাস কার্যাক্রম ব্যাহত হয়েছে।

গত রোববার ও বৃহস্পতিবার সার্ভার ত্রুটির কারণে সময়মতো শুল্কায়ন ও পণ্য খালাস করতে না পেরে বিক্ষোভ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এর কর্মীরা।

আমদানিকারক আবদুল লতিফ চৌধুরী জানান, সার্ভার সমস্যার কারণে আমদানি পণ্যের শুল্কায়নের জন্য গেল ৬ দিন আগে আবেদন করেও কোন সমাধান পায়নি। এর কারণে আমার প্রায় এক লাখ টাকা বাড়তি মাশুল গুনতে হচ্ছে। যদিও সার্ভার ত্রুটির সমস্যাটি কাস্টমস হাউসের নিজস্ব ব্যাপার।

সার্ভার ত্রুটি হলেও কিভাবে তাদের সেবা নিরবিচ্ছিন্ন রাখা যায় সে বিষয়ে বিকল্প পদক্ষেপ নেবার আহবান জানান তিনি।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাজী মাহমুদ ইমাম জানান, কিছু দিন পর পর সার্ভারের ত্রুটির কারণে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের দলিলাদি জমা, পণ্য শুল্কায়ন, বন্দর চত্বর থেকে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ফলে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়।

তবে বরাবরের মতো এবারও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যে বন্দরে সব ধরনের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে আসবে। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সার্ভার যেহেতু অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের সার্ভার ওরাকল বেজড। বিশ্বব্যাপী এ সার্ভারের কাজ চলায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের শুল্কায়ন কার্যক্রমে কিছুটা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে ।

ফলে অনলাইনে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের দলিলাদি জমা, পণ্য শুল্কায়ন,বন্দর চত্বর থেকে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া অর্থাৎ আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হয়েছে বলে স্বীকার করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।

(ওএস/এস/জুলাই ১৪, ২০১৪)