E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

তৃতীয় দফায় রিমান্ডে ওসি প্রদীপ-লিয়াকত-নন্দদুলাল

২০২০ আগস্ট ২৮ ২০:৪৯:০৩
তৃতীয় দফায় রিমান্ডে ওসি প্রদীপ-লিয়াকত-নন্দদুলাল

স্টাফ রিপোর্টার : সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয় দফায় তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। দ্বিতীয় দফায় চারদিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (২৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করার পর র‌্যাবের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার অধিকতর তথ্যের স্বার্থে মূল অভিযুক্ত তিনজনের আরও চারদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। আসামিদের পুনরায় রিমান্ডের বিরোধিতা এবং জামিন আবেদন করেন চট্টগ্রাম থেকে আসা তিন আইনজীবী। শুনানি শেষে তাদের আবেদন নাকচ করে বিচারক তামান্না ফারাহ আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৪ আগস্ট ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশের দ্বিতীয় দফায় চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করছিলেন একই আদালত। তার আগে আসামিদের সাতদিনের রিমান্ড শেষ হয় ওইদিন। দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করে পুনরায় রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, এপিবিএনের তিন সদস্য ও টেকনাফ থানা পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

(ওএস/পি/আগস্ট ২৮, ২০২০ইং)

পাঠকের মতামত:

২৭ জুলাই ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test