E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

এরামে অভিযান চালিয়ে কোটি টাকার অবৈধ মদ জব্দ

২০২০ সেপ্টেম্বর ১৮ ০২:৪২:৩১
এরামে অভিযান চালিয়ে কোটি টাকার অবৈধ মদ জব্দ

স্টাফ রিপোর্টার : ভ্যাট গোয়েন্দা রাজধানীর শুক্রাবাদের এরাম ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে অভিযান চালিয়ে কোটি টাকার অবৈধ মদ ও বিয়ার জব্দ করেছে। বৃহস্পতিবার এসব মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের (মূল্য সংযোজন কর) মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।

তিনি জানান, 'স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে হোটেল-বার বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু অভিযানকালে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটি সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মদ ও বিয়ার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। গত কয়েক মাসে তারা শূন্য বিক্রয় দেখিয়ে মোহাম্মদপুর সার্কেলে ভ্যাট রিটার্ন জমা দিয়েছে। কিন্তু হোটেল এরাম প্রাঙ্গণ থেকে জব্দ করা বাণিজ্যিক কাগজ থেকে জানা যায় তারা ওই সব মাসে মদ বিক্রি করেছেন। এ-সংক্রান্ত চালানের কপি পাওয়া গেছে। এতে সরকারের ভ্যাট ফাঁকির অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।'

একইসঙ্গে হোটেল প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা মদ ও বিয়ারের স্বপক্ষে কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। এসব মদ ও বিয়ার হোটেলের ছাদ, মেঝে ও গ্যারেজের বিভিন্ন স্থানে লুকায়িত ছিল- বলে জানান মইনুল খান। তিনি জানান, 'উদ্ধার করা মদের মধ্যে রয়েছে ৩৭৪ বোতল বিদেশি হুইস্কি এবং তিন হাজার ৬৭২ ক্যান বিদেশি বিয়ার। আটক হুইস্কি বিদেশি বিভিন্ন নামি ব্রান্ডের। এদের মধ্যে আছে ভ্যাট ৬৯, হোয়াইট হর্স, ব্লাক অ্যান্ড হোয়াইট, ব্লাক রাম, স্মিরনফ, চেরি ব্রান্ডি, পাসপোর্ট, ভ্যালেন্টাইন, জিন হুইস্কি, আটাস্কা, স্যার পিল্টার সন। অন্যদিকে বিয়ারের মধ্যে আছে হেনিকেন, ব্লাক ডেভিল, হলান্ডিয়া।'

ভ্যাট আইন অনুসারে এসব পণ্য ক্রয় রেজিস্টারে এন্ট্রি থাকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা নেই। ভ্যাট গোয়েন্দার কাছে প্রতীয়মান হয়েছে এসব মদ ও বিয়ার চোরাচালানির উৎস থেকে সংগ্রহ করে হোটেল-বারে বিক্রি করার উদ্দেশে মজুত করা হয়েছে। এসব বিক্রি গোপন করে ভ্যাট ফাঁকি দিত বলে ভ্যাট গোয়েন্দাদের সন্দেহ- বলেও জানান মইনুল খান।

তিনি জানান, 'আটক মদের মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। আটক পণ্য ঢাকা কাস্টম হাউজ গুদামে জমা দেয়া হয়েছে। হোটেল প্রাঙ্গণ থেকে কম্পিউটারের বিক্রি তথ্য ও বাণিজ্যিক দলিলাদিও জব্দ করা হয়েছে। ভ্যাট আইন ও কাস্টমস আইন অনুসারে আরও তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

(ওএস/পি/সেপেম্বর ১৮, ২০২০ইং)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test