E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নুরের বিরুদ্ধে এবার অপহরণ-ধর্ষণ ও ডিজিটাল আইনে মামলা

২০২০ সেপ্টেম্বর ২২ ১৩:৩২:৫৩
নুরের বিরুদ্ধে এবার অপহরণ-ধর্ষণ ও ডিজিটাল আইনে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে এবার এক তরুণীকে অপহরণ, ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

সোমবার রাজধানীর কোতওয়ালী থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় নুরুসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

কোতওয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওই তরুণীর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগকে। ৩ নম্বরে রয়েছেন নুরুল হক নুর। বাকিরা হচ্ছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম-আহ্বায়ক (২) মো. সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।

মামলায় ঘটনার স্থান উল্লেখ করা হয়েছে কোতওয়ালী থানা এলাকার সদরঘাট হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে। মামলায় ঘটনার দিনক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।

এর আগে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগেও তাকে আটক করা হয়। এরপর তাকে নেয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসা শেষে রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ছেড়ে দেয়ার কিছুক্ষণ পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়।

এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, ধর্ষণের ঘটনা পরম্পরায় ভিপি নুরের নাম উঠে আসায় তাকে সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়েছে।

মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। ধর্ষণের স্থান হিসেবে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ রোডে হাসান আল মামুনের বাসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

নুর ও মামুন ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক (২) মো. সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test