E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, মামুনুলের বিরুদ্ধে জান্নাত আরা ঝর্ণার মামলা

২০২১ এপ্রিল ৩০ ১৩:৪৩:০০
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, মামুনুলের বিরুদ্ধে জান্নাত আরা ঝর্ণার মামলা

শেখ এনামূল হক বিদ্যুৎ, সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ ও আটকে রাখার অভিযোগে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় মামলা করেছেন তার ‘কথিতথ দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সকালে জান্নাত আরা ঝর্ণা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন।

মামলার অভিযোগে ঝর্ণা জানান, বিয়ের প্রলোভন ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মামুনুল হক তার সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন। কিন্তু বিয়ের কথা বললে মামুনুল কালক্ষেপণ করতে থাকেন। ২০১৮ সাল থেকে মামুনুল বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্টে তাকে বেড়াতে নিয়ে যান।

২০০৫ সালে তার স্বামী শহীদুল ইসলামের মাধ্যমে মামুনুল হকের সঙ্গে পরিচয় হয় জানিয়ে ঝর্ণা বলেন,স্বামীর বন্ধু হওয়ায় আমাদের বাড়িতে মামুনুলের অবাধ যাতায়াত ছিল। মামুনুলের কারণে আমাদের দাম্পত্য জীবন চরমভাবে বিষিয়ে ওঠে। সাংসারিক এই টানাপোড়েনের একপর্যায়ে মামনুলের পরামর্শে বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

ঝর্ণা আরো জানান, বিচ্ছেদের পর তিনি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পারিবারিকভাবে অসহায় হয়ে পড়েন। এ সময় মামুনুলের কথায় তিনি খুলনা থেকে ঢাকায় চলে আসেন।

ঝর্ণা বলেন, মামুনুল আমাকে তার বিভিন্ন অনুসারীদের বাসায় রাখেন। সেখানে নানাভাবে আমাকে প্রস্তাব দেন। একপর্যায়ে পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তার প্রলোভনের ফাঁদে পা দিই। এরপর তিনি উত্তর ধানমন্ডির নর্থ সার্কুলার রোডের একটি বাসায় আমাকে সাবলেট রাখেন।

জান্নাত আরা ঝর্ণা অভিযোগে আরো বলেন, ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে ঘোরাঘুরির কথা বলে মামুনুল হক আমাকে সেখান নিয়ে যান। বিষয়টি স্থানীয় জনতা জানতে পেরে রয়্যাল রিসোর্টে আমাদেরকে আটক করে। পরে মামুনুল হকের অনুসারী হেফাজত নেতাকর্মীরা রিসোর্ট ভাঙচুর করে আমাদেরকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু মামুনুল আমাকে নিজের বাসায় না নিয়ে পরিচিত একজনের বাসায় আটকে রাখেন। কারও সঙ্গে যোগাযোগও করতে দেননি।

পরে কৌশলে আমি আমার বড় ছেলেকে আমার দুরবস্থার সব কথা জানাই এবং আমাকে বন্দিদশা থেকে উদ্ধারের জন্য আইনের আশ্রয় নিতে বলি। পুলিশ আমাকে উদ্ধারের পর বাবার জিম্মায় দেয়। সেখানে আমি আমার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে পরামর্শ করে অভিযোগ দায়ের করতে বিলম্ব হয়।

(এবি/এসপি/এপ্রিল ৩০, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test