E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

 ১৩ খাতে বিশ্বের সেরা দশে বাংলাদেশ

২০২১ জুলাই ২৭ ১৫:০৩:৪৭
 ১৩ খাতে বিশ্বের সেরা দশে বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার : সার্ক অঞ্চলে প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে সার্কভুক্ত দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সার্ক কৃষি কেন্দ্র আয়োজিত সার্ক অঞ্চলে প্রাণিসম্পদ ও প্রাণিজাত পণ্যের আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে গাইডলাইন ও পলিসি সমন্বয় সংক্রান্ত আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞদের এক ভার্চুয়াল পরামর্শক সভার উদ্বোধনী পর্বে সচিবালয়ের নিজ দফতর কক্ষ থেকে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

আঞ্চলিক খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও জীবনযাত্রা এবং দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণের জন্য সার্ক অঞ্চলে প্রাণিসম্পদ ও প্রাণিজাত পণ্যের আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে গাইডলাইন ও পলিসি সমন্বয় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে এ সময় মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

এ বিষয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সার্কভুক্ত অনেক দেশ প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণই নয় বরং উদ্বৃত্ত। সে দেশগুলো রফতানির মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষের বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ১৩টি খাতে বিশ্বের সেরা দশটি স্থান অর্জন করেছে। যার মধ্যে বিশ্বে ইলিশ আহরণে প্রথম, ধান উৎপাদনে তৃতীয়, অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে তৃতীয়, বদ্ধ জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে পঞ্চম, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল উৎপাদনে চতুর্থ, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আলু উৎপাদনে ষষ্ঠ স্থান অর্জন উল্লেখযোগ্য।’

এ বিষয়ে প্রধান অতিথি আরও বলেন, ‘খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জন, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জাতি গঠনে প্রাণিসম্পদ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাণিসম্পদ থেকে উৎপাদিত দুধ, ডিম, মাংস ও অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাদ্য অপুষ্টি দূর করে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের নানা পদক্ষেপ তথা কৃত্রিম প্রজনন, পোলট্রি ও ডেইরি খাতে গবেষণা বৃদ্ধি, শিক্ষিত উদ্যোক্তা তৈরি, সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানসহ বিভিন্ন রকম প্রণোদণা প্রদানের কারণে বিগত ১২ বছরে বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন হয়েছে।’

‘বাংলাদেশ এখন মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং ৪-৫ বছরের মধ্যে দুধ উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। পোলট্রি ও ডেইরি খাতের ব্যাপক সাফল্যের কারণে প্রাণিজাত খাদ্যের বহুমুখীকরণ ও রফতানিতে বাংলাদেশ সরকার জোর দিচ্ছে। গুণগত মানসম্পন্ন ও নিরাপদ প্রাণিজাত পণ্য উৎপাদন এক্ষেত্রে একটি চ্যালেঞ্জ।’

‘প্রাণিসম্পদ খাত স্বাস্থ্যকর দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে অবদান রেখেছে এবং অবদান রাখছে। পাশাপাশি বাংলাদেশসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিচ্ছে। এ দেশগুলোতে লাখ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষের জীবিকা এ খাতের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোভিড-১৯ থেকে মুক্তি লাভ, ক্ষুধা দূর করা, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, খাদ্যের সঙ্গে জড়িত অসংক্রামক ব্যাধি তথা হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করার বিষয়গুলো আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নীতিতে আধিপত্য বিস্তার করছে। এজন্য টেকসই খাদ্য উৎপাদন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে সার্ক অঞ্চলের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক সভা অত্যন্ত সময়োপযোগী।’

সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. বক্তীয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভার উদ্বোধনী পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার ও ভুটানের কৃষি ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক ড. তাশি সামদুপ।

স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সার্ক কৃষি কেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (প্রাণিসম্পদ) ড. আশীষ কুমার সামন্ত। এছাড়া সার্ক সদস্য দেশসমূহের প্রাণিসম্পদ খাতের বিশেষজ্ঞ, উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী এবং সার্ক কৃষি কেন্দ্রের কর্মকর্তাগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।

(ওএস/এএস/জুলাই ২৭, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test