E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কনস্টেবল নিয়োগ : তিন হাজার পদে আবেদন ৩ লাখ ৩৮ হাজার

২০২১ অক্টোবর ২৪ ১৭:০৯:৪৮
কনস্টেবল নিয়োগ : তিন হাজার পদে আবেদন ৩ লাখ ৩৮ হাজার

স্টাফ রিপোর্টার : ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। তিন হাজার কনস্টেবল পদের জন্য মোট আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫৩৪ জন। সেই হিসাবে প্রতি পদের জন্য ১১২ জন আবেদন করেছেন। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপের জন্য টিকেছেন মাত্র এক লাখ ১৭ হাজার ৬৮ জন। রবিবার (২৪ অক্টোবর) পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, দেশের ৬৪ জেলায় গত ১০ সেপ্টেম্বর তিন হাজার শূন্যপদের বিপরীতে কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৭ অক্টোবর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এবার কনস্টেবল পদে আবেদনের পূর্বশর্ত ছিল ন্যূনতম এসএসসি পাস ও বয়স হবে ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। ৩ লাখ ৩৮ হাজার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়স ঠিকঠাক ছিল তাদের মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৮ জনকে প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং টেস্টে বাছাই করা হয়েছে। তারা পরবর্তী ধাপে শারীরিক মাপ ও ফিজিক্যাল অ্যান্ডুরেন্স টেস্টে অংশ নেবেন।

ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের লক্ষ্যে জেলাভিত্তিক শূন্যপদের বিবরণ বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিয়োগ পরীক্ষার জন্য শুধু অনলাইনে আবেদন করা যাবে। সব প্রার্থীকে মাস্ক পরে পুলিশ লাইন্স মাঠে উপস্থিত হতে হবে। জনসমাগম এড়ানোর লক্ষ্যে অভিভাবকদের পুলিশ লাইন্স মাঠে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে প্রার্থীকে মাঠে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

এতে আরও বলা হয়, ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনে জড়িত হলে গ্রেফতার ও নিয়োগ বাতিল করা হবে।

নতুন নিয়মের পরীক্ষার ধাপগুলো হচ্ছে-

প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং, শারীরিক মাপ ও ফিজিক্যাল অ্যান্ডুরেন্স টেস্ট, লিখিত পরীক্ষা, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা, প্রাথমিক নির্বাচন, পুলিশ ভেরিফিকেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্তিকরণ।

এসএমএসে নিয়োগ সংক্রান্ত ওয়েবপোর্টালে লগইন করার জন্য ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে। সেই পোর্টালে লগইন করে আবেদনকারীকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র নিতে হবে। প্রবেশপত্র প্রিন্ট করে নিয়োগ পরীক্ষার প্রতিটি ধাপে অংশ নিতে হবে।

নিয়োগ পরীক্ষার শুরুর দিন প্রার্থীদের পুলিশের নির্ধারিত স্কেলে বুকের মাপ ও ওজন-উচ্চতা নেওয়া হবে। এরপর প্রার্থীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করে তাকে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করে তার ফরমে একটি সিল দেওয়া হবে।

পরবর্তী ধাপে অনুষ্ঠিত হবে শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষা। এ পরীক্ষার আগে প্রার্থীকে ইনডেমনিটির ঘোষণাপত্র নামে একটি ফরম পূরণ করতে হবে। ফরমে ওই প্রার্থী শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন বলে ঘোষণা দিয়ে স্বাক্ষর করবেন।

শারীরিক সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য ধাপে ধাপে সাতটি ইভেন্টে অংশ নিতে হবে। সেগুলো হচ্ছে- দৌড়, পুশ আপ, লং জাম্প, হাই জাম্প, ড্র্যাগিং ও রোপ ক্লাইমিং। এই ধাপের কোনো একটিতে অকৃতকার্য হলে পরবর্তী ধাপের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে না এবং সেখানেই তার পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে।

শারীরিক সক্ষমতা যাচাইয়ের ষষ্ঠ ধাপে রয়েছে ড্র্যাগিং পরীক্ষা। এই ধাপে পুরুষ প্রার্থীদের ১৫০ পাউন্ডের টায়ারকে টেনে ৩০ ফুট দূরত্ব ও নারী প্রার্থীদের ১১০ পাউন্ড ওজনের টায়ার ২০ ফুট দূরত্বে আনতে হবে। এছাড়াও রোপ ক্লাইমিং পরীক্ষায় পুরুষদের ১২ ফিট ও নারীদের ৮ ফিট দড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হবে।

শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সব ডকুমেন্ট নিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ে ৪৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ১৫ নম্বরের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এরপর লিখিত, মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষার পর উত্তীর্ণদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশে দুই লাখ ১০ হাজারের মতো ফোর্স রয়েছে। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধাপে ধাপে আরও ৫০ হাজার পুলিশ নিয়োগের নির্দেশনা দেন।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২৪, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test