E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

লাশের ভার বইতে চায় না ব্রাহ্মণবাড়িয়া

২০১৪ অক্টোবর ২৪ ১৬:০৩:১৮
লাশের ভার বইতে চায় না ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত গোলাম আযমের মৃত্যুর পর তার জন্মভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষরা জানিয়েছেন তাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। মরনোত্তর বিচার এবং তার লাশ সেখানে না নেয়ার দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল করেছে জেলার মুক্তিযোদ্ধারা।

এদিকে গোলাম আযমের লাশ নবীনগরে না আনার দাবিতে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। তবে গোলাম আজমের গ্রামের বাড়ির লোকজনের দাবি তিনি লোক হিসাবে ভালো ছিলেন। ঢাকায় কবর দিতে না পারলে তার জন্মভূমিতে কবরের ব্যবস্থা করবেন তারা।

সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে জানা যায়, জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও গ্রামে গোলাম আজম কোনো উৎসব ছাড়া কখনো বাড়িতে আসতেন না। তার চাচা শফিকুল ইসলামও মুসলিম লীগের অবিভক্ত পাকিস্তানের সভাপতি ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে চাচা ভাতিজা দুই জনের ভূমিকাই ছিল রাষ্ট্রদ্রোহী। তারা কেউই এখন বাড়িতে থাকেন না। তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দুটি টিনসেড ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে এলাকার কোনো ক্ষতি না করায় গ্রামের অধিকাংশ লোকই প্রকাশ্যে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ভূমিকার জন্য তার জন্মস্থান বীরগাঁওয়ের লোকজনও নিজেদের কলঙ্কিত মনে করছে। অন্যদিকে দুপুরে জেলার নবীনগর উপজেলা সদরে গোলাম আযমের লাশ না আনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে বীরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন বলেন, ‘গোলাম আযমের মৃত্যুতে বীরগাঁও এলাকায় কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। উনি মারা গেছেন এখন আল্লাহ বলতে পারবের সে কেমন লোক ছিলেন।’

বীরগাঁও ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা মো. মালেক মাস্টার জানান, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে গোলাম আযমের মরনোত্তর বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

তবে তার এলাকার সাধারণ মানুষ জানান, তাকে যদি কোনো কারণে ঢাকায় কবর দিতে দেয়া না হয় তাহলে তার নিজের গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার মো. হারুনুর রশিদ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে এমন রাজাকারের ঠাঁই নাই। গোলাম আযমের লাশ যাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় না আনা হয়। পাশাপাশি তার মরনোত্তর বিচারের দাবি জানান তিনি। তবে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী প্রধান রাজাকারের বাড়ি এ জেলায় হওয়ায় আমাদের প্রতিনিয়ত লজ্জায় পড়তে হয়।

(ওএস/এটিআর/অক্টোবর ২৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test