E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বুদ্ধিজীবীর স্বীকৃতি পেলেন মধুর ক্যান্টিনের ‘মধু দা’

২০২৪ মার্চ ২৫ ১৩:০৩:১৩
বুদ্ধিজীবীর স্বীকৃতি পেলেন মধুর ক্যান্টিনের ‘মধু দা’

স্টাফ রিপোর্টার : বুদ্ধিজীবীর স্বীকৃতি পেয়েছেন মধুর ক্যান্টি‌নের প্রতিষ্ঠাতা মধুসূদন দে বা ‘মধু দা’।

রবিবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর সচিবালয় সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চার পর্বে মোট ৫৬০ জন বুদ্ধিজীবীর নাম প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক।

মধুসূদন দে কোনো শিক্ষক, লেখক, গবেষক বা শিল্পী নন। তিনি ছিলেন একজন চায়ের দোকানি। কিন্তু স্বাধিকার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ভূমিকায় তার প্রভাব ছিল। তাই পেশাগত পরিচয়ের বাইরে গিয়ে ব্যতিক্রমীভাবে তাকে শহীদ বুদ্ধিজীবীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতের পরদিন সকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন মধু দা, তার স্ত্রী, বড় ছেলে ও ছেলের নববিবাহিত স্ত্রী। জানা যায়, বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জড়িয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টি‌নের মধুসূদন দের নাম।

মধুসূদন দে কে বুদ্ধিজীবীর তালিকায় অন্তর্ভুক্তি প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, এ দেশে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় যত আন্দোলন হয়েছে, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা আন্দোলন-প্রতিটি ক্ষেত্রে মধুসূদন দের ভূমিকা ছিল। তিনি সবাইকে সহযোগিতা করেছেন। তাই শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংজ্ঞায় না পড়লেও মধুদাকে বুদ্ধিজীবীর তালিকায় রেখেছে সরকার। পেশাগত পরিচয়ের বাইরে গিয়ে ব্যতিক্রমভাবে তাকে বুদ্ধিজীবীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘মধুদা একজন চায়ের দোকানদার ছিলেন। তিনি সেই সময় বিনা পয়সায় চা খাইয়েছেন। এই একজনকেই আমরা ব্যতিক্রমভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবীর মর্যাদা দিয়েছি। তবে এই পরিবার কোনো ভাতা পাবে না।’

বর্তমানে মধুর ক্যানটিন পরিচালনা করছেন তার ছেলে অরুণ কুমার দে। বাবার স্বীকৃতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক আগে বাবার স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছিলাম। এখন এই খবর শুনে খুব ভালো লাগছে।’

(ওএস/এএস/মার্চ ২৫, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test