নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি। চুড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন এ মাসেই জমা দেওয়া হবে।

মঙ্গলাবার সচিবালয়ে এ তথ্য জানান কমিটির সদস্য সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবুল কাশেম মহিউদ্দিন।

তিনি বলেন, সাক্ষিদের তথ্যানুযায়ী আমরা সাত খুনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ছাড়া সাক্ষিরা যে স্থানের কথা বলেছে সেই ছয়টি স্থান পরির্দশন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদনের কাজ শেষ করেছি। এ মাসের শেষে দেয়া হবে।

কমিটির প্রধান বর্তমানে পিএসসির ভারপ্রাপ্ত সচিব শাহজাহান আলী মোল্লা জানান, তদন্ত কাজ শেষ হয়েছে। এখন জমা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

ভারতে থাকা নূর হোসেন প্রসঙ্গে আবুল কাশেম বলেন, এজহারভূক্ত প্রধান আসামিকে (নূর হোসেন) এখনো আমরা হাতে পাইনি।

আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী মাস পর্যন্ত সময় আছে। তারপরও আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে দেরি করবো না।

গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।

এরপর আদালতের নির্দেশে গত ৭ মে অভিযোগ তদন্তে শাহজাহান আলী মোল্লাকে প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এ কমিটিকে আদেশ জারির সাতদিনের মধ্যে উল্লিখিত তদন্ত কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. আব্দুল কাইয়ুম সরকার, আইন ও বিচার বিভাগের উপ-সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. শফিকুর রহমান ও সাঈদ মাহমুদ বেলাল।

এই কমিটিকে গণতদন্তের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের অপহরণ ও হত্যার সঙ্গে প্রশাসনের কোনো সদস্য বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা ও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না তা উদঘাটন করতে বলা হয়।

অপহরণের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অপহৃত ব্যক্তিদের জীবিত উদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো অবহেলা বা ইচ্ছাকৃত গাফিলতি ছিল কি না তা নির্ণয় করার দায়িত্বও দেওয়া হয় এ কমিটিকে।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ১৮, ২০১৪)