E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

‘শিশু শ্রম একটি অমানবিক কাজ এবং নিন্দনীয় অপরাধ’

২০১৫ জুন ০১ ১৭:৫৮:৪৬
‘শিশু শ্রম একটি অমানবিক কাজ এবং নিন্দনীয় অপরাধ’

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, শিশু শ্রম একটি অমানবিক কাজ এবং নিন্দনীয় অপরাধ। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের সুরক্ষার জন্য সব ধরণের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা রেখেছেন এবং শিশু শ্রম বন্ধে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন।

শিশুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মমত্ববোধ ও মাতৃত্ববোধের কারণে বাংলাদেশে আজ শিশু অধিকার নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণির শিশুদের সাথে বসে তাদের দাবি ও অধিকারের বিষয়ে সভা সেমিনার ও সংলাপের মত পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাড়া জীবন শোষিত ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন। রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর তিনি শ্রমজীবী মানুষের কল্যণে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। জাতির জনকই প্রথম সকল শিশুর শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণ করে সবার জন্য শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। তাই আমাদেরকে সকল শিশুকে স্কুলমুখী করতে হবে।

তিনি বলেন, সকল শিশুকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো প্রতিটি অভিভাবকের নৈতিক দায়িত্ব। সকল শিশুকে শিক্ষার সুযোগ দেয়া যেমন রাষ্ট্রের দায়িত্ব তেমনি তাদের স্কুলমুখি করার দায়িত্বও আমাদের নাগরিক সমাজ ও প্রতিটি বিবেকবান মানুষের। সকল শ্রমজিবী শিশুদের শিক্ষা গ্রহণ করতে স্কুলমুখি হওয়ার জন্য শিশুশ্রম বন্ধ করতে, সকল শিশুকে তাদের মৌলিক অধিকার শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিতে সব ধরণের সরকারি, বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবামুলক প্রতিষ্ঠাগুলোকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান ডেপুটি স্পিকার।

তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানে যেখানে শিশুদের নির্বিচারে নির্দ্বিধায় হত্যা করা হচ্ছে সেখানে বাংলাদেশে শিশু কল্যানে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে শিশিু সুরক্ষার জন্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাজেটে শিশুদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ মন্ত্রনালয়ের সঠিক তদারকির মাধ্যমে যাতে সুষমভাবে শিশুকল্যাণে ব্যায় হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়গুলোকে আরো বেশি কার্যকারি ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের দেশ স্বাধীন হলেও পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিসের সেই পুরোনো আদলে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস চলছে। এ কারণেই জনকল্যানমুলক কর্মকান্ডে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সৃষ্টি হয় এবং গুরুত্বপুর্ণ অনেক বিষয় জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দৃষ্টিকে এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় সরকারি কাজে জনগনের নজরদারি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আরো বাড়াতে অতি দ্রুত সচিবালয়কে মন্ত্রনালয় করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রমকে বাংলাদেশের একটি অন্যতম সমস্যা হিসেবে তুলে ধরে। ৩ লক্ষ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে সম্পৃক্ততাসহ প্রায় ৩২ লক্ষ শিশু শ্রমিক রয়েছে। শিশুরা শিশু শ্রম নিরসনে গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১০ এর সংশোধন,দ্রুত চুড়ান্তকরণ ও বাস্তবায়ন, সরকার কর্তৃক ঘোষিত শিশু শ্রমিকের তালিকায় ময়লা সংগ্রহ ও গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশু শ্রমকে অন্তর্ভুক্তিকরণ,শিশু শ্রম বন্ধে নিয়মিত পরিবীক্ষণের ব্যবস্থা করা, জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতিমালা ২০১০ এর কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অঙ্গীকারকৃত বাজেট বরাদ্দ এবং যথাযথ বাস্তবায়নসহ বেশ কয়েকটি প্রত্যাশার কথা সংসদীয় ককাসের নিকট তুলে ধরে শ্রমজীবি শিশুরা।

আজ সংসদ ভবনের আইপিডি কনফারেন্স কক্ষে ওয়ালর্ড ভিশনের সহযোগিতায় সিএস আইডি কর্র্তৃক আয়োজিত শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সাথে শ্রমজীবি শিশুদের এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা এর সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য মোঃ ইয়াসিন আলী ,কামরুন নাহার চৌধুরী,উম্মে রাজিয়া কাজল,কাজী রোজী,জেবুন্নেসা আফরোজ, শ্রমজীবি শিশু প্রতিনিধিরা এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন।

(আরআই/এএস/জুন ০১, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test